রেজা করিম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আর নির্বাচনে যেতে চায় না বিএনপি। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব দাবির পক্ষে বিএনপি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পাশে চায়। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার মাধ্যমে দেশটিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে। হাইকমিশনারের আমন্ত্রণে ঢাকার বারিধারায় তাঁর বাসভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক নৈশভোজে বিএনপির প্রতিনিধিদল এই বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির ২০০১-০৬ মেয়াদে শাসনকালের মাঝামাঝি ভারতের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়। এ ছাড়া, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাসকে পরোক্ষভাবে বিএনপি থেকে দূরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। ঠিক এমন সময় ভারতীয় হাইকমিশনের এই আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিএনপিসহ মিত্র দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যাইনি, তিনি (হাইকমিশনার) আমাদের নৈশভোজের দাওয়াত দিয়েছেন। ভালো আপ্যায়ন করেছেন। গেলাম, খেলাম, চলে আসলাম।’
সাবেক এই মন্ত্রীর মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের দাওয়াতটাই ‘বড় ইতিবাচক ব্যাপার’। তিনি বলেন, ‘সেখানে যে আলোচনা হয়েছে এবং তা-ও ইতিবাচক। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ওই দাওয়াতে গিয়েছিলেন দলের আরও চার নেতা। তাঁরা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। রাত আটটা থেকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় তাঁরা ছিলেন হাইকমিশনারের সঙ্গে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। ১২ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) আট দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসেছিলেন দলের নেতারা। সব বৈঠকেই নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকটি তারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা।
মিত্রদের ভাবনা এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় খাতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাঁর প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে সে দেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের নৈশভোজকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ও ‘ইতিবাচক’ বলে বিবেচনা করছে বিএনপির মিত্র দলগুলো।
অবশ্য আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন কেউ। এরপরও দেশের বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ ‘ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি এবং বিএনপির সাবেক নেতা অলি আহমদ বীর বিক্রম।
নির্বাচনের বছরে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের এমন উদ্যোগকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কাজ করছে, এমন একটি দলের (বিএনপি) সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ককে ভারসাম্যমূলক করার এই উদ্যোগকে সমর্থন করি।’ বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রের সংকট সমাধানের পথে এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নৈশভোজে যেসব আলোচনা
একটি রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, আগামী নির্বাচন এবং একে ঘিরে বিএনপির ভাবনা ও চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গ সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন যাবে না বিএনপি। কারণ জানাতে গিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রসঙ্গও টানেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা জানান, ওই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে তার উল্টোটা ঘটেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, কোনো মামলা-হামলা হবে না। কিন্তু সংলাপের তিন দিন পর থেকেই মামলা-হামলা শুরু হয়। বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠেই নামতে দেওয়া হয়নি, শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে অনেককে। সিনিয়র নেতারাও আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি। আর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলেছে।
এ অবস্থায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ ১০ দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে বলে প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়েছে। নেতারা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এভাবে নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়ে দলের দাবির পক্ষে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা চাওয়া হয়।
ভারতের হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে একটি সূত্র বলেছে, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় ভারত। ভারত চায় একটি বড় দল হিসেবে ওই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে দলের নেতারা ভারতের হাইকমিশনারকে জানান, চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আগের মতোই আছে। তবে বর্তমান সরকার (আওয়ামী লীগ) চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
২০০১-০৬ মেয়াদে ঢাকায় তাইওয়ানের বাণিজ্যিক দপ্তর খোলাকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
যে কারণে দূরত্ব
ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি কেন হয়েছিল—জানতে চাইলে বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপি সব সময়ই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। কিন্তু ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আসার জন্য তদানীন্তন বিএনপি সরকারকে দায়ী করা হয়। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিএনপি সরকার ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে পুলিশ তখন কীভাবে সেই চালান আটক করেছে, সে প্রশ্নও তাঁরা করেন।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ভারতের সাবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনুপ চেটিয়া এবার ঢাকায় যেসব কথা বলছেন, তা নির্বাচন সামনে রেখে বলছেন। তাঁর অভিযোগগুলো বানোয়াট।
হাইকমিশনের নীরবতা
বিএনপি নির্বাচনে আসুক—এমন বার্তা দলটিকে দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চেয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় হাইকমিশনের দুই কূটনীতিককে। তাঁরা কোনো জবাব দেননি।
প্রত্যাশা পূরণ দুরূহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভারতের মতো বৃহৎ শক্তিকে পাশে রাখতে চাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর পুরোনো চর্চা। অস্তিত্বের সংকটে থাকা বিএনপি কোনোভাবেই এই নির্বাচন হাতছাড়া করতে চাইবে না। সে কারণে প্রায় সময় ভারতবিরোধী অবস্থানে থাকলেও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রশ্নে ভারতকে তারা পাশে চাইছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বহুদিনের—এই তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এখানে বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হওয়াটা বেশ কঠিন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আর নির্বাচনে যেতে চায় না বিএনপি। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব দাবির পক্ষে বিএনপি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পাশে চায়। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার মাধ্যমে দেশটিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে। হাইকমিশনারের আমন্ত্রণে ঢাকার বারিধারায় তাঁর বাসভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক নৈশভোজে বিএনপির প্রতিনিধিদল এই বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির ২০০১-০৬ মেয়াদে শাসনকালের মাঝামাঝি ভারতের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়। এ ছাড়া, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাসকে পরোক্ষভাবে বিএনপি থেকে দূরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। ঠিক এমন সময় ভারতীয় হাইকমিশনের এই আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিএনপিসহ মিত্র দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যাইনি, তিনি (হাইকমিশনার) আমাদের নৈশভোজের দাওয়াত দিয়েছেন। ভালো আপ্যায়ন করেছেন। গেলাম, খেলাম, চলে আসলাম।’
সাবেক এই মন্ত্রীর মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের দাওয়াতটাই ‘বড় ইতিবাচক ব্যাপার’। তিনি বলেন, ‘সেখানে যে আলোচনা হয়েছে এবং তা-ও ইতিবাচক। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ওই দাওয়াতে গিয়েছিলেন দলের আরও চার নেতা। তাঁরা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। রাত আটটা থেকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় তাঁরা ছিলেন হাইকমিশনারের সঙ্গে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। ১২ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) আট দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসেছিলেন দলের নেতারা। সব বৈঠকেই নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকটি তারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা।
মিত্রদের ভাবনা এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় খাতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাঁর প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে সে দেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের নৈশভোজকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ও ‘ইতিবাচক’ বলে বিবেচনা করছে বিএনপির মিত্র দলগুলো।
অবশ্য আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন কেউ। এরপরও দেশের বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ ‘ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি এবং বিএনপির সাবেক নেতা অলি আহমদ বীর বিক্রম।
নির্বাচনের বছরে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের এমন উদ্যোগকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কাজ করছে, এমন একটি দলের (বিএনপি) সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ককে ভারসাম্যমূলক করার এই উদ্যোগকে সমর্থন করি।’ বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রের সংকট সমাধানের পথে এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নৈশভোজে যেসব আলোচনা
একটি রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, আগামী নির্বাচন এবং একে ঘিরে বিএনপির ভাবনা ও চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গ সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন যাবে না বিএনপি। কারণ জানাতে গিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রসঙ্গও টানেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা জানান, ওই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে তার উল্টোটা ঘটেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, কোনো মামলা-হামলা হবে না। কিন্তু সংলাপের তিন দিন পর থেকেই মামলা-হামলা শুরু হয়। বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠেই নামতে দেওয়া হয়নি, শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে অনেককে। সিনিয়র নেতারাও আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি। আর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলেছে।
এ অবস্থায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ ১০ দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে বলে প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়েছে। নেতারা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এভাবে নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়ে দলের দাবির পক্ষে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা চাওয়া হয়।
ভারতের হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে একটি সূত্র বলেছে, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় ভারত। ভারত চায় একটি বড় দল হিসেবে ওই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে দলের নেতারা ভারতের হাইকমিশনারকে জানান, চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আগের মতোই আছে। তবে বর্তমান সরকার (আওয়ামী লীগ) চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
২০০১-০৬ মেয়াদে ঢাকায় তাইওয়ানের বাণিজ্যিক দপ্তর খোলাকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
যে কারণে দূরত্ব
ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি কেন হয়েছিল—জানতে চাইলে বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপি সব সময়ই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। কিন্তু ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আসার জন্য তদানীন্তন বিএনপি সরকারকে দায়ী করা হয়। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিএনপি সরকার ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে পুলিশ তখন কীভাবে সেই চালান আটক করেছে, সে প্রশ্নও তাঁরা করেন।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ভারতের সাবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনুপ চেটিয়া এবার ঢাকায় যেসব কথা বলছেন, তা নির্বাচন সামনে রেখে বলছেন। তাঁর অভিযোগগুলো বানোয়াট।
হাইকমিশনের নীরবতা
বিএনপি নির্বাচনে আসুক—এমন বার্তা দলটিকে দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চেয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় হাইকমিশনের দুই কূটনীতিককে। তাঁরা কোনো জবাব দেননি।
প্রত্যাশা পূরণ দুরূহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভারতের মতো বৃহৎ শক্তিকে পাশে রাখতে চাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর পুরোনো চর্চা। অস্তিত্বের সংকটে থাকা বিএনপি কোনোভাবেই এই নির্বাচন হাতছাড়া করতে চাইবে না। সে কারণে প্রায় সময় ভারতবিরোধী অবস্থানে থাকলেও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রশ্নে ভারতকে তারা পাশে চাইছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বহুদিনের—এই তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এখানে বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হওয়াটা বেশ কঠিন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে