তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের শাহ শরীফ জিন্দানি (রহ.) পুণ্যভূমি নওগাঁর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীটি পরিযায়ী বা অতিথি পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে। শীতপ্রধান দেশ থেকে নিরাপদ মনে করে পাখিরা প্রতিবছর এ নদীতে এসে আশ্রয় নেয়। শীতের মৌসুমে করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নদী অঞ্চল। আর প্রতিদিন সকাল-বিকেলে পাখির জলকেলির দৃশ্য দেখার জন্য নদীপাড়ে ভিড় করে মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, করতোয়া নদীতে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। নীলশির, লালশির, কালোহাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জাহাঁস, খুদে গাঙচিল, বক ও পানকৌড়ি পাখিগুলো দলে দলে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে।
আহারের বিরতি দিয়ে পানকৌড়ি বসছে গাছের ডালে। দিনভর নদীতে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে সাদা বক, ধূসর বক ও মাছরাঙা। মাঝেমধ্যে গাঙচিল নদীতে মাছ ধরার জন্য ছোঁ দিলে ঝাঁক বেঁধে উড়ে উঠছে পরিযায়ী পাখির দল। সব মিলিয়ে করতোয়া নদী এখন পাখিদের কলতানে মুখর।
জানা গেছে, করতোয়া নদীর বিস্তৃতি একসময় অনেক বড় ছিল। কালের বিবর্তনে এর দুই পারে বসতি গড়ে ওঠায় নদীটি সরু হয়ে গেছে। অপর দিকে পাশ দিয়ে মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে নদীটি আরও সংকুচিত হয়েও পড়েছে দিন দিন।
এ প্রেক্ষাপটে জীববৈচিত্র্য ইতিমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। পাখি হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়। কমছে অতিথি পাখির আনাগোনা। তারপরও প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ নদীতে আসছে অতিথি পাখিসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রজাতি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আমাদের দেশে আসে। শীত মৌসুম শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে।
নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী খন্দকার বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার পাখি খাবারের আশায় আমাদের এলাকায় এসেছে। এখানে নদীপাড়ে গাছপালা বেশি থাকায় এটাকে পাখিরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে। তাই সবাই মিলে অতিথি পাখি ও দেশি প্রজাতির পাখির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও পরামর্শও কামনা করছি।’
সিরাজগঞ্জ দ্য বার্ড সেফটি হাউসের (পরিবেশবান্ধব) চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, পাখি পরিবেশবান্ধব ও সৌন্দর্যের প্রতীক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখির বিচরণক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে; পাশাপাশি পাখিদের বিরক্ত করা ও পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের শাহ শরীফ জিন্দানি (রহ.) পুণ্যভূমি নওগাঁর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীটি পরিযায়ী বা অতিথি পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে। শীতপ্রধান দেশ থেকে নিরাপদ মনে করে পাখিরা প্রতিবছর এ নদীতে এসে আশ্রয় নেয়। শীতের মৌসুমে করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নদী অঞ্চল। আর প্রতিদিন সকাল-বিকেলে পাখির জলকেলির দৃশ্য দেখার জন্য নদীপাড়ে ভিড় করে মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, করতোয়া নদীতে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। নীলশির, লালশির, কালোহাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জাহাঁস, খুদে গাঙচিল, বক ও পানকৌড়ি পাখিগুলো দলে দলে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে।
আহারের বিরতি দিয়ে পানকৌড়ি বসছে গাছের ডালে। দিনভর নদীতে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে সাদা বক, ধূসর বক ও মাছরাঙা। মাঝেমধ্যে গাঙচিল নদীতে মাছ ধরার জন্য ছোঁ দিলে ঝাঁক বেঁধে উড়ে উঠছে পরিযায়ী পাখির দল। সব মিলিয়ে করতোয়া নদী এখন পাখিদের কলতানে মুখর।
জানা গেছে, করতোয়া নদীর বিস্তৃতি একসময় অনেক বড় ছিল। কালের বিবর্তনে এর দুই পারে বসতি গড়ে ওঠায় নদীটি সরু হয়ে গেছে। অপর দিকে পাশ দিয়ে মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে নদীটি আরও সংকুচিত হয়েও পড়েছে দিন দিন।
এ প্রেক্ষাপটে জীববৈচিত্র্য ইতিমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। পাখি হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়। কমছে অতিথি পাখির আনাগোনা। তারপরও প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ নদীতে আসছে অতিথি পাখিসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রজাতি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আমাদের দেশে আসে। শীত মৌসুম শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে।
নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী খন্দকার বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার পাখি খাবারের আশায় আমাদের এলাকায় এসেছে। এখানে নদীপাড়ে গাছপালা বেশি থাকায় এটাকে পাখিরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে। তাই সবাই মিলে অতিথি পাখি ও দেশি প্রজাতির পাখির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও পরামর্শও কামনা করছি।’
সিরাজগঞ্জ দ্য বার্ড সেফটি হাউসের (পরিবেশবান্ধব) চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, পাখি পরিবেশবান্ধব ও সৌন্দর্যের প্রতীক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখির বিচরণক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে; পাশাপাশি পাখিদের বিরক্ত করা ও পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে