ভ্যাপসা গরমে চাহিদা বেড়েছে তালশাঁসের

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২২, ০৬: ১৭

ভ্যাপসা গরমে বেতাগীতে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। বেতাগী পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড, খাস কাচারি মাঠ, কাঁচাবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক কুড়ি তালের শাঁসের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা আর এক কুড়ি আস্ত তাল ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুম এ ফল কেউ কিনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

বেতাগী পৌর শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করছেন নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি উপজেলার ফুলতলা গ্রামে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করা মানুষগুলো ভিড় করছে তাঁর দোকানে। আর নাসির ধারালো দা দিয়ে তালের শাঁস বের করে তাঁদের চাহিদা মেটাচ্ছে।

তালের শাঁস বিক্রেতা নাসির জানান, প্রতিদিন তিনি ৩ থেকে ৪ শ তাল কেটে বিক্রি করেন। প্রতিটি তালের ভেতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে এবং প্রতিটি তাল গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়। গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব কচি তাল কিনে আনেন। তালের সংখ্যাভেদে একটি গাছের দাম পড়ে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক বেশি বিক্রি হয়। প্রতি বছর তিনি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করেন।

কচি তাল কিনতে আসা শাহ আলম খলিফা বলেন, তীব্র গরমের কারণে বাজারে কচি তালের চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু কচি ডাবের দাম অনেক বেশি তাই সাধারণ মানুষ কচি তালের শাঁসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। তবে চাহিদা বেশি থাকার কারণে কচি তালও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

স্কুলশিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির স্বপন জানান, একসময় উপজেলা ব্যাপি গ্রামে গ্রামে বড় বড় তাল গাছ ছিল। আগে রাস্তার পাশে তালের রস নিয়ে বসতো। যেভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে তাতে এখন তালের শাঁস খেতে পারলেও কিছুদিন পর এগুলো আর পাওয়া যাবে না।

তালের শাঁসের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, কচি তালের বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। গরমে শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে গেলে তা পূরণ করার পাশাপাশি তালের শাঁস শরীরকে দ্রুত শীতল করে। তা ছাড়া তালের শাঁস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী সুস্বাদু একটি ফল। দিন দিন তালগাছ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ গুরুত্ব না বুঝে তালগাছ কেটে ফেলছে। তবে এখন বজ্রপাত রোধে কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত