নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আছে বিএনপি। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারের চুক্তি-সমঝোতাসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর রেখেছে দলটি। একই সময়ে পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিকে আন্দোলনের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করে শরিকদের নিয়ে মাঠে নামার ছক কষছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। দলটির একাধিক নেতা এমন আভাস দিয়েছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সব দিকে দামামা বেজে উঠেছে। বিএনপি আন্দোলনে আছে এবং সেই আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বিএনপির এই আন্দোলন থামবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হয়েছে গত বুধবার। এই কর্মসূচি নিয়ে বিষয়ে দলের নেতাদের মূল্যায়ন হলো, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই কর্মসূচিতে তাঁরা ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে পেরেছেন। ঢাকার বাইরে মহানগর ও জেলা পর্যায়েও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। কয়েকটি জেলায় বাধা-হামলার পরও নেতা-কর্মীরা লড়াই করেছেন।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি আগামী সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি জেলা ও মহানগর পর্যায়েই থাকবে, নাকি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করা হবে, সে বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। এবারের বৈঠকের আলোচনায় ‘দুর্নীতি-অনিয়ম’ ও ভারতের সঙ্গে সরকারের চুক্তি-সমঝোতার বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে। দুর্নীতিবিরোধী ও চুক্তি-সমঝোতার প্রতিবাদে যুগপৎভাবে কর্মসূচি পালনের ভাবনা আছে দলে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখা একাধিক নেতা বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের সঙ্গে ‘অসম’ চুক্তি হলো। একের পর এক সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাচ্ছে। এসব ইস্যু নিয়ে তো মাঠে থাকতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন স্কিমবিরোধী আন্দোলন চলছে। এসব আন্দোলনে নৈতিকভাবে বিএনপির সমর্থন আছে। এই সমর্থনের পাশাপাশি মাঠেও নামতে পারে বিএনপি। এসব ইস্যুতে কোনো না কোনোভাবে বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে।
বিএনপির সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনসহ সার্বিক বিষয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই আলোচনায় দুর্নীতি ইস্যুটি প্রাধান্য পায়। যুগ্ম মহাসচিবেরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবও পাঠান। ওই প্রস্তাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের পাশাপাশি দুর্নীতি ও চুক্তি-সমঝোতার প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করে বিদ্যমান পরিস্থিতির ওপর কর্মসূচি প্রণয়নের কথা আমরা বলেছি। মহাসচিবও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। অচিরেই এর প্রতিফলন দেখা যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী এবং শিক্ষকদের আন্দোলনকে আমরা যৌক্তিক বলেই মনে করি।’
এদিকে শিক্ষকদের এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়কারী ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রদের আন্দোলনে বিরোধী দল কোনো ষড়যন্ত্র করছে না। আমরা পরিষ্কারভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই, শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। প্রতিটি আন্দোলনে আমরা আছি, থাকব।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আছে বিএনপি। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারের চুক্তি-সমঝোতাসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর রেখেছে দলটি। একই সময়ে পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিকে আন্দোলনের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করে শরিকদের নিয়ে মাঠে নামার ছক কষছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। দলটির একাধিক নেতা এমন আভাস দিয়েছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সব দিকে দামামা বেজে উঠেছে। বিএনপি আন্দোলনে আছে এবং সেই আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বিএনপির এই আন্দোলন থামবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হয়েছে গত বুধবার। এই কর্মসূচি নিয়ে বিষয়ে দলের নেতাদের মূল্যায়ন হলো, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই কর্মসূচিতে তাঁরা ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে পেরেছেন। ঢাকার বাইরে মহানগর ও জেলা পর্যায়েও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। কয়েকটি জেলায় বাধা-হামলার পরও নেতা-কর্মীরা লড়াই করেছেন।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি আগামী সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি জেলা ও মহানগর পর্যায়েই থাকবে, নাকি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করা হবে, সে বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। এবারের বৈঠকের আলোচনায় ‘দুর্নীতি-অনিয়ম’ ও ভারতের সঙ্গে সরকারের চুক্তি-সমঝোতার বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে। দুর্নীতিবিরোধী ও চুক্তি-সমঝোতার প্রতিবাদে যুগপৎভাবে কর্মসূচি পালনের ভাবনা আছে দলে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখা একাধিক নেতা বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের সঙ্গে ‘অসম’ চুক্তি হলো। একের পর এক সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাচ্ছে। এসব ইস্যু নিয়ে তো মাঠে থাকতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন স্কিমবিরোধী আন্দোলন চলছে। এসব আন্দোলনে নৈতিকভাবে বিএনপির সমর্থন আছে। এই সমর্থনের পাশাপাশি মাঠেও নামতে পারে বিএনপি। এসব ইস্যুতে কোনো না কোনোভাবে বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে।
বিএনপির সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনসহ সার্বিক বিষয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই আলোচনায় দুর্নীতি ইস্যুটি প্রাধান্য পায়। যুগ্ম মহাসচিবেরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবও পাঠান। ওই প্রস্তাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের পাশাপাশি দুর্নীতি ও চুক্তি-সমঝোতার প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করে বিদ্যমান পরিস্থিতির ওপর কর্মসূচি প্রণয়নের কথা আমরা বলেছি। মহাসচিবও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। অচিরেই এর প্রতিফলন দেখা যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী এবং শিক্ষকদের আন্দোলনকে আমরা যৌক্তিক বলেই মনে করি।’
এদিকে শিক্ষকদের এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়কারী ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রদের আন্দোলনে বিরোধী দল কোনো ষড়যন্ত্র করছে না। আমরা পরিষ্কারভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই, শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। প্রতিটি আন্দোলনে আমরা আছি, থাকব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে