নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা
২০১২ সালে রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বসে উৎসবের ষষ্ঠ ও সর্বশেষ আসর।
বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে টানা পাঁচ বছর চলার পর ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে স্থানান্তরিত হয় ষষ্ঠ আসরটি। পাঁচ রাতের সেই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৫০ জন শিল্পী। উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় পরিধির এই আয়োজনের আসরটি উৎসর্গ করা হয় বাংলা ভাষার বরেণ্য শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে। বাংলাদেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী ঘোষণা করেন।
বেহালাসম্রাট ড. এল সুব্রামানিয়ামের সুরের রেশে শুরু হয় সেবারের আয়োজন। তাঁর সঙ্গে মৃদঙ্গে সংগত করেন শ্রীরামামূর্তি ধুলিপালা, তবলায় পণ্ডিত তন্ময় বোস এবং মোরসিংয়ে ছিলেন সত্য সাই ঘণ্টশালা। প্রথম রাতে মঞ্চে দর্শকদের আরও বিমোহিত করে রাজরূপা চৌধুরীর সরোদ, বিদুষী পদ্মা তালওয়াকারের খেয়াল, ফিরোজ খানের সেতার, সুপ্রিয়া দাস ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের যুগল খেয়াল, রাকেশ চৌরাসিয়ার বাঁশি এবং পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়ের সেতারের আবেশ।
এরপর পর্যায়ক্রমে আরও চার দিন শ্রোতাদের বিমোহিত করেন সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়াল পণ্ডিত উল্লাস কশলকর, সেতারে ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান, ধ্রুপদে অভিজিত কুণ্ডু, পণ্ডিত রনু মজুমদার, পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু, গ্র্যামি বিজয়ী পদ্মভূষণ বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খান, পণ্ডিত যশরাজ, পণ্ডিত বুদ্ধ্যাদিত্য মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, পণ্ডিত কুশল দাস, পণ্ডিত কৈবল্যকুমার প্রমুখ।
উৎসবের প্রতিটি আসরই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের মিলনমেলা। বিশ্বখ্যাত সংগীতব্যক্তিত্বরা এই উৎসবে হাজির হয়েছেন। তাঁদের সুর ও সংগীতকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে শীত উপেক্ষা করে হাজার শ্রোতায় পূর্ণ হয়েছে মাঠ। কিন্তু এরপর শীত এসেছে আরও ছয়বার। সুর-তালে মেতে উঠতে মানুষ অপেক্ষায় থেকেছেন এই আয়োজনের। কিন্তু আর বসেনি শুদ্ধ সংগীতের প্রথিতযশা শিল্পীদের অংশগ্রহণের এই আসর।
এ বিষয়ে কথা হয় বেঙ্গল কমিউনিকেশন ম্যানেজার রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরীর সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনও চাচ্ছে, আয়োজনটি যেন আবার শুরু করা যায়। কিন্তু রয়েছে নানান সীমাবদ্ধতা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেন্যুর সমস্যা। রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আসলে ২০১৭ সালের পর থেকে আমরাও চেষ্টা করেছি আয়োজনটি করার। কিন্তু কোভিডে বিশাল সময় চলে গেছে। এই লম্বা গ্যাপে শুধু একবারই আমরা আয়োজনটি করার সময় পেয়েছিলাম, কিন্তু ভেন্যুর সংকটে তা আর হয়নি।’
এবারের শীতে আসর বসছে কি না জানতে চাইলে রেজওয়ানুল বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই আমরা আশায় ছিলাম আয়োজনটি করা যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত এবারও আয়োজনটি হচ্ছে না। যেহেতু নির্বাচনের বছর, তাই চাইলেও এত বড় আয়োজন সম্ভব নয়।’
ভেন্যুর সমস্যার বিষয়ে রেজওয়ানুল বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়াম বরাদ্দ না পাওয়ায় সর্বশেষ আসরটি আমরা ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে স্থানান্তর করি। এরপর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে বড় আয়োজন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আশা করি ভবিষ্যতে আয়োজনটি আবারও শ্রোতাদের বিমোহিত করবে। তবে তা যে আগামী বছরই করা যাবে, তা নিশ্চিত নয়।’
রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আরও একটি বড় সংকট সংগীতজ্ঞদের শিডিউল। চাইলেই হঠাৎ করে তাঁদের পাওয়া যায় না। বেশ কয়েক বছরের পরিকল্পনায় এমন একটি আয়োজন করা সম্ভব হয়।’
সব মিলিয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর আয়োজনটি হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত। আগামী বছরও যে করা যাবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে যত শিগগির সম্ভব আগের জৌলুশ আর খ্যাতিমান শিল্পীদের নিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মাঝে ফিরতে চায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান। সেভাবেই নতুন করে চলছে পরিকল্পনা।
২০১২ সালে রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বসে উৎসবের ষষ্ঠ ও সর্বশেষ আসর।
বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে টানা পাঁচ বছর চলার পর ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে স্থানান্তরিত হয় ষষ্ঠ আসরটি। পাঁচ রাতের সেই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৫০ জন শিল্পী। উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় পরিধির এই আয়োজনের আসরটি উৎসর্গ করা হয় বাংলা ভাষার বরেণ্য শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে। বাংলাদেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী ঘোষণা করেন।
বেহালাসম্রাট ড. এল সুব্রামানিয়ামের সুরের রেশে শুরু হয় সেবারের আয়োজন। তাঁর সঙ্গে মৃদঙ্গে সংগত করেন শ্রীরামামূর্তি ধুলিপালা, তবলায় পণ্ডিত তন্ময় বোস এবং মোরসিংয়ে ছিলেন সত্য সাই ঘণ্টশালা। প্রথম রাতে মঞ্চে দর্শকদের আরও বিমোহিত করে রাজরূপা চৌধুরীর সরোদ, বিদুষী পদ্মা তালওয়াকারের খেয়াল, ফিরোজ খানের সেতার, সুপ্রিয়া দাস ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের যুগল খেয়াল, রাকেশ চৌরাসিয়ার বাঁশি এবং পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়ের সেতারের আবেশ।
এরপর পর্যায়ক্রমে আরও চার দিন শ্রোতাদের বিমোহিত করেন সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়াল পণ্ডিত উল্লাস কশলকর, সেতারে ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান, ধ্রুপদে অভিজিত কুণ্ডু, পণ্ডিত রনু মজুমদার, পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু, গ্র্যামি বিজয়ী পদ্মভূষণ বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খান, পণ্ডিত যশরাজ, পণ্ডিত বুদ্ধ্যাদিত্য মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, পণ্ডিত কুশল দাস, পণ্ডিত কৈবল্যকুমার প্রমুখ।
উৎসবের প্রতিটি আসরই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের মিলনমেলা। বিশ্বখ্যাত সংগীতব্যক্তিত্বরা এই উৎসবে হাজির হয়েছেন। তাঁদের সুর ও সংগীতকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে শীত উপেক্ষা করে হাজার শ্রোতায় পূর্ণ হয়েছে মাঠ। কিন্তু এরপর শীত এসেছে আরও ছয়বার। সুর-তালে মেতে উঠতে মানুষ অপেক্ষায় থেকেছেন এই আয়োজনের। কিন্তু আর বসেনি শুদ্ধ সংগীতের প্রথিতযশা শিল্পীদের অংশগ্রহণের এই আসর।
এ বিষয়ে কথা হয় বেঙ্গল কমিউনিকেশন ম্যানেজার রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরীর সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনও চাচ্ছে, আয়োজনটি যেন আবার শুরু করা যায়। কিন্তু রয়েছে নানান সীমাবদ্ধতা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেন্যুর সমস্যা। রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আসলে ২০১৭ সালের পর থেকে আমরাও চেষ্টা করেছি আয়োজনটি করার। কিন্তু কোভিডে বিশাল সময় চলে গেছে। এই লম্বা গ্যাপে শুধু একবারই আমরা আয়োজনটি করার সময় পেয়েছিলাম, কিন্তু ভেন্যুর সংকটে তা আর হয়নি।’
এবারের শীতে আসর বসছে কি না জানতে চাইলে রেজওয়ানুল বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই আমরা আশায় ছিলাম আয়োজনটি করা যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত এবারও আয়োজনটি হচ্ছে না। যেহেতু নির্বাচনের বছর, তাই চাইলেও এত বড় আয়োজন সম্ভব নয়।’
ভেন্যুর সমস্যার বিষয়ে রেজওয়ানুল বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়াম বরাদ্দ না পাওয়ায় সর্বশেষ আসরটি আমরা ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে স্থানান্তর করি। এরপর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে বড় আয়োজন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আশা করি ভবিষ্যতে আয়োজনটি আবারও শ্রোতাদের বিমোহিত করবে। তবে তা যে আগামী বছরই করা যাবে, তা নিশ্চিত নয়।’
রেজওয়ানুল কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আরও একটি বড় সংকট সংগীতজ্ঞদের শিডিউল। চাইলেই হঠাৎ করে তাঁদের পাওয়া যায় না। বেশ কয়েক বছরের পরিকল্পনায় এমন একটি আয়োজন করা সম্ভব হয়।’
সব মিলিয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর আয়োজনটি হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত। আগামী বছরও যে করা যাবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে যত শিগগির সম্ভব আগের জৌলুশ আর খ্যাতিমান শিল্পীদের নিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মাঝে ফিরতে চায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান। সেভাবেই নতুন করে চলছে পরিকল্পনা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে