ড. মো. গোলাম রহমান
দুই বছর কেটে গেল আজকের পত্রিকার। তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের এই শুভ মুহূর্তে আমরা পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।আজকের পত্রিকা আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের যে ইতিহাস রচনা করল, তার সবটুকু অবদান আপনাদের। নানা প্রতিবন্ধকতায়, বিশেষ করে কোভিড ১৯-এর মতো ভয়াবহ সংকট এবং লকডাউনের মতো অস্বাভাবিক এক সময়ে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজধানীর মুখর অঙ্গন পর্যন্ত বিস্তৃত এই পত্রিকা পাঠকের সংবাদ-চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়বস্তুর প্রয়োজন মিটিয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে পরিণত হয়েছে।
সেই সঙ্গে পাঠকের রুচি ও সৃজনশীলতার কথা মাথায় রেখে সাংবাদিকেরা নানা বিষয়বস্তু পরিবেশন করে যাচ্ছেন। তাই বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যে আজকের পত্রিকা দেশের পত্রিকা পাঠকদের কাছে একটি পারিবারিক দৈনিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক হিসেবে প্রতিটি এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ, ফিচার, ছবি ছাপা হচ্ছে। অনলাইনেও সর্বশেষ সংবাদ ও ভিডিও পাচ্ছেন পাঠক এবং ই-পেপার উল্লেখযোগ্যভাবে পাঠক সমাদৃত হয়েছে।
আজকাল পাঠকের মনোবিকাশের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ওয়েবভিত্তিক সাংবাদিকতাকে এক বিশেষ স্থানে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞানের এই পরিবর্তন এবং প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগপৎ কার্যকারিতায় ছাপা পত্রিকার প্রভূত উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পাঠক এখন মোবাইল পত্রিকা পড়ে। সব বয়স এবং পেশার পাঠকের কাছে তাই আজ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের পাশাপাশি সংবাদপত্র একটি নতুনতর মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মানুষের গণমাধ্যম ব্যবহারের যে পরিবর্তনশীল প্রবণতা বিদ্যমান, তাতে দেখা যায়, এশিয়া ও এই উপমহাদেশের সংবাদ ভোক্তাদের কাছে সংবাদ তথা আনুষঙ্গিক বিষয়াবলির চাহিদা ও সরবরাহ পাল্টে গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নজর রাখছি। প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে পাঠকের এই মনোবিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং তাদের আত্মতুষ্টির জন্য সেই কথাগুলো বলা। আমরা আছি পাঠক, আপনাদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকা আধুনিক এবং প্রাগ্রসর পাঠকের সঙ্গে পায়ে-পায়ে তাল মিলিয়ে চলার পথে এগিয়ে যাবে, এটাই সময়ের দাবি।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বজায় রেখে দেশের ৫২ বছরের অর্জন, সমস্যা এবং সম্ভাবনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আজকের পত্রিকা পথ চলছে। দেশের, এই উপমহাদেশের তথা বিশ্বের সাংবাদিকতার একটি সাধারণ উপযোগ হচ্ছে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা। নতুন প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের গতিময়তায় সমাজ যেমন এগিয়ে যায়, সাংবাদিকতাও মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। আইনি কাঠামোর বিস্তার তাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যে আইন মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও জীবিকায় নিরাপদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সে আইন জনবান্ধব নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ এবং এই আইনের কতিপয় ধারার কারণে সাংবাদিকের স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চাও বিঘ্নিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন যেমন আমাদের অর্জনকে স্পষ্ট করে তোলে, তেমনি ত্রুটিযুক্ত আইনের ব্যবহারের কারণে জনগণের দুর্দশা প্রলম্বিত হয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে আলোচ্য আইনের আশু পরিবর্তন দরকার। মুক্তচিন্তার জগৎ প্রসারিত হোক।আজকের পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করে পা রাখল তিন বছরে। এই আনন্দঘন দিনে সবাইকে জানাই আবারও প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
দুই বছর কেটে গেল আজকের পত্রিকার। তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের এই শুভ মুহূর্তে আমরা পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।আজকের পত্রিকা আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের যে ইতিহাস রচনা করল, তার সবটুকু অবদান আপনাদের। নানা প্রতিবন্ধকতায়, বিশেষ করে কোভিড ১৯-এর মতো ভয়াবহ সংকট এবং লকডাউনের মতো অস্বাভাবিক এক সময়ে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজধানীর মুখর অঙ্গন পর্যন্ত বিস্তৃত এই পত্রিকা পাঠকের সংবাদ-চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়বস্তুর প্রয়োজন মিটিয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে পরিণত হয়েছে।
সেই সঙ্গে পাঠকের রুচি ও সৃজনশীলতার কথা মাথায় রেখে সাংবাদিকেরা নানা বিষয়বস্তু পরিবেশন করে যাচ্ছেন। তাই বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যে আজকের পত্রিকা দেশের পত্রিকা পাঠকদের কাছে একটি পারিবারিক দৈনিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক হিসেবে প্রতিটি এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ, ফিচার, ছবি ছাপা হচ্ছে। অনলাইনেও সর্বশেষ সংবাদ ও ভিডিও পাচ্ছেন পাঠক এবং ই-পেপার উল্লেখযোগ্যভাবে পাঠক সমাদৃত হয়েছে।
আজকাল পাঠকের মনোবিকাশের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ওয়েবভিত্তিক সাংবাদিকতাকে এক বিশেষ স্থানে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞানের এই পরিবর্তন এবং প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগপৎ কার্যকারিতায় ছাপা পত্রিকার প্রভূত উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পাঠক এখন মোবাইল পত্রিকা পড়ে। সব বয়স এবং পেশার পাঠকের কাছে তাই আজ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের পাশাপাশি সংবাদপত্র একটি নতুনতর মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মানুষের গণমাধ্যম ব্যবহারের যে পরিবর্তনশীল প্রবণতা বিদ্যমান, তাতে দেখা যায়, এশিয়া ও এই উপমহাদেশের সংবাদ ভোক্তাদের কাছে সংবাদ তথা আনুষঙ্গিক বিষয়াবলির চাহিদা ও সরবরাহ পাল্টে গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নজর রাখছি। প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে পাঠকের এই মনোবিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং তাদের আত্মতুষ্টির জন্য সেই কথাগুলো বলা। আমরা আছি পাঠক, আপনাদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকা আধুনিক এবং প্রাগ্রসর পাঠকের সঙ্গে পায়ে-পায়ে তাল মিলিয়ে চলার পথে এগিয়ে যাবে, এটাই সময়ের দাবি।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বজায় রেখে দেশের ৫২ বছরের অর্জন, সমস্যা এবং সম্ভাবনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আজকের পত্রিকা পথ চলছে। দেশের, এই উপমহাদেশের তথা বিশ্বের সাংবাদিকতার একটি সাধারণ উপযোগ হচ্ছে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা। নতুন প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের গতিময়তায় সমাজ যেমন এগিয়ে যায়, সাংবাদিকতাও মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। আইনি কাঠামোর বিস্তার তাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যে আইন মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও জীবিকায় নিরাপদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সে আইন জনবান্ধব নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ এবং এই আইনের কতিপয় ধারার কারণে সাংবাদিকের স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চাও বিঘ্নিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন যেমন আমাদের অর্জনকে স্পষ্ট করে তোলে, তেমনি ত্রুটিযুক্ত আইনের ব্যবহারের কারণে জনগণের দুর্দশা প্রলম্বিত হয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে আলোচ্য আইনের আশু পরিবর্তন দরকার। মুক্তচিন্তার জগৎ প্রসারিত হোক।আজকের পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করে পা রাখল তিন বছরে। এই আনন্দঘন দিনে সবাইকে জানাই আবারও প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে