সাইফুল মাসুম, ঢাকা
মন্থরগতিতে চলছে মৎস্য অধিদপ্তরের দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটির চার বছরের মেয়াদে (২০২০-২৪) এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ। বাকি ৬৭ শতাংশ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আবার দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে ধীরগতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী দুই বছরেও প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
২০২০ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটির উদ্দেশ্য টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য শামুক-ঝিনুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রদর্শনী খামার, শামুক, ঝিনুক ও মুক্তা চাষের প্রদর্শনী এবং মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
প্রথম মেয়াদে প্রকল্পের ব্যয় ২০৭ কোটি ধরা হলেও এখন প্রথম সংশোধনীতে বরাদ্দ কমিয়ে ১৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, নড়াইলসহ ১০টি জেলার ৫২টি উপজেলায় প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যালয় গোপালগঞ্জে।
প্রতিবেদনে হতাশার চিত্র
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্পের প্রথম চার বছরের কার্যক্রমের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি শুরুই হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আট মাস দেরিতে। প্রকল্প প্রস্তাবের বরাদ্দ অনুসারে অর্থছাড় হয়নি। এ কারণে সার্বিক ব্যয়ের অগ্রগতিও মাত্র প্রায় ৩৪ শতাংশ। এতে বলা হয়, অবশিষ্ট সময়ে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রকল্পটির বিশদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বা বেইজলাইন জরিপ না থাকায় এর বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বিল নার্সারি স্থাপনে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। অনেক জায়গায় বিল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়নি। প্রদর্শনী খামারের রেকর্ড বইয়ে তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। দেশীয় প্রজাতির মাছের ভালো মানের এবং মজুতযোগ্য আকারের পোনা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে প্রকল্পের ঝুঁকির বিষয়ে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পভুক্ত কিছু প্লাবনভূমি ও বিল হুমকির মুখে এবং কাঙ্ক্ষিত মৎস্য উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। সমাজভিত্তিক সংগঠনগুলোর নিবন্ধন এবং দাপ্তরিক ঠিকানা না থাকায় তহবিল অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। প্রকল্পে শামুক, ঝিনুক ও মুক্তা উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকলেও তার ব্যবহার ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে।
পিডি বদলও ধীরগতির কারণ
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলও প্রকল্পের ধীরগতির আরেকটি কারণ। প্রকল্পের প্রথম পিডি এস এম আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিজের লোকদের কাজ দেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রকল্পের নিজস্ব গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিজের গাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রকল্প থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আশিকুর রহমানকে বাদ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের মার্চে প্রকল্পে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান মো. খালিদুজ্জামান। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প শুরু করতে বিলম্ব ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের অগ্রগতি অনেক কম হয়েছে। সংশোধিত বর্ধিত মেয়াদেও প্রকল্প শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মো. খালিদুজ্জামান বলেন, আগামী দুই বছরে প্রকল্প শেষ করতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ কাজের বড় অংশ এখনো বাকি। আগামী দুই অর্থবছরে বরাদ্দ অনুসারে অর্থ পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় অগ্রগতি কম হয়েছে। কার্যক্রম ইতিবাচক হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। আশা করি, এ সময়ের মধ্যে কাজ শতভাগ শেষ হবে।’
মন্থরগতিতে চলছে মৎস্য অধিদপ্তরের দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটির চার বছরের মেয়াদে (২০২০-২৪) এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ। বাকি ৬৭ শতাংশ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আবার দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে ধীরগতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী দুই বছরেও প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
২০২০ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটির উদ্দেশ্য টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য শামুক-ঝিনুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রদর্শনী খামার, শামুক, ঝিনুক ও মুক্তা চাষের প্রদর্শনী এবং মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
প্রথম মেয়াদে প্রকল্পের ব্যয় ২০৭ কোটি ধরা হলেও এখন প্রথম সংশোধনীতে বরাদ্দ কমিয়ে ১৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, নড়াইলসহ ১০টি জেলার ৫২টি উপজেলায় প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যালয় গোপালগঞ্জে।
প্রতিবেদনে হতাশার চিত্র
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্পের প্রথম চার বছরের কার্যক্রমের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি শুরুই হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আট মাস দেরিতে। প্রকল্প প্রস্তাবের বরাদ্দ অনুসারে অর্থছাড় হয়নি। এ কারণে সার্বিক ব্যয়ের অগ্রগতিও মাত্র প্রায় ৩৪ শতাংশ। এতে বলা হয়, অবশিষ্ট সময়ে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রকল্পটির বিশদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বা বেইজলাইন জরিপ না থাকায় এর বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বিল নার্সারি স্থাপনে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। অনেক জায়গায় বিল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়নি। প্রদর্শনী খামারের রেকর্ড বইয়ে তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। দেশীয় প্রজাতির মাছের ভালো মানের এবং মজুতযোগ্য আকারের পোনা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে প্রকল্পের ঝুঁকির বিষয়ে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পভুক্ত কিছু প্লাবনভূমি ও বিল হুমকির মুখে এবং কাঙ্ক্ষিত মৎস্য উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। সমাজভিত্তিক সংগঠনগুলোর নিবন্ধন এবং দাপ্তরিক ঠিকানা না থাকায় তহবিল অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। প্রকল্পে শামুক, ঝিনুক ও মুক্তা উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকলেও তার ব্যবহার ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে।
পিডি বদলও ধীরগতির কারণ
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলও প্রকল্পের ধীরগতির আরেকটি কারণ। প্রকল্পের প্রথম পিডি এস এম আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিজের লোকদের কাজ দেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রকল্পের নিজস্ব গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিজের গাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রকল্প থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আশিকুর রহমানকে বাদ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের মার্চে প্রকল্পে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান মো. খালিদুজ্জামান। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প শুরু করতে বিলম্ব ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের অগ্রগতি অনেক কম হয়েছে। সংশোধিত বর্ধিত মেয়াদেও প্রকল্প শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মো. খালিদুজ্জামান বলেন, আগামী দুই বছরে প্রকল্প শেষ করতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ কাজের বড় অংশ এখনো বাকি। আগামী দুই অর্থবছরে বরাদ্দ অনুসারে অর্থ পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় অগ্রগতি কম হয়েছে। কার্যক্রম ইতিবাচক হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। আশা করি, এ সময়ের মধ্যে কাজ শতভাগ শেষ হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে