রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী। প্রতিবছরের এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামলে এই হালদা নদীতে কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মা-মাছ ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম আহরণে ব্যস্ত সময় পার করেন হালদাপাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা।
হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ২০১২ সালের দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কাগতিয়া, পশ্চিম গহিরা ও মোবারকখিল এলাকায় তিনটি হ্যাচারি নির্মাণ করে। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। মোবারকখিল হ্যাচারি সচল থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী জনবল না থাকায় জেনারেটর চুরিসহ অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সচল একমাত্র হ্যাচারির শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না ডিম আহরণকারীরা।
সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হ্যাচারি নষ্ট থাকায় বিগত মৌসুমের মতো চলতি ডিম ছাড়ার মৌসুমেও সুফলবঞ্চিত ডিম আহরণকারীরা মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়ার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
ডিম আহরণকারীরা জানান, হালদা নদী থেকে নিষিক্ত ডিম আহরণ শেষে মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়ায় রেণু ফোটাতে গিয়ে বেশির ভাগ ডিম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হালদা নদীর ডিম আজিমের ঘাট এলাকার ডিম আহরণকারী, আইডিএফ স্বেচ্ছাসেবক রোশাঙ্গীর আলম ও কাগতিয়া গোলজার পাড়ার শফিউল আলম বলেন, সরকারি তিনটি হ্যাচারির দুটি সম্পূর্ণ অকেজো থাকায় মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়াতেই ভরসা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মোবারকখিল হ্যাচারির অস্থায়ী কর্মচারী সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘হ্যাচারির কুয়ার মধ্যে কয়েকটি শতভাগ প্রস্তুত নেই। অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করলেও ৭-৮ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ২৬ মে ও ২ জুন মোট দুই দফায় তিন শতাধিক নৌকাযোগে ছয় শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী নদীর আমতুয়া, নাপিতের ঘাট, আজিমের ঘাট, সোনাইমুখ, অংকুরিঘোনা পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ৮ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেন। আহরিত ডিম থেকে ১০৫ দশমিক ৭২৫ কেজি রেনু উৎপাদিত হয়। মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হওয়ায় উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকর বলেন, ‘নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম চলছে। সরকারি তিনটা হ্যাচারির দুটি পরিত্যক্ত হলেও মোবারেকখিল হ্যাচারিকে আমরা প্রস্তুত রেখেছি। পাশাপাশি মাটির কুয়ায় যাতে ডিম নষ্ট না হয়, সেই বিষয়ে আমরা ডিম আহরণকারীদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে হালদা নদী থেকে আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করা যাবে।’
সচেতন মহলের মতে, হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের যে বিপুল সম্ভার, তা কাজে লাগানো গেলে জাতীয় অর্থনীতি হবে আরও সমৃদ্ধ।
এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী। প্রতিবছরের এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামলে এই হালদা নদীতে কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মা-মাছ ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম আহরণে ব্যস্ত সময় পার করেন হালদাপাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা।
হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ২০১২ সালের দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কাগতিয়া, পশ্চিম গহিরা ও মোবারকখিল এলাকায় তিনটি হ্যাচারি নির্মাণ করে। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। মোবারকখিল হ্যাচারি সচল থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী জনবল না থাকায় জেনারেটর চুরিসহ অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সচল একমাত্র হ্যাচারির শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না ডিম আহরণকারীরা।
সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হ্যাচারি নষ্ট থাকায় বিগত মৌসুমের মতো চলতি ডিম ছাড়ার মৌসুমেও সুফলবঞ্চিত ডিম আহরণকারীরা মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়ার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
ডিম আহরণকারীরা জানান, হালদা নদী থেকে নিষিক্ত ডিম আহরণ শেষে মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়ায় রেণু ফোটাতে গিয়ে বেশির ভাগ ডিম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হালদা নদীর ডিম আজিমের ঘাট এলাকার ডিম আহরণকারী, আইডিএফ স্বেচ্ছাসেবক রোশাঙ্গীর আলম ও কাগতিয়া গোলজার পাড়ার শফিউল আলম বলেন, সরকারি তিনটি হ্যাচারির দুটি সম্পূর্ণ অকেজো থাকায় মান্ধাতার আমলের মাটির কুয়াতেই ভরসা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মোবারকখিল হ্যাচারির অস্থায়ী কর্মচারী সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘হ্যাচারির কুয়ার মধ্যে কয়েকটি শতভাগ প্রস্তুত নেই। অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করলেও ৭-৮ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ২৬ মে ও ২ জুন মোট দুই দফায় তিন শতাধিক নৌকাযোগে ছয় শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী নদীর আমতুয়া, নাপিতের ঘাট, আজিমের ঘাট, সোনাইমুখ, অংকুরিঘোনা পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ৮ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেন। আহরিত ডিম থেকে ১০৫ দশমিক ৭২৫ কেজি রেনু উৎপাদিত হয়। মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হওয়ায় উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকর বলেন, ‘নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম চলছে। সরকারি তিনটা হ্যাচারির দুটি পরিত্যক্ত হলেও মোবারেকখিল হ্যাচারিকে আমরা প্রস্তুত রেখেছি। পাশাপাশি মাটির কুয়ায় যাতে ডিম নষ্ট না হয়, সেই বিষয়ে আমরা ডিম আহরণকারীদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে হালদা নদী থেকে আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করা যাবে।’
সচেতন মহলের মতে, হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের যে বিপুল সম্ভার, তা কাজে লাগানো গেলে জাতীয় অর্থনীতি হবে আরও সমৃদ্ধ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে