জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
করোনার সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জামালপুর সদর উপজেলার ৩৭টি বিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫২ জন স্কুলছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই তথ্য জানে না স্থানীয় প্রশাসন। জামালপুর সদর উপজেলার ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অভিভাবকেরা তথ্য গোপন রেখে এই কাজ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫২ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষকেরা এসব তথ্য জানতে পারেন।
৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয় আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। প্রতিষ্ঠানটির ৬১ ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়। এছাড়া রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩ জন, শ্রীপুর কুমারিয়া নাছুবা হাকিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৩৩ জন, জামিরা বড় ইতাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩ জন, বাঁশচড়া এস. বি. জি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয় ২৮ জন, মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ জন, নরুন্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪, বানিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নান্দিনা নেকজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন, রহিমা কাজেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জন, নরুন্দি সৈয়দা নাজিবা আখতার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫ জন, খুপিবাড়ী এম. এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন, জোকা ভারুয়াখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ জন ও শ্রীরামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়।
আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই স্কুলটির ছাত্রীদের আগে থেকেই বাল্যবিবাহের দেওয়ার একটি প্রবণতা ছিল। কারণ এই স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার দরিদ্র। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় অনেক অংশে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ও প্রশাসনের আগের মতো নজরদারি না থাকার সুযোগে গোপনে সন্তানদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন অভিভাবকেরা। এতে স্কুলের ২৬৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ৬১ জনের বাল্যবিবাহ হয়।’
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘এখন তো আর আগের যুগ নেই। যুগ পাল্টাইছে। সন্তানেরা সেই আগের মতো অভিভাবকের কথা শোনেন না। নানা কারণে সন্তানেরা অল্প বয়সে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। অল্প বয়সে অভিভাবকের অবাধ্য হয়ে, কোনো না কোনো ছেলের সঙ্গে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ওই সময় পরিবার সমাজের কাছে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছেন। ফলে অনেক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের অভিভাবকরাও সন্তানদের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। তাঁরা এতেই সন্তানের কল্যাণ, নিরাপদ ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছেন।’
অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণেও অনেক পরিবার বাল্যবিবাহ দিচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, লেখাপড়া করে তাঁদের সন্তানেরা কি করবে। তার চেয়ে স্বামীর সংসার করাকেই তাঁরা নিরাপদ ভবিষ্যৎ মনে করেন। স্কুলের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুল খোলার পর উপস্থিতি হার কম থাকায়। শ্রেণি কক্ষে গিয়ে তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বললে বাল্যবিবাহের তথ্য জানতে পারেন তাঁরা।
অনেক ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার পর এখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। দরিদ্র থেকে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন মনে করেন, তাঁদের মেয়েকে যত দ্রুত বিয়ে দিতে পারেন, তত দ্রুত বিপদের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। জামালপুরে জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইতা জানান, অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি। কাদের বাল্যবিবাহ হয়েছে স্কুল থেকে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই তালিকা পেয়ে যাব। আর করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের মোবাইল নম্বর ছাত্রীদের কাছে দেওয়া ছিল সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য। শিক্ষক এবং ছাত্রীদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তিনি মনে করছেন, অভিভাবকেরাই গোপনে এই কাজটি করেছেন।
করোনার সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জামালপুর সদর উপজেলার ৩৭টি বিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫২ জন স্কুলছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই তথ্য জানে না স্থানীয় প্রশাসন। জামালপুর সদর উপজেলার ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অভিভাবকেরা তথ্য গোপন রেখে এই কাজ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫২ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষকেরা এসব তথ্য জানতে পারেন।
৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয় আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। প্রতিষ্ঠানটির ৬১ ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়। এছাড়া রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩ জন, শ্রীপুর কুমারিয়া নাছুবা হাকিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৩৩ জন, জামিরা বড় ইতাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩ জন, বাঁশচড়া এস. বি. জি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয় ২৮ জন, মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ জন, নরুন্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪, বানিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নান্দিনা নেকজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন, রহিমা কাজেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জন, নরুন্দি সৈয়দা নাজিবা আখতার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫ জন, খুপিবাড়ী এম. এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন, জোকা ভারুয়াখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ জন ও শ্রীরামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়।
আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই স্কুলটির ছাত্রীদের আগে থেকেই বাল্যবিবাহের দেওয়ার একটি প্রবণতা ছিল। কারণ এই স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার দরিদ্র। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় অনেক অংশে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ও প্রশাসনের আগের মতো নজরদারি না থাকার সুযোগে গোপনে সন্তানদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন অভিভাবকেরা। এতে স্কুলের ২৬৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ৬১ জনের বাল্যবিবাহ হয়।’
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘এখন তো আর আগের যুগ নেই। যুগ পাল্টাইছে। সন্তানেরা সেই আগের মতো অভিভাবকের কথা শোনেন না। নানা কারণে সন্তানেরা অল্প বয়সে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। অল্প বয়সে অভিভাবকের অবাধ্য হয়ে, কোনো না কোনো ছেলের সঙ্গে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ওই সময় পরিবার সমাজের কাছে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছেন। ফলে অনেক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের অভিভাবকরাও সন্তানদের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। তাঁরা এতেই সন্তানের কল্যাণ, নিরাপদ ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছেন।’
অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণেও অনেক পরিবার বাল্যবিবাহ দিচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, লেখাপড়া করে তাঁদের সন্তানেরা কি করবে। তার চেয়ে স্বামীর সংসার করাকেই তাঁরা নিরাপদ ভবিষ্যৎ মনে করেন। স্কুলের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুল খোলার পর উপস্থিতি হার কম থাকায়। শ্রেণি কক্ষে গিয়ে তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বললে বাল্যবিবাহের তথ্য জানতে পারেন তাঁরা।
অনেক ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার পর এখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। দরিদ্র থেকে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন মনে করেন, তাঁদের মেয়েকে যত দ্রুত বিয়ে দিতে পারেন, তত দ্রুত বিপদের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। জামালপুরে জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইতা জানান, অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি। কাদের বাল্যবিবাহ হয়েছে স্কুল থেকে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই তালিকা পেয়ে যাব। আর করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের মোবাইল নম্বর ছাত্রীদের কাছে দেওয়া ছিল সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য। শিক্ষক এবং ছাত্রীদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তিনি মনে করছেন, অভিভাবকেরাই গোপনে এই কাজটি করেছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে