গাজী আবদুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
অস্ট্রেলিয়ান ফল পেপিনো মেলন। ফলটির চাষ হচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। শখ করে ও কৌতূহল নিয়ে ফলটির চাষ করেছেন রফিকুল ইসলাম শেখ। পাঁচটি গাছ থেকে এখন শতাধিক গাছের বাগান তাঁর। আর গাছে গাছে ঝুলছে পেপিনো মেলন।
পেপিনো মেলন তরমুজ জাতীয় রসালো ফল। আকারে বেশ ছোট। তরমুজ যেখানে ৩-১০ কেজি হয়। পেপিনো মেলন সেখানে হয় আধা থেকে এক কেজি। ফলটি বেশ সুস্বাদু। এতে প্রচুর ঔষধি ও পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
রফিকুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। বয়স ৫০–এর কাছাকাছি। কৃষি কাজ করে সংসার চললেও তিনি আর দশজন কৃষকের মতো নন। নিত্য নতুন বিভিন্ন ফলের চাষ নিয়ে আগ্রহ আছে তাঁর।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিন্ন কিছু চাষের আগ্রহ থেকে নিয়মিত কৃষিভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল দেখেন। হঠাৎ একদিন চোখে পড়ে পেপিনো মেলন চাষের পদ্ধতি। অস্ট্রেলিয়ার ফলটি বাংলাদেশের কেউ চাষ করছেন কি না। তা গুগলে খোঁজ করেন। দেখেন নীলফামারীর সেলিম নামের একজন সম্প্রতি এ ফলের চাষ শুরু করেছেন। সেলিম অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার সময় কয়েকটি চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা থেকেই তিনি পেপিনো মেলন চাষ করেছেন।
সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঁচটি চারা কেনেন রফিকুল। কুরিয়ারে সেগুলো খুলনায় পাঠানো হয়। প্রতিটি চারার দাম ছিল ৩০০ টাকা। সেলিমের কাছ থেকে চাষের পদ্ধতিও কিছুটা জেনে নেন। এরপর বাড়ির পেছনের দিকে তা লাগান। একটি চারা মারা গেলেও টিকে যায় বাকি চারটি। দুই মাসের মধ্যেই গাছ গুলো বেশ বড় ও পাতায় ভরে যায়। লতাজাতীয় এ গাছের ডাল কেটে ‘কাটিং’ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের চেষ্টা করেন। সেখানেও সফল হন তিনি। এরপর ওই চারা থেকে এখন শতাধিক গাছের বাগান তৈরি করেছেন রফিকুল ইসলাম।
ডুমুরিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়ি। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পেছন দিকে মাত্র দুই শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে পেপিনো মেলনের। গাছে গাছে ঝুলছে সাদা-সবুজ মিশ্রণের পেপিনো মেলন। কোনো গাছ ছোট আবার কোনো গাছ বড়। প্রচুর ফলন হয়েছে। ফলের ভারে যেন গাছগুলো নুয়ে না পড়ে, সে জন্য বেড়ার মতো দিয়ে রাখা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের দিকে গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। এর ৪৭ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। তিন মাসের মধ্যে ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়। ফলটি নতুন বলে মানুষের কাছে চাহিদাও কম। এ কারণে প্রতি কেজি ফল ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তাঁর দেখাদেখি এখন অনেকেই এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। রফিকুল ইসলাম ফলের পাশাপাশি গাছের চারা তৈরি করেও বিক্রি করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, এ দেশে পেপিনো মেলন চাষ করা খুবই সহজ ও লাভজনক। এটি চাষ করতে তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না অধিক জমির। বাড়ির ছাদে অথবা মাঠে সবখানে খুব সহজেই কম পরিশ্রমে পেপিনো মেলন চাষ করা সম্ভব। রোপণের দুই মাসের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। ফলটি খুব পুষ্টিকর। এতে ৯৩ শতাংশ পানি। ফলের ভেতরের অংশ খেতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ান ফল পেপিনো মেলন। ফলটির চাষ হচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। শখ করে ও কৌতূহল নিয়ে ফলটির চাষ করেছেন রফিকুল ইসলাম শেখ। পাঁচটি গাছ থেকে এখন শতাধিক গাছের বাগান তাঁর। আর গাছে গাছে ঝুলছে পেপিনো মেলন।
পেপিনো মেলন তরমুজ জাতীয় রসালো ফল। আকারে বেশ ছোট। তরমুজ যেখানে ৩-১০ কেজি হয়। পেপিনো মেলন সেখানে হয় আধা থেকে এক কেজি। ফলটি বেশ সুস্বাদু। এতে প্রচুর ঔষধি ও পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
রফিকুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। বয়স ৫০–এর কাছাকাছি। কৃষি কাজ করে সংসার চললেও তিনি আর দশজন কৃষকের মতো নন। নিত্য নতুন বিভিন্ন ফলের চাষ নিয়ে আগ্রহ আছে তাঁর।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিন্ন কিছু চাষের আগ্রহ থেকে নিয়মিত কৃষিভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল দেখেন। হঠাৎ একদিন চোখে পড়ে পেপিনো মেলন চাষের পদ্ধতি। অস্ট্রেলিয়ার ফলটি বাংলাদেশের কেউ চাষ করছেন কি না। তা গুগলে খোঁজ করেন। দেখেন নীলফামারীর সেলিম নামের একজন সম্প্রতি এ ফলের চাষ শুরু করেছেন। সেলিম অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার সময় কয়েকটি চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা থেকেই তিনি পেপিনো মেলন চাষ করেছেন।
সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঁচটি চারা কেনেন রফিকুল। কুরিয়ারে সেগুলো খুলনায় পাঠানো হয়। প্রতিটি চারার দাম ছিল ৩০০ টাকা। সেলিমের কাছ থেকে চাষের পদ্ধতিও কিছুটা জেনে নেন। এরপর বাড়ির পেছনের দিকে তা লাগান। একটি চারা মারা গেলেও টিকে যায় বাকি চারটি। দুই মাসের মধ্যেই গাছ গুলো বেশ বড় ও পাতায় ভরে যায়। লতাজাতীয় এ গাছের ডাল কেটে ‘কাটিং’ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের চেষ্টা করেন। সেখানেও সফল হন তিনি। এরপর ওই চারা থেকে এখন শতাধিক গাছের বাগান তৈরি করেছেন রফিকুল ইসলাম।
ডুমুরিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়ি। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পেছন দিকে মাত্র দুই শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে পেপিনো মেলনের। গাছে গাছে ঝুলছে সাদা-সবুজ মিশ্রণের পেপিনো মেলন। কোনো গাছ ছোট আবার কোনো গাছ বড়। প্রচুর ফলন হয়েছে। ফলের ভারে যেন গাছগুলো নুয়ে না পড়ে, সে জন্য বেড়ার মতো দিয়ে রাখা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের দিকে গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। এর ৪৭ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। তিন মাসের মধ্যে ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়। ফলটি নতুন বলে মানুষের কাছে চাহিদাও কম। এ কারণে প্রতি কেজি ফল ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তাঁর দেখাদেখি এখন অনেকেই এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। রফিকুল ইসলাম ফলের পাশাপাশি গাছের চারা তৈরি করেও বিক্রি করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, এ দেশে পেপিনো মেলন চাষ করা খুবই সহজ ও লাভজনক। এটি চাষ করতে তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না অধিক জমির। বাড়ির ছাদে অথবা মাঠে সবখানে খুব সহজেই কম পরিশ্রমে পেপিনো মেলন চাষ করা সম্ভব। রোপণের দুই মাসের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। ফলটি খুব পুষ্টিকর। এতে ৯৩ শতাংশ পানি। ফলের ভেতরের অংশ খেতে হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে