ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী (শেরপুর)
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি দামে এমওপি (পটাশ) সার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার বা বাজারের খোলা দোকানে সার কিনতে গেলে বলে সার নেই। আবার বেশি টাকা দিলে মেলে সার। কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কয়েক দিন আগে সার সরবরাহ কম ছিল, বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সার সংকটের অজুহাতে কেউ বাড়তি টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমওপি সার ধানের চারা লাগানোর সময় একবার এবং শিষ বের হওয়ার আগে আরেকবার খেতে দিতে হয়। বর্তমানে ধানের চারা লাগানোর সময়। তাই কৃষকদের প্রচুর পরিমাণ সার দরকার হচ্ছে। এমওপি সার প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু নির্ধারিত দামে সার কিনতে গেলে বলে সার নেই। তবে বাড়তি টাকা দিলে পাওয়া যায় সার। গত সাত-আট দিন ধরে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সাতানী শ্রীবরদী গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘সার নেই বাজারে, বেশি দাম দিলে গোডাউনের কথা বলে সার নিয়ে আহে। এ জন্য বেশি দামেই কিনতাছি। কী আর করার আছে।’
শ্রীবরদী উপজেলা জালকাটা এলাকার কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘বাপু কয়েক দিন ধরে খুব ঝামেলার মধ্যে আছি, বাজারে সার কিনবার গেলে আমারে দেখেই বলে সার নেই, কারণ আমি পরিচিত মানুষ, আমার কাছে বেশি দাম কীভাবে নিবে? কিন্তু অপরিচিত লোক পাঠালে বেশি দাম নিয়ে সার বিক্রি করতেছে। এহন আপনারাই কন, বিপদ না তালে আমার?’
আরেক কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘লংগরপাড়া বাজর থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে এক বস্তা সার নিয়ে আইলাম। দিবারই চায় না, জোর করে আনছি। শ্রীবরদী বাজারে কিনবার গেছিলাম, দোকানদার বলে সার নাই।’
উপজেলার কয়েকজন সার ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমওপি সার তাদের কাছে নেই। আবার কয়েকটি দোকানে কিছু আছে, যা সরকারি মূল্যের চেয়ে প্রতি বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি। আবার এসব সার খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা বস্তা।
শ্রীবরদী উত্তর বাজারের মেসার্স বিজয় ট্রেডার্সের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সার বিএডিসি সরবরাহ করতে পারছে না বিধায় বাজারে সংকট রয়েছে। দুই দিন আগে আমি কিছু সার পেয়েছিলাম, তা সরকারি দামেই কৃষকের কাছে বিক্রি করেছি। তবে বাইরের খোলা বাজারে হয়তো দাম বেশি নিতে পারে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই।’
জেলা সার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসি সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে এমওপির সংকট। তবে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। তার পরও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
শেরপুর বিএডিসি গুদামের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম বলেন, এ মাসের ১ তারিখে ৭৩৬ টন এমওপি ডিলারদের সরবরাহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার শেরপুরের জন্য আরও এমওপি পাঠাতে চেয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় নেওয়া যায়নি। এখন জায়গা খালি হয়েছে। এমওপি আসা শুরু হয়েছে। ডিলারদের চাহিদামতো সরবরাহ করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ডিলার বা খুচরা বিক্রেতা বেশি নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, কয়েক দিন আগে সার সরবরাহ কম ছিল। বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। তবে সংকটের অজুহাতে কেউ বাড়তি টাকা নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি দামে এমওপি (পটাশ) সার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার বা বাজারের খোলা দোকানে সার কিনতে গেলে বলে সার নেই। আবার বেশি টাকা দিলে মেলে সার। কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কয়েক দিন আগে সার সরবরাহ কম ছিল, বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সার সংকটের অজুহাতে কেউ বাড়তি টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমওপি সার ধানের চারা লাগানোর সময় একবার এবং শিষ বের হওয়ার আগে আরেকবার খেতে দিতে হয়। বর্তমানে ধানের চারা লাগানোর সময়। তাই কৃষকদের প্রচুর পরিমাণ সার দরকার হচ্ছে। এমওপি সার প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু নির্ধারিত দামে সার কিনতে গেলে বলে সার নেই। তবে বাড়তি টাকা দিলে পাওয়া যায় সার। গত সাত-আট দিন ধরে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সাতানী শ্রীবরদী গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘সার নেই বাজারে, বেশি দাম দিলে গোডাউনের কথা বলে সার নিয়ে আহে। এ জন্য বেশি দামেই কিনতাছি। কী আর করার আছে।’
শ্রীবরদী উপজেলা জালকাটা এলাকার কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘বাপু কয়েক দিন ধরে খুব ঝামেলার মধ্যে আছি, বাজারে সার কিনবার গেলে আমারে দেখেই বলে সার নেই, কারণ আমি পরিচিত মানুষ, আমার কাছে বেশি দাম কীভাবে নিবে? কিন্তু অপরিচিত লোক পাঠালে বেশি দাম নিয়ে সার বিক্রি করতেছে। এহন আপনারাই কন, বিপদ না তালে আমার?’
আরেক কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘লংগরপাড়া বাজর থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে এক বস্তা সার নিয়ে আইলাম। দিবারই চায় না, জোর করে আনছি। শ্রীবরদী বাজারে কিনবার গেছিলাম, দোকানদার বলে সার নাই।’
উপজেলার কয়েকজন সার ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমওপি সার তাদের কাছে নেই। আবার কয়েকটি দোকানে কিছু আছে, যা সরকারি মূল্যের চেয়ে প্রতি বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি। আবার এসব সার খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা বস্তা।
শ্রীবরদী উত্তর বাজারের মেসার্স বিজয় ট্রেডার্সের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সার বিএডিসি সরবরাহ করতে পারছে না বিধায় বাজারে সংকট রয়েছে। দুই দিন আগে আমি কিছু সার পেয়েছিলাম, তা সরকারি দামেই কৃষকের কাছে বিক্রি করেছি। তবে বাইরের খোলা বাজারে হয়তো দাম বেশি নিতে পারে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই।’
জেলা সার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসি সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে এমওপির সংকট। তবে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। তার পরও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
শেরপুর বিএডিসি গুদামের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম বলেন, এ মাসের ১ তারিখে ৭৩৬ টন এমওপি ডিলারদের সরবরাহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার শেরপুরের জন্য আরও এমওপি পাঠাতে চেয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় নেওয়া যায়নি। এখন জায়গা খালি হয়েছে। এমওপি আসা শুরু হয়েছে। ডিলারদের চাহিদামতো সরবরাহ করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ডিলার বা খুচরা বিক্রেতা বেশি নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, কয়েক দিন আগে সার সরবরাহ কম ছিল। বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। তবে সংকটের অজুহাতে কেউ বাড়তি টাকা নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে