জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীরগতিতে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। চলতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কারণে দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আবু সুফিয়ান জানান, চলতি বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনে দেরি হচ্ছে। এর কারণ, সামনে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন; ফলে যাঁরা পিআইসিতে থাকার কথা তাঁরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে সময়মতো কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অধিকাংশই পিআইসি গঠন হয়ে গেছে।
এদিকে কৃষকেরা জানান, হাওর অধ্যুষিত এ জেলা (বোরো) এক ফসলি জেলা। প্রতিবছর ফসল রক্ষা বাঁধের কারণে বিপুল পরিমাণ ফসল তলিয়ে যায়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ইউপি নির্বাচনে পিআইসি কমিটির সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে সময়মতো বাঁধ তৈরি না হলে বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর ৯০০ কিলোমিটার বাঁধের প্রি-ওয়ার্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪৬টি প্রকল্পে ১৮৯ কিলোমিটার বাঁধের কাজের অনুমোদন করা হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চলতি বছর জেলার ছোট-বড় ৫২টি হাওরের ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমির বোরো চাষাবাদ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) নীতিমালা অনুযায়ী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে জরিপ কাজ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে। এতে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।
তবে এ বছর কাজের তেমন অগ্রগতি না দেখে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায়। জেলার সদর উপজেলার দরিয়াবাজার গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমরা বোরো ফসল চাষের সময় থেকেই আতঙ্কে থাকি। যেকোনো সময় মাঠে পানি উঠে যেতে পারে। বাঁধের কাজ সময়মতো না হলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা নিয়েই চাষাবাদ করতে হয়। এ বছরও এখনো পিআইসি কমিটির সদস্যদের কাজের অগ্রগতি দেখা যায়নি। কমিটি গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। এমন অবস্থায় আমরা বাঁধের কাজ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ফুলভরি গ্রামের কৃষক হরিমন দাস বলেন, ‘বাঁধ সময়মতো হইলে আমরা আরামে চাষাবাদ করতাম পারি। মাথায় কোনো দুশ্চিন্তা থাকে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাসছুদ্দোহা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের কাজ করেন। এখনো কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তালিকা পাইনি। কোনো কোনো উপজেলায় ইউপি নির্বাচন থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা রয়েছে।’
বাঁধের কাজ শুরুতে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, ‘আশা করি, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যেই বাঁধের কাজ শুরু করতে পারব।’
সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীরগতিতে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। চলতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কারণে দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আবু সুফিয়ান জানান, চলতি বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনে দেরি হচ্ছে। এর কারণ, সামনে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন; ফলে যাঁরা পিআইসিতে থাকার কথা তাঁরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে সময়মতো কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অধিকাংশই পিআইসি গঠন হয়ে গেছে।
এদিকে কৃষকেরা জানান, হাওর অধ্যুষিত এ জেলা (বোরো) এক ফসলি জেলা। প্রতিবছর ফসল রক্ষা বাঁধের কারণে বিপুল পরিমাণ ফসল তলিয়ে যায়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ইউপি নির্বাচনে পিআইসি কমিটির সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে সময়মতো বাঁধ তৈরি না হলে বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর ৯০০ কিলোমিটার বাঁধের প্রি-ওয়ার্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪৬টি প্রকল্পে ১৮৯ কিলোমিটার বাঁধের কাজের অনুমোদন করা হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চলতি বছর জেলার ছোট-বড় ৫২টি হাওরের ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমির বোরো চাষাবাদ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) নীতিমালা অনুযায়ী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে জরিপ কাজ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে। এতে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।
তবে এ বছর কাজের তেমন অগ্রগতি না দেখে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায়। জেলার সদর উপজেলার দরিয়াবাজার গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমরা বোরো ফসল চাষের সময় থেকেই আতঙ্কে থাকি। যেকোনো সময় মাঠে পানি উঠে যেতে পারে। বাঁধের কাজ সময়মতো না হলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা নিয়েই চাষাবাদ করতে হয়। এ বছরও এখনো পিআইসি কমিটির সদস্যদের কাজের অগ্রগতি দেখা যায়নি। কমিটি গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। এমন অবস্থায় আমরা বাঁধের কাজ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ফুলভরি গ্রামের কৃষক হরিমন দাস বলেন, ‘বাঁধ সময়মতো হইলে আমরা আরামে চাষাবাদ করতাম পারি। মাথায় কোনো দুশ্চিন্তা থাকে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাসছুদ্দোহা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের কাজ করেন। এখনো কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তালিকা পাইনি। কোনো কোনো উপজেলায় ইউপি নির্বাচন থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা রয়েছে।’
বাঁধের কাজ শুরুতে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, ‘আশা করি, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যেই বাঁধের কাজ শুরু করতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে