আজিজুর রহমান, চৌগাছা (যশোর)
যশোরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৫২ পরিবারকে বিনা মূল্যে চাল দেবে সরকার। অতি দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলার ৯৩ ইউনিয়নে ও আট পৌরসভায় এবার সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৬ জন; যা গত ঈদ উল আজহা বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক। গত ঈদুল আজহায় জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৯৮ জন। তবে পৌরসভাগুলোতে বরাদ্দ কমেনি। ৯ জুলাইয়ের মধ্যে এ চাল সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে তুলে বিনা মূল্যে বিতরণ করার জন্য গত ৩ জুলাই যশোর জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোর জেলায় এক লাখ ৮৫ হাজার ২৫২ জন উপকারভোগীর জন্য বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। এতে দেখা গেছে, বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে বরাদ্দের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আবার কিছু কিছু উপজেলায় বরাদ্দ বেড়েছে। তবে গত ঈদুল ফিতরেও একই পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঈদুল আজাহার চেয়ে যশোরের ৮ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪ হাজার ৫৭২ জন উপকারভোগী কমেছে ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে। এ বছর ইউনিয়নগুলোতে ১৫ হাজার ১৯৩ জন উপকারভোগী বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল পাবেন। অপরদিকে, যশোর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে এ বছর বেড়েছে ৮ হাজার ৩৯১ জন উপকারভোগী। এ উপজেলায় এবার উপকারভোগী ৩১ হাজার ২৬৪ জন।
এ ছাড়া চৌগাছা উপজেলায় এ বছর ১২ হাজার ৪৩৯ উপকারভোগী বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল পাবেন। গত বছর ১১ ইউনিয়নে ছিল ৪৬ হাজার ৭৩৫ জন। উপকারভোগী কমেছে ৩৪ হাজার ২৯৬ জন।
মনিরামপুর উপজেলায় এবার উপকারভোগী ২৯ হাজার ৬৮৮ জন। গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ৭৬২ জন। এ উপজেলায় উপকারভোগী কমেছে ৩৪ হাজার ৭৪। কেশবপুর উপজেলায় উপকারভোগী ১৬ হাজার ৯১৬ জন। গত বছর ছিল ১৫ হাজার ১৩০ জন। এ ঈদে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে উপকারভোগী বেড়েছে ১ হাজার ৭৮৬ জন। এ ছাড়া শার্শায় ১১ ইউনিয়নে এ বছর উপকারভোগী ২৩ হাজার ৫৫২ জন। গত বছর উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ১৭০ জন। উপকারভোগী বেড়েছে ৩ হাজার ৩৮২ জন। বাঘারপাড়া উপকারভোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩২৯ জন। আগে ছিল ১০ হাজার ৫৭৭ জন। অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৯ হাজার ৬৪ জনকে এই ১০ কেজি করে চাল বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। আগে ছিল ৪০ হাজার ৯৭৯। এখানে উপকারভোগী কমেছে ৩১ হাজার ৯১৫ জন।
অপরদিকে যশোর, কেশবপুর, বেনাপোল, নওয়াপাড়া ও মনিরামপুর পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ৪ হাজার ৬২১ জন করে, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ৩ হাজার ৮১ জন করে এবং বাঘারপাড়া পৌরসভার এক হাজার ৫৪০ জন সুবিধাভোগী পাবেন ১০ কেজি করে চাল।
চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘গত কোরবানিতেও আমার ইউনিয়নের ৪ হাজার ২৮৯ জনকে এই চাল দেওয়া হয়। এবার বরাদ্দ মাত্র ১ হাজার ১৪২ জনের। ফলে বিতরণে সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমার ইউনিয়নটি দরিদ্র এলাকা। কম-বেশি পাঁচ হাজার দরিদ্র পরিবারের বসবাস এখানে। যারা সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে পরিবার চালিয়ে থাকেন।’
চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, ‘গত ঈদুল আজহায় আমার ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫০৫ জনকে ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। এবার মাত্র ১ হাজার ১৯৮ জনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; যা গতবারের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। গত ঈদুল ফিতরের মতো চাল বিতরণ করতে আবার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর দারিদ্র্যের হারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ঈদুল ফিতরের সমপরিমাণ বরাদ্দ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় মোট বরাদ্দ কমলেও কোনো কোনো উপজেলায় বরাদ্দ বেড়েছে, আবার কোনো কোনো উপজেলায় বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ঈদের আগেই বিনা মূল্যে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।’
যশোরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৫২ পরিবারকে বিনা মূল্যে চাল দেবে সরকার। অতি দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলার ৯৩ ইউনিয়নে ও আট পৌরসভায় এবার সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৬ জন; যা গত ঈদ উল আজহা বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক। গত ঈদুল আজহায় জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৯৮ জন। তবে পৌরসভাগুলোতে বরাদ্দ কমেনি। ৯ জুলাইয়ের মধ্যে এ চাল সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে তুলে বিনা মূল্যে বিতরণ করার জন্য গত ৩ জুলাই যশোর জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোর জেলায় এক লাখ ৮৫ হাজার ২৫২ জন উপকারভোগীর জন্য বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। এতে দেখা গেছে, বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে বরাদ্দের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আবার কিছু কিছু উপজেলায় বরাদ্দ বেড়েছে। তবে গত ঈদুল ফিতরেও একই পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঈদুল আজাহার চেয়ে যশোরের ৮ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪ হাজার ৫৭২ জন উপকারভোগী কমেছে ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে। এ বছর ইউনিয়নগুলোতে ১৫ হাজার ১৯৩ জন উপকারভোগী বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল পাবেন। অপরদিকে, যশোর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে এ বছর বেড়েছে ৮ হাজার ৩৯১ জন উপকারভোগী। এ উপজেলায় এবার উপকারভোগী ৩১ হাজার ২৬৪ জন।
এ ছাড়া চৌগাছা উপজেলায় এ বছর ১২ হাজার ৪৩৯ উপকারভোগী বিনা মূল্যের ১০ কেজি চাল পাবেন। গত বছর ১১ ইউনিয়নে ছিল ৪৬ হাজার ৭৩৫ জন। উপকারভোগী কমেছে ৩৪ হাজার ২৯৬ জন।
মনিরামপুর উপজেলায় এবার উপকারভোগী ২৯ হাজার ৬৮৮ জন। গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ৭৬২ জন। এ উপজেলায় উপকারভোগী কমেছে ৩৪ হাজার ৭৪। কেশবপুর উপজেলায় উপকারভোগী ১৬ হাজার ৯১৬ জন। গত বছর ছিল ১৫ হাজার ১৩০ জন। এ ঈদে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে উপকারভোগী বেড়েছে ১ হাজার ৭৮৬ জন। এ ছাড়া শার্শায় ১১ ইউনিয়নে এ বছর উপকারভোগী ২৩ হাজার ৫৫২ জন। গত বছর উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ১৭০ জন। উপকারভোগী বেড়েছে ৩ হাজার ৩৮২ জন। বাঘারপাড়া উপকারভোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩২৯ জন। আগে ছিল ১০ হাজার ৫৭৭ জন। অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৯ হাজার ৬৪ জনকে এই ১০ কেজি করে চাল বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। আগে ছিল ৪০ হাজার ৯৭৯। এখানে উপকারভোগী কমেছে ৩১ হাজার ৯১৫ জন।
অপরদিকে যশোর, কেশবপুর, বেনাপোল, নওয়াপাড়া ও মনিরামপুর পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ৪ হাজার ৬২১ জন করে, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ৩ হাজার ৮১ জন করে এবং বাঘারপাড়া পৌরসভার এক হাজার ৫৪০ জন সুবিধাভোগী পাবেন ১০ কেজি করে চাল।
চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘গত কোরবানিতেও আমার ইউনিয়নের ৪ হাজার ২৮৯ জনকে এই চাল দেওয়া হয়। এবার বরাদ্দ মাত্র ১ হাজার ১৪২ জনের। ফলে বিতরণে সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমার ইউনিয়নটি দরিদ্র এলাকা। কম-বেশি পাঁচ হাজার দরিদ্র পরিবারের বসবাস এখানে। যারা সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে পরিবার চালিয়ে থাকেন।’
চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, ‘গত ঈদুল আজহায় আমার ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫০৫ জনকে ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। এবার মাত্র ১ হাজার ১৯৮ জনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; যা গতবারের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। গত ঈদুল ফিতরের মতো চাল বিতরণ করতে আবার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর দারিদ্র্যের হারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ঈদুল ফিতরের সমপরিমাণ বরাদ্দ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় মোট বরাদ্দ কমলেও কোনো কোনো উপজেলায় বরাদ্দ বেড়েছে, আবার কোনো কোনো উপজেলায় বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ঈদের আগেই বিনা মূল্যে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে