আব্দুর রাজ্জাক
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। সমগ্র জাতির জন্য এটি একটি আশার বাণী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি অনেকাংশেই সফলতার দিকে।
২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের আগেই এবার তিনি ঘোষণা করলেন স্মার্ট বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে দরকার স্মার্ট রাজনীতি। রাজনীতি করেন রাজনীতিবিদেরা। অল্প কথায় বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়—স্মার্ট রাজনীতি গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট রাজনীতিবিদ দরকার। সরকারি দলে বা বিরোধী দলের যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা সবাই যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন, তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এখানে একপক্ষ যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে, বিরোধীপক্ষ যদি এর উল্টো কাজ করে, তাহলে কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। এর সুফল পেয়েছে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ দেশের আপামর জনগণ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসতে হবে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ আপামর জনগণকে; বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের।
এখন আসা যাক এই স্মার্ট রাজনীতি বা স্মার্ট রাজনীতিবিদদের কেমন হওয়া উচিত, সেই আলোচনায়। রাজনীতিবিদেরা রাষ্ট্রের সব কর্মযজ্ঞের নীতি নির্ধারণ করেন। মানুষের বা সমাজের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘নীতি নির্ধারণ’ করা রাজনীতিবিদদের কাজ। এই নীতি গ্রহণ করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সঠিক সুশিক্ষার। তৃণমূল থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের মনের ভাষা, সামাজিক চাহিদা বুঝতে হয় রাজনীতিবিদদের। এটা যদি তাঁরা বুঝতে পারেন, তবেই সেই আলোকে নীতি নির্ধারণ করতে পারবেন। আমাদের সমাজে এখনো মানুষের মৌলিক চাহিদার পাঁচটি বিষয় আছে—অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এই মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য রাজনীতিবিদেরা যেসব কার্যক্রম হাতে নেবেন অবশ্যই বুঝে-শুনে। তার জন্য দরকার সর্বাগ্রে নিজেদের প্রস্তুত করা। তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিবিদেরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে। জেলা পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করে, সংসদ সদস্যদের কাছে সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের সমস্যা তুলে ধরবেন। সংসদ সদস্যরা সমস্যাগুলো জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনা করে নীতি নির্ধারণ করবেন তা বাস্তবায়নের জন্য। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের এই নীতি বাস্তবায়ন হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রধান হবেন অবশ্যই মন্ত্রীরা। এখন যেসব ব্যক্তি
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের স্মার্ট হতে হবে বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, জ্ঞানে ও দূরদর্শিতায়।
বর্তমানে আমরা সেই পরিস্থিতি কি দেখছি রাজনীতির ক্ষেত্রে? তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এটার বিস্তৃতি কেমনভাবে বিন্যস্ত আছে, তার একটু পর্যালোচনা করা দরকার। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, ছাত্ররাই বা ছাত্ররাজনীতি যাঁরা করেন, তাঁরাই পরে রাজনীতিক হন বা রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। এখন যদি চলনে-বলনে, পোশাকে, যানবাহন ব্যবহারে, অর্থাৎ ভালো পোশাক পরে ভালো গাড়িতে চড়ে শুদ্ধ ভাষায় ইংরেজি-বাংলায় কথা বলাকে স্মার্ট ধরেন, তবে আসল, অর্থাৎ স্মার্ট রাজনীতি হবে না। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন সহজে বাস্তবায়ন হবে না।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে বিশৃঙ্খলা ও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকে ছাত্ররা, এভাবে ছাত্ররাজনীতি চলতে থাকলে স্মার্ট রাজনীতিবিদ তৈরি হবে না। ছাত্রনেতারা যদি জ্ঞান অর্জনের বাইরে অন্যায়ের প্রতিবাদ ছাড়া বা শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষাকেন্দ্রিক বা শিক্ষালয় কেন্দ্রের বাইরে অন্য কিছুতে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা প্রকৃত স্মার্ট রাজনীতি হবে না।
ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদেরা যদি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটিয়ে শুধু ঠিকাদারি ব্যবসা বা কমিশন-বাণিজ্য নিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলেও স্মার্ট রাজনীতি হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না।
রাজনীতিবিদদের সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি সর্বোপরি একটি দর্শন থাকতে হবে। এসব বিষয়ের ওপরে পড়াশোনাসহ গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। তাহলেই স্মার্ট রাজনীতিবিদ গড়ে উঠবে আমাদের সমাজে। হবে স্মার্ট রাজনীতি।
সঠিক সময়ে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সঠিক প্রকল্প গ্রহণ করা, দুর্নীতিমুক্ত থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনীতিবিদেরা। তাই তো রাজনীতিবিদদের চৌকস হতে হয়, সুদূরপ্রসারী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হয়। এই চৌকস ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে গভীর জ্ঞান থাকতে হয়, নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়। দেশের ইতিহাস, সমাজের ইতিহাসসহ বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, সমাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করতে হয়, সময় উপযোগী অর্থনীতি সমাজে সন্নিবেশিত করতে হয়। এসব করতে পারার সক্ষমতাকে বলে স্মার্ট রাজনীতি।
কোনো এক জেনারেল সামরিক শাসক ছাত্রদের নিয়ে হিজবুল বাহারে নৌভ্রমণ করতে গিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল, ছাত্রদের ঠিকাদারি ব্যবসাসহ কমিশন-বাণিজ্যে নিয়োজিত করেছিল। সেই থেকে আমাদের ছাত্রসমাজের মধ্যে স্মার্ট বলতে জামা কাপড়ের, যানবাহনে চলাচলের ও সম্পদ আহরণের স্মার্টনেস গড়ে উঠেছিল। আমরা আশা করব, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব কাঁধে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট রাজনীতিক তৈরি হবেন।
সমাজের যেকোনো পর্যায় থেকেই হোক না কেন, যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন, তাঁদের প্রথমেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত, দেশপ্রেম ও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করতে হবে। মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে সমাজের ক্ষতগুলোকে চিহ্নিত করে, এই ক্ষতগুলো নিরাময়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার মানসিকতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এই মানসিকতা ও সক্ষমতা যাঁদের থাকবে, তাঁরাই হবেন স্মার্ট রাজনীতিবিদ। এই স্মার্ট ব্যক্তিরাই স্মার্ট রাজনীতি করবেন। গড়ে তুলবেন স্মার্ট বাংলাদেশ।
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই—সবকিছুর মূলে রাজনীতি। তাই ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি হওয়া উচিত স্মার্ট।
লেখক: প্রকৌশলী
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। সমগ্র জাতির জন্য এটি একটি আশার বাণী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি অনেকাংশেই সফলতার দিকে।
২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের আগেই এবার তিনি ঘোষণা করলেন স্মার্ট বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে দরকার স্মার্ট রাজনীতি। রাজনীতি করেন রাজনীতিবিদেরা। অল্প কথায় বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়—স্মার্ট রাজনীতি গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট রাজনীতিবিদ দরকার। সরকারি দলে বা বিরোধী দলের যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা সবাই যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন, তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এখানে একপক্ষ যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে, বিরোধীপক্ষ যদি এর উল্টো কাজ করে, তাহলে কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। এর সুফল পেয়েছে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ দেশের আপামর জনগণ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসতে হবে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ আপামর জনগণকে; বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের।
এখন আসা যাক এই স্মার্ট রাজনীতি বা স্মার্ট রাজনীতিবিদদের কেমন হওয়া উচিত, সেই আলোচনায়। রাজনীতিবিদেরা রাষ্ট্রের সব কর্মযজ্ঞের নীতি নির্ধারণ করেন। মানুষের বা সমাজের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘নীতি নির্ধারণ’ করা রাজনীতিবিদদের কাজ। এই নীতি গ্রহণ করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সঠিক সুশিক্ষার। তৃণমূল থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের মনের ভাষা, সামাজিক চাহিদা বুঝতে হয় রাজনীতিবিদদের। এটা যদি তাঁরা বুঝতে পারেন, তবেই সেই আলোকে নীতি নির্ধারণ করতে পারবেন। আমাদের সমাজে এখনো মানুষের মৌলিক চাহিদার পাঁচটি বিষয় আছে—অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এই মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য রাজনীতিবিদেরা যেসব কার্যক্রম হাতে নেবেন অবশ্যই বুঝে-শুনে। তার জন্য দরকার সর্বাগ্রে নিজেদের প্রস্তুত করা। তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিবিদেরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে। জেলা পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করে, সংসদ সদস্যদের কাছে সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের সমস্যা তুলে ধরবেন। সংসদ সদস্যরা সমস্যাগুলো জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনা করে নীতি নির্ধারণ করবেন তা বাস্তবায়নের জন্য। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের এই নীতি বাস্তবায়ন হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রধান হবেন অবশ্যই মন্ত্রীরা। এখন যেসব ব্যক্তি
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের স্মার্ট হতে হবে বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, জ্ঞানে ও দূরদর্শিতায়।
বর্তমানে আমরা সেই পরিস্থিতি কি দেখছি রাজনীতির ক্ষেত্রে? তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এটার বিস্তৃতি কেমনভাবে বিন্যস্ত আছে, তার একটু পর্যালোচনা করা দরকার। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, ছাত্ররাই বা ছাত্ররাজনীতি যাঁরা করেন, তাঁরাই পরে রাজনীতিক হন বা রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। এখন যদি চলনে-বলনে, পোশাকে, যানবাহন ব্যবহারে, অর্থাৎ ভালো পোশাক পরে ভালো গাড়িতে চড়ে শুদ্ধ ভাষায় ইংরেজি-বাংলায় কথা বলাকে স্মার্ট ধরেন, তবে আসল, অর্থাৎ স্মার্ট রাজনীতি হবে না। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন সহজে বাস্তবায়ন হবে না।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে বিশৃঙ্খলা ও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকে ছাত্ররা, এভাবে ছাত্ররাজনীতি চলতে থাকলে স্মার্ট রাজনীতিবিদ তৈরি হবে না। ছাত্রনেতারা যদি জ্ঞান অর্জনের বাইরে অন্যায়ের প্রতিবাদ ছাড়া বা শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষাকেন্দ্রিক বা শিক্ষালয় কেন্দ্রের বাইরে অন্য কিছুতে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা প্রকৃত স্মার্ট রাজনীতি হবে না।
ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদেরা যদি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটিয়ে শুধু ঠিকাদারি ব্যবসা বা কমিশন-বাণিজ্য নিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলেও স্মার্ট রাজনীতি হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না।
রাজনীতিবিদদের সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি সর্বোপরি একটি দর্শন থাকতে হবে। এসব বিষয়ের ওপরে পড়াশোনাসহ গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। তাহলেই স্মার্ট রাজনীতিবিদ গড়ে উঠবে আমাদের সমাজে। হবে স্মার্ট রাজনীতি।
সঠিক সময়ে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সঠিক প্রকল্প গ্রহণ করা, দুর্নীতিমুক্ত থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনীতিবিদেরা। তাই তো রাজনীতিবিদদের চৌকস হতে হয়, সুদূরপ্রসারী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হয়। এই চৌকস ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে গভীর জ্ঞান থাকতে হয়, নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়। দেশের ইতিহাস, সমাজের ইতিহাসসহ বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, সমাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করতে হয়, সময় উপযোগী অর্থনীতি সমাজে সন্নিবেশিত করতে হয়। এসব করতে পারার সক্ষমতাকে বলে স্মার্ট রাজনীতি।
কোনো এক জেনারেল সামরিক শাসক ছাত্রদের নিয়ে হিজবুল বাহারে নৌভ্রমণ করতে গিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল, ছাত্রদের ঠিকাদারি ব্যবসাসহ কমিশন-বাণিজ্যে নিয়োজিত করেছিল। সেই থেকে আমাদের ছাত্রসমাজের মধ্যে স্মার্ট বলতে জামা কাপড়ের, যানবাহনে চলাচলের ও সম্পদ আহরণের স্মার্টনেস গড়ে উঠেছিল। আমরা আশা করব, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব কাঁধে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট রাজনীতিক তৈরি হবেন।
সমাজের যেকোনো পর্যায় থেকেই হোক না কেন, যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন, তাঁদের প্রথমেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত, দেশপ্রেম ও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করতে হবে। মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে সমাজের ক্ষতগুলোকে চিহ্নিত করে, এই ক্ষতগুলো নিরাময়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার মানসিকতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এই মানসিকতা ও সক্ষমতা যাঁদের থাকবে, তাঁরাই হবেন স্মার্ট রাজনীতিবিদ। এই স্মার্ট ব্যক্তিরাই স্মার্ট রাজনীতি করবেন। গড়ে তুলবেন স্মার্ট বাংলাদেশ।
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই—সবকিছুর মূলে রাজনীতি। তাই ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি হওয়া উচিত স্মার্ট।
লেখক: প্রকৌশলী
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে