মির্জাগঞ্জে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মাধবখালি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলাম তালুকদার ও আনারস প্রতীকের আব্দুল মালেক আকনের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান লাভলুর ভাই কাজী মশিউর রহমান বাবলু ও তাঁর সহযোগীরা এ হামলা করেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওই ইউপির পশ্চিম চৈতা পরানখালি কালভার্ট ও কাঁঠালতলী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে চশমা প্রতীকের ৪ সমর্থক ও আনারস প্রতীকের এক সমর্থক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনের কাছে গত রোববার পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় চশমা প্রতীকের সমর্থক বাহাদুর মোল্লা ও মো. রাসেল তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ কাজী বাবলুর নেতৃত্বে ১০–১৫টি মোটরসাইকেলে ৩০–৪০ জন লোক এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রাসেল ও বাহাদুর মোল্লা গুরুতর আহত হন। এরপর তাঁরা মহড়া দিয়ে কাঁঠালতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে গেলে সেখানে চশমা প্রতীকের সমর্থকদের দেখতে পেয়ে আবার হামলা করেন। এতে ইদ্রিস ও রাশেদ নামে দুই সমর্থক আহত হন। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক আকনের সমর্থক বেল্লাল হোসেনকেও মারধর করেন কাজী বাবলু ও তাঁর সমর্থকেরা।

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, ‘স্থানীয় শিশুর হাটে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে আমার কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, ‘ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’