আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত তিনটি বিপণিবিতান যেন নামেই মহিলা মার্কেট। নারী ব্যবসায়ী না থাকার অজুহাতে সেখানে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছেন পুরুষেরা।
উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, বেতগাড়ী হাট ও মন্থনা বাজারে বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ করা হয় বিপণিবিতান তিনটি। প্রতিটিতে রয়েছে ১২টি করে কক্ষ। এগুলো নির্মাণের পর থেকেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরকারি নীতিমালায় বলা আছে, নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ পরিবারের সদস্য, ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারী, বিধবা কিংবা ‘স্বামী পরিত্যক্ত’, পরিবারের প্রধান নারী যিনি ব্যবসা করতে আগ্রহী, অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল এমন নারীদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কোনোভাবেই বরাদ্দ পাওয়া দোকান অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত হাট কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের অবহেলার কারণে প্রায় সব দোকান পুরুষেরা পরিচালনা করছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাঁদের নারী স্বজনের নামে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা জামানত নিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
তবে রহিমা নামের এক বিধবা নারী জানান, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ কক্ষটিতে তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান। দোকানের ঘরগুলো অনেক আগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) গঙ্গাচড়া অফিসে সব তথ্য আছে। সব কক্ষের ভাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।’
ভাড়ার বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি দোকানের প্রতি বর্গফুট হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে। প্রাপ্ত ভাড়ার শতকরা ৫ ভাগ সরকারকে ভূমি রাজস্ব খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে দিতে হবে। ভাড়ার ১৫ ভাগ বিপণিবিতানের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে। বাকি ৮০ ভাগ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌর পরিষদের তহবিলে জমা হবে।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অবৈধ দখলদারেরা যত বড় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী হোক না কেন তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি সম্পদ কোনোভাবেই কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত তিনটি বিপণিবিতান যেন নামেই মহিলা মার্কেট। নারী ব্যবসায়ী না থাকার অজুহাতে সেখানে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছেন পুরুষেরা।
উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, বেতগাড়ী হাট ও মন্থনা বাজারে বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ করা হয় বিপণিবিতান তিনটি। প্রতিটিতে রয়েছে ১২টি করে কক্ষ। এগুলো নির্মাণের পর থেকেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরকারি নীতিমালায় বলা আছে, নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ পরিবারের সদস্য, ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারী, বিধবা কিংবা ‘স্বামী পরিত্যক্ত’, পরিবারের প্রধান নারী যিনি ব্যবসা করতে আগ্রহী, অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল এমন নারীদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কোনোভাবেই বরাদ্দ পাওয়া দোকান অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত হাট কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের অবহেলার কারণে প্রায় সব দোকান পুরুষেরা পরিচালনা করছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাঁদের নারী স্বজনের নামে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা জামানত নিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
তবে রহিমা নামের এক বিধবা নারী জানান, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ কক্ষটিতে তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান। দোকানের ঘরগুলো অনেক আগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) গঙ্গাচড়া অফিসে সব তথ্য আছে। সব কক্ষের ভাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।’
ভাড়ার বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি দোকানের প্রতি বর্গফুট হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে। প্রাপ্ত ভাড়ার শতকরা ৫ ভাগ সরকারকে ভূমি রাজস্ব খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে দিতে হবে। ভাড়ার ১৫ ভাগ বিপণিবিতানের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে। বাকি ৮০ ভাগ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌর পরিষদের তহবিলে জমা হবে।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অবৈধ দখলদারেরা যত বড় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী হোক না কেন তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি সম্পদ কোনোভাবেই কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে