ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার কলারোয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার ২ টাকা ৫০ পয়সা। তবু উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হয়নি আজও। ফলে ছোট্ট জায়গার ভেতরে গাদাগাদি করে কাজ করতে হয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
তা ছাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের আঙিনায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ। এতে দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হয় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করতে আসা সাধারণ মানুষদের। এমনকি অফিসের সামনের জায়গা দখল করে স্থানীয়রা হোটেল তৈরি করছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবরেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে নির্মিত উপজেলা সহকারী জজ আদালতের কার্যক্রম যেখানে চলত সেখানেই এখন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম চলে। কিন্তু আজও নির্দিষ্ট কোনো ভবন বা মালিকানা স্বত্ব না থাকায় অফিসের সকল কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পুরাতন এ ভবনে নেই স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
ছোট্ট একটি কক্ষে ৫ জনের বসার জায়গাতে ১২ জন অতিরিক্ত মেহরার নকলনবিশ কাজ করেন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হাসান বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নির্দিষ্ট কোনো ভবন না থাকায় নকলনবিশ দলিল লেখক ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য অফিসের এমন দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, অফিসের সামনের স্থানীয়দের কিছু ইট ও যত্রতত্র ময়লা রাখায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ময়লা, ইট ও অবৈধ দখল অপসারণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বেহাল দশার খবর শুনে পরিদর্শন করেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু।
পরিদর্শনের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গণে স্থানীয়দের যে ইট এবং ময়লার স্তূপ রয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক বিষয়। এমনকি উপজেলা পরিষদের জমি দখল নিয়ে যে হোটেল তৈরি হচ্ছে হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষকে পরিষদের জমি ছেড়ে হোটেল নির্মাণ করার জন্য বলা হয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসের আবর্জনার যে অংশ সামনে রয়েছে তা দুই দিনের মধ্যেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সাবরেজিস্ট্রি অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মালিকানাধীন জমি ভবন নেই। নির্দিষ্ট জমি ও একটি ভবনের প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
অফিসের দলিল লেখক আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা এত পরিশ্রম করি তবুও আমাদের সুযোগ-সুবিধা দূরের কথা সামান্য বসার জায়গা পাই না ঠিকমতো। আমাদের দাবি একটাই নতুন প্রশাসনিক ভবন করে দেওয়া হোক।’
হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ আলী হোসেন জানায়, ‘দীর্ঘদিনের নিজেদের জমির ওপরে হোটেল করা হচ্ছে তবুও যদি সরকারি জমির এক হাতও নেওয়া হয়ে থাকে তবুও সেটা সরিয়ে নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান জানায়, ‘বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সুজনের সহসভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ বলেন, উপজেলার সেই সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরকার প্রতি মাসেই কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় করে থাকে। সেই অফিসের নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নেই এটি লজ্জাজনক। নির্দিষ্ট ভবন না থাকায় ছোট্ট ছোট্ট কক্ষে দলিল নবিশদের ঠাসাঠাসি করে বসে কাজ করতে হয়। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের জন্য একটি নতুন প্রশাসনিক ভবনের জায়গা বরাদ্দ পেলে যেমন আঙিনাগুলো সুন্দর হবে তেমনি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। আশা করি সরকার এ বিষয়ে নজর দিবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার ২ টাকা ৫০ পয়সা। তবু উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হয়নি আজও। ফলে ছোট্ট জায়গার ভেতরে গাদাগাদি করে কাজ করতে হয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
তা ছাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের আঙিনায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ। এতে দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হয় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করতে আসা সাধারণ মানুষদের। এমনকি অফিসের সামনের জায়গা দখল করে স্থানীয়রা হোটেল তৈরি করছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবরেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে নির্মিত উপজেলা সহকারী জজ আদালতের কার্যক্রম যেখানে চলত সেখানেই এখন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম চলে। কিন্তু আজও নির্দিষ্ট কোনো ভবন বা মালিকানা স্বত্ব না থাকায় অফিসের সকল কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পুরাতন এ ভবনে নেই স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
ছোট্ট একটি কক্ষে ৫ জনের বসার জায়গাতে ১২ জন অতিরিক্ত মেহরার নকলনবিশ কাজ করেন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হাসান বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নির্দিষ্ট কোনো ভবন না থাকায় নকলনবিশ দলিল লেখক ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য অফিসের এমন দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, অফিসের সামনের স্থানীয়দের কিছু ইট ও যত্রতত্র ময়লা রাখায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ময়লা, ইট ও অবৈধ দখল অপসারণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বেহাল দশার খবর শুনে পরিদর্শন করেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু।
পরিদর্শনের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গণে স্থানীয়দের যে ইট এবং ময়লার স্তূপ রয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক বিষয়। এমনকি উপজেলা পরিষদের জমি দখল নিয়ে যে হোটেল তৈরি হচ্ছে হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষকে পরিষদের জমি ছেড়ে হোটেল নির্মাণ করার জন্য বলা হয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসের আবর্জনার যে অংশ সামনে রয়েছে তা দুই দিনের মধ্যেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সাবরেজিস্ট্রি অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মালিকানাধীন জমি ভবন নেই। নির্দিষ্ট জমি ও একটি ভবনের প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
অফিসের দলিল লেখক আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা এত পরিশ্রম করি তবুও আমাদের সুযোগ-সুবিধা দূরের কথা সামান্য বসার জায়গা পাই না ঠিকমতো। আমাদের দাবি একটাই নতুন প্রশাসনিক ভবন করে দেওয়া হোক।’
হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ আলী হোসেন জানায়, ‘দীর্ঘদিনের নিজেদের জমির ওপরে হোটেল করা হচ্ছে তবুও যদি সরকারি জমির এক হাতও নেওয়া হয়ে থাকে তবুও সেটা সরিয়ে নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান জানায়, ‘বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সুজনের সহসভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ বলেন, উপজেলার সেই সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরকার প্রতি মাসেই কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় করে থাকে। সেই অফিসের নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নেই এটি লজ্জাজনক। নির্দিষ্ট ভবন না থাকায় ছোট্ট ছোট্ট কক্ষে দলিল নবিশদের ঠাসাঠাসি করে বসে কাজ করতে হয়। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের জন্য একটি নতুন প্রশাসনিক ভবনের জায়গা বরাদ্দ পেলে যেমন আঙিনাগুলো সুন্দর হবে তেমনি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। আশা করি সরকার এ বিষয়ে নজর দিবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে