সম্পাদকীয়
ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় ভাষা আন্দোলনই হলো মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। আর তাই ভাষাশহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু বেদনার কথা যে ভাষাশহীদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সুযোগ ও বরাদ্দের ব্যবস্থা নেই। একই সঙ্গে তাঁদের যথাযথ সম্মানও করা হয় না। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও ভাষাশহীদদের স্বজনদের কণ্ঠে অভিমান এবং সমস্যায় জর্জরিত থাকার খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
পত্রিকার খবর থেকে জানা যায় পাঁচ ভাষাশহীদ পরিবারের কষ্ট ও বেদনার কথা। ভাষাশহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আইন উদ্দিন বরকত বলেন, ‘যাঁরা ভাষার জন্য শহীদ হলেন, তাঁদের পরিবারের কোনো সদস্যই একুশে বইমেলার অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান না। রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ দিনগুলোয় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের কুশলবিনিময়ের ব্যবস্থা করা হলেও ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁদের কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয় না।’
ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিনের ভাই খোরশেদ আলম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমাদের জন্যও কোটার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দিয়ে বা নানাভাবে আমাদের সম্মানিত করা যেত।’ ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন আদিবা রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেন না। আমি যোগাযোগ করলে তাঁরা নানা রকম কাগজপত্র চান। এখন ভাষাশহীদদের পরিচয় দিয়ে কোথাও আলোচনা করি না।’
ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের পুত্রবধূ ফিরোজা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী (জব্বারের ছেলে) নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ভাষাশহীদের ভাতা বাবদ ১০ হাজার টাকা পেতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেতেন। ২০২১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।’ ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অনেককে অনেক কিছু করে দিয়েছেন। তিনি যদি ভাষাশহীদ পরিবারের জন্য কিছু করে দেন, তাহলে আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা আজ বাংলায় কথা বলছি, কেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এই আক্ষেপ। এসব অভিমান কেন রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা শুনতে পাচ্ছেন না।বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে পরিচিত সরকারের কাছে কি আমাদের এ রকম প্রত্যাশা ছিল? তাদেরই তো এসব বিষয়ে বেশি তৎপর থাকার কথা ছিল।কিন্তু কেন এ রকম হলো? আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জাতি হিসেবে গর্বিত হই। কিন্তু যখন ভাষাশহীদদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্র থেকে অবমূল্যায়নের খবর প্রকাশিত হয়, তখন এই গর্বের মানে কী দাঁড়ায়? ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তাই সরকারকেই তাঁদের স্বজনদের জন্য যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি।
ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় ভাষা আন্দোলনই হলো মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। আর তাই ভাষাশহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু বেদনার কথা যে ভাষাশহীদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সুযোগ ও বরাদ্দের ব্যবস্থা নেই। একই সঙ্গে তাঁদের যথাযথ সম্মানও করা হয় না। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও ভাষাশহীদদের স্বজনদের কণ্ঠে অভিমান এবং সমস্যায় জর্জরিত থাকার খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
পত্রিকার খবর থেকে জানা যায় পাঁচ ভাষাশহীদ পরিবারের কষ্ট ও বেদনার কথা। ভাষাশহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আইন উদ্দিন বরকত বলেন, ‘যাঁরা ভাষার জন্য শহীদ হলেন, তাঁদের পরিবারের কোনো সদস্যই একুশে বইমেলার অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান না। রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ দিনগুলোয় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের কুশলবিনিময়ের ব্যবস্থা করা হলেও ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁদের কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয় না।’
ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিনের ভাই খোরশেদ আলম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমাদের জন্যও কোটার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দিয়ে বা নানাভাবে আমাদের সম্মানিত করা যেত।’ ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন আদিবা রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেন না। আমি যোগাযোগ করলে তাঁরা নানা রকম কাগজপত্র চান। এখন ভাষাশহীদদের পরিচয় দিয়ে কোথাও আলোচনা করি না।’
ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের পুত্রবধূ ফিরোজা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী (জব্বারের ছেলে) নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ভাষাশহীদের ভাতা বাবদ ১০ হাজার টাকা পেতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেতেন। ২০২১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।’ ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অনেককে অনেক কিছু করে দিয়েছেন। তিনি যদি ভাষাশহীদ পরিবারের জন্য কিছু করে দেন, তাহলে আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা আজ বাংলায় কথা বলছি, কেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এই আক্ষেপ। এসব অভিমান কেন রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা শুনতে পাচ্ছেন না।বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে পরিচিত সরকারের কাছে কি আমাদের এ রকম প্রত্যাশা ছিল? তাদেরই তো এসব বিষয়ে বেশি তৎপর থাকার কথা ছিল।কিন্তু কেন এ রকম হলো? আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জাতি হিসেবে গর্বিত হই। কিন্তু যখন ভাষাশহীদদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্র থেকে অবমূল্যায়নের খবর প্রকাশিত হয়, তখন এই গর্বের মানে কী দাঁড়ায়? ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তাই সরকারকেই তাঁদের স্বজনদের জন্য যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে