মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন বাড়ৈর জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্মতারিখ উল্লেখ ছিল ১ জানুয়ারি ১৯৬২। সেটি সংশোধন করে ১৪ এপ্রিল ১৯৫৪ করতে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ তিনি আবেদন করেছিলেন। এর প্রায় ২১ মাস পর ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাঁর নাম কর্তনের ফরম পূরণ করা হয়। সেই ফরমে ২০১৯ সালের ১৩ জুন সই করেন তথ্য সংগ্রহকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরও প্রায় তিন বছর পর ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আবেদন ঝুলে থাকা প্রয়াত সত্যরঞ্জন বাড়ৈর কাছে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ ও বয়স উল্লেখপূর্বক ওয়ারিশ সনদ চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঢাকা অঞ্চলের তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। সেই থেকে আবেদনটি অনিষ্পন্ন অবস্থায়ই পড়ে আছে।
এনআইডি সংশোধনের অসংখ্য আবেদন এভাবেই মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে থাকছে। অথচ প্রায় সব ধরনের নাগরিক সেবা পেতে এখন এনআইডির দরকার হয়। আবার অনেক সময় অনেক নাগরিকের এনআইডির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। ইসি থেকে এনআইডি সেবায় ভোগান্তি কমানোর নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে বারবার। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বরং এনআইডি সংশোধন করতে গিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, এনআইডি নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীরের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি থেকে চেয়ারটি খালি আছে। যদিও ৩০ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে এনআইডির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো কাজে যোগ দেননি। বর্তমানে এনআইডির মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে নাগরিকদের এনআইডি সেবা পেতে ভোগান্তি কমে। আমাদের এখানে দেখেন কী পরিমাণ সংশোধন হচ্ছে! এ মাসে ৪০০-৫০০ সংশোধন করা হয়েছে।’ ২০১৭ সালের আবেদন অনিষ্পন্ন থাকা এবং তিন বছর আগে মারা যাওয়া আবেদনকারীর কাছে তথ্য চাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি মারা গেছে, সেটি আর সংশোধন হবে না। ‘আমাদের অনলাইনে দেখা যায় লাখ লাখ আবেদন পড়ে আছে। মানুষ ভালো না হলে দ্রুত কাজ হবে কীভাবে?’
পুরান ঢাকার বাসিন্দা এক প্রবাসী সম্প্রতি এনআইডি সংশোধনের খোঁজ নিতে এসেছিলেন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে অবস্থিত ঢাকা অঞ্চলের অফিসে। তিনি ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, ভোটার হওয়ার সময় অন্য একজন ফরম পূরণ করে দেওয়ায় জন্মতারিখ ভুল হয়েছে। এনআইডিতে তাঁর জন্মতারিখ ১৬ মার্চ ১৯৫২ রয়েছে। তাঁর প্রকৃত জন্মতারিখ ১৯৮০ সালের ১৬ অক্টোবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় অনলাইন জন্মসনদও দিয়েছি। সেই জন্মসনদে জন্মতারিখ ১৯৮০ সালের ১৬ অক্টোবর উল্লেখ আছে। আমার পাসপোর্টেও একই জন্মসাল আছে। আমার মায়ের জন্মতারিখ ১৬ মে ১৯৫২।’ ওই প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে খোঁজ নিতে বেলা ৩টার পর ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের কক্ষে গেলে তিনি জানান সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছেন। আজকে আর হবে না।’
জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা ২০১৪ অনুযায়ী, এনআইডি সংশোধনের আবেদন করার পর জরুরি হলে সাত কার্যদিবস আর সাধারণ ফি দিয়ে আবেদন করলে তা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো আবেদন নামঞ্জুর করলে, নাগরিক তা জানার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইসিতে আপিল করতে পারেন। আপিল পাওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের তা নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে।
অনলাইনে লাখ লাখ আবেদন পড়ে আছে। মানুষ ভালো না হলে দ্রুত কাজ হবে কীভাবে?
অশোক কুমার দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব, ইসি
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইটিআই ভবনে অবস্থিত ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে দুই কর্মকর্তার কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাঁদের দপ্তরের সামনে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ওই সময় সেখানে ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মো. ফরিদুল ইসলামের কাছে ঢাকার উত্তরা থেকে আসা এক ভুক্তভোগী জানান, তাঁর নাম কাজী এনায়েত হোসেন বাদল, বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। এর আগে তাঁর কাছে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে সেগুলো দিয়ে যান। তখন বলা হয়েছিল, তাঁর মোবাইল ফোনে মেসেজ যাবে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখনো কোনো মেসেজ না আসায় খোঁজ নিতে আসলাম। কিন্তু এসে দেখি স্যার আসেননি। স্যারের দপ্তরে যাঁর কাছে এর আগে তথ্যগুলো দিয়ে গেছি, তিনি জানালেন স্যারের কাছে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে। স্যার পরে কী করেছেন, তা নাকি তিনি জানেন না।’
একই দিন বিকেলে কথা হয় গোপালগঞ্জ থেকে নির্বাচন ভবনে আসা এক দম্পতির সঙ্গে। এনআইডি সংশোধনের আবেদন করা লাইজু খানমের স্বামী নিজেকে গোপালগঞ্জের এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বলে পরিচয় দেন। লাইজু খানমের সংশোধনের আবেদনে দেখা যায়, তিনি বয়স তিন বছরের কিছু বেশি কমাতে এবং বাবার নাম এবাদত শেখ-এর পরিবর্তে এবাদৎ আলী শেখ লিখতে আবেদন করেছেন। আবেদনটি ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে আছে, যা দেখে ইসির কয়েকজন কর্মকর্তাও বিস্ময় প্রকাশ করেন। ওই কর্মকর্তারা জানান, এই আবেদনটি ‘খ’ বা বেশি হলে ‘গ’ ক্যাটাগরির।
ওই দম্পতি জানান, এর আগেও কয়েক দিন গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য বলেন, ‘কোনো উপায় না পেয়ে আজকে একজন মন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে এসেছি।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৭ সালে আবেদন করার পর ২০২২ সালে তথ্য চাওয়া—এটা তো চরম দায়িত্বহীনতা, চরম অদক্ষতা! তিনি বলেন, নাগরিকদের ভোগান্তি কমানোর দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, দুর্ভাগ্য হচ্ছে নাগরিকদের কিছু করার নেই। নাগরিকেরা কিছু বললেও তাঁরা এতে কর্ণপাত করেন না। এর অবসান হওয়া দরকার। জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন বাড়ৈর জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্মতারিখ উল্লেখ ছিল ১ জানুয়ারি ১৯৬২। সেটি সংশোধন করে ১৪ এপ্রিল ১৯৫৪ করতে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ তিনি আবেদন করেছিলেন। এর প্রায় ২১ মাস পর ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাঁর নাম কর্তনের ফরম পূরণ করা হয়। সেই ফরমে ২০১৯ সালের ১৩ জুন সই করেন তথ্য সংগ্রহকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরও প্রায় তিন বছর পর ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আবেদন ঝুলে থাকা প্রয়াত সত্যরঞ্জন বাড়ৈর কাছে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ ও বয়স উল্লেখপূর্বক ওয়ারিশ সনদ চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঢাকা অঞ্চলের তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। সেই থেকে আবেদনটি অনিষ্পন্ন অবস্থায়ই পড়ে আছে।
এনআইডি সংশোধনের অসংখ্য আবেদন এভাবেই মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে থাকছে। অথচ প্রায় সব ধরনের নাগরিক সেবা পেতে এখন এনআইডির দরকার হয়। আবার অনেক সময় অনেক নাগরিকের এনআইডির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। ইসি থেকে এনআইডি সেবায় ভোগান্তি কমানোর নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে বারবার। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বরং এনআইডি সংশোধন করতে গিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, এনআইডি নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীরের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি থেকে চেয়ারটি খালি আছে। যদিও ৩০ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে এনআইডির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো কাজে যোগ দেননি। বর্তমানে এনআইডির মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে নাগরিকদের এনআইডি সেবা পেতে ভোগান্তি কমে। আমাদের এখানে দেখেন কী পরিমাণ সংশোধন হচ্ছে! এ মাসে ৪০০-৫০০ সংশোধন করা হয়েছে।’ ২০১৭ সালের আবেদন অনিষ্পন্ন থাকা এবং তিন বছর আগে মারা যাওয়া আবেদনকারীর কাছে তথ্য চাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি মারা গেছে, সেটি আর সংশোধন হবে না। ‘আমাদের অনলাইনে দেখা যায় লাখ লাখ আবেদন পড়ে আছে। মানুষ ভালো না হলে দ্রুত কাজ হবে কীভাবে?’
পুরান ঢাকার বাসিন্দা এক প্রবাসী সম্প্রতি এনআইডি সংশোধনের খোঁজ নিতে এসেছিলেন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে অবস্থিত ঢাকা অঞ্চলের অফিসে। তিনি ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, ভোটার হওয়ার সময় অন্য একজন ফরম পূরণ করে দেওয়ায় জন্মতারিখ ভুল হয়েছে। এনআইডিতে তাঁর জন্মতারিখ ১৬ মার্চ ১৯৫২ রয়েছে। তাঁর প্রকৃত জন্মতারিখ ১৯৮০ সালের ১৬ অক্টোবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় অনলাইন জন্মসনদও দিয়েছি। সেই জন্মসনদে জন্মতারিখ ১৯৮০ সালের ১৬ অক্টোবর উল্লেখ আছে। আমার পাসপোর্টেও একই জন্মসাল আছে। আমার মায়ের জন্মতারিখ ১৬ মে ১৯৫২।’ ওই প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে খোঁজ নিতে বেলা ৩টার পর ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের কক্ষে গেলে তিনি জানান সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছেন। আজকে আর হবে না।’
জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা ২০১৪ অনুযায়ী, এনআইডি সংশোধনের আবেদন করার পর জরুরি হলে সাত কার্যদিবস আর সাধারণ ফি দিয়ে আবেদন করলে তা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো আবেদন নামঞ্জুর করলে, নাগরিক তা জানার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইসিতে আপিল করতে পারেন। আপিল পাওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের তা নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে।
অনলাইনে লাখ লাখ আবেদন পড়ে আছে। মানুষ ভালো না হলে দ্রুত কাজ হবে কীভাবে?
অশোক কুমার দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব, ইসি
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইটিআই ভবনে অবস্থিত ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে দুই কর্মকর্তার কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাঁদের দপ্তরের সামনে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ওই সময় সেখানে ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মো. ফরিদুল ইসলামের কাছে ঢাকার উত্তরা থেকে আসা এক ভুক্তভোগী জানান, তাঁর নাম কাজী এনায়েত হোসেন বাদল, বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। এর আগে তাঁর কাছে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে সেগুলো দিয়ে যান। তখন বলা হয়েছিল, তাঁর মোবাইল ফোনে মেসেজ যাবে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখনো কোনো মেসেজ না আসায় খোঁজ নিতে আসলাম। কিন্তু এসে দেখি স্যার আসেননি। স্যারের দপ্তরে যাঁর কাছে এর আগে তথ্যগুলো দিয়ে গেছি, তিনি জানালেন স্যারের কাছে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে। স্যার পরে কী করেছেন, তা নাকি তিনি জানেন না।’
একই দিন বিকেলে কথা হয় গোপালগঞ্জ থেকে নির্বাচন ভবনে আসা এক দম্পতির সঙ্গে। এনআইডি সংশোধনের আবেদন করা লাইজু খানমের স্বামী নিজেকে গোপালগঞ্জের এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বলে পরিচয় দেন। লাইজু খানমের সংশোধনের আবেদনে দেখা যায়, তিনি বয়স তিন বছরের কিছু বেশি কমাতে এবং বাবার নাম এবাদত শেখ-এর পরিবর্তে এবাদৎ আলী শেখ লিখতে আবেদন করেছেন। আবেদনটি ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে আছে, যা দেখে ইসির কয়েকজন কর্মকর্তাও বিস্ময় প্রকাশ করেন। ওই কর্মকর্তারা জানান, এই আবেদনটি ‘খ’ বা বেশি হলে ‘গ’ ক্যাটাগরির।
ওই দম্পতি জানান, এর আগেও কয়েক দিন গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য বলেন, ‘কোনো উপায় না পেয়ে আজকে একজন মন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে এসেছি।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৭ সালে আবেদন করার পর ২০২২ সালে তথ্য চাওয়া—এটা তো চরম দায়িত্বহীনতা, চরম অদক্ষতা! তিনি বলেন, নাগরিকদের ভোগান্তি কমানোর দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, দুর্ভাগ্য হচ্ছে নাগরিকদের কিছু করার নেই। নাগরিকেরা কিছু বললেও তাঁরা এতে কর্ণপাত করেন না। এর অবসান হওয়া দরকার। জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে