রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূল্যতালিকা অনুযায়ী দাঁতের স্থায়ী ফিলিং করাতে ব্যবহৃত সিলভার অ্যালয়ের প্রতি গ্রামের দাম ৮৪ টাকা। অথচ রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল প্রতি গ্রাম সিলভার অ্যালয় কিনেছে ৩ হাজার ১৫০ টাকায়। মোট ৩২৫ গ্রাম কিনতে খরচ করেছে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ ২৭ হাজার ৪০০ টাকার সিলভার অ্যালয় কিনতেই সরকারের ক্ষতি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা।
হাসপাতালটির গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) কেনাকাটায় এই অসংগতি উঠে এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষায়। ওই দরপত্রে প্রায় ৩ কোটি টাকার কেনাকাটা হলেও ২ কোটি টাকার মালামালের অস্তিত্বই পায়নি নিরীক্ষা দল। গত ডিসেম্বরে এই নিরীক্ষা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা দল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বাজারমূল্যের টেম্পারেচার চার্ট হোল্ডার (রোগীর স্বাস্থ্যতথ্য লেখা থাকার স্টিলের পেপার হোল্ডার) কেনা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপনের নামে কোটেশন করে টাকা বরাদ্দ দিলেও বিলবোর্ডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এসআর) মূল্যতালিকায় ৩০ গ্রাম সিলভার অ্যালয়ের (এমালগাম পাউডার) নির্ধারিত দাম ২ হাজার ৫৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি গ্রামের দাম ৮৪ টাকা। গত অর্থবছরে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ৩২৫ গ্রাম সিলভার অ্যালয় কেনায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা।
জানতে চাইলে হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী এনামুল হক বলেন, তিনি পাঁচ মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি আসার আগে ওই কেনাকাটা হয়েছে। নিরীক্ষা দল চাহিদার অতিরিক্ত ওষুধ কেনা, দরপত্রে উল্লিখিত কেমিক্যালের দুই-তৃতীয়াংশ মালামাল স্টোরে না পাওয়ার কথা বলেছে। নিরীক্ষা দলের মনে হয়েছে, মালামাল কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় বিধি (পিপিআর) অনুসরণ হয়নি। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ডা. কাজী এনামুল হক জানান, এ বিষয়ে ১৬ জানুয়ারি হাসপাতালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সরকারি মূল্যতালিকায় সিলভার অ্যালয় লেখা থাকলেও ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরপত্রে লিখেছে ডেন্টাল অ্যালয়। এ দুটির পার্থক্য জানতে চাইলে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবীর বুলবুল বলেন, সিলভার অ্যালয় ও ডেন্টাল অ্যালয় একই দ্রব্য। ক্ষতিকর উপাদান থাকায় তাঁরা এগুলো ব্যবহার করেন না। এর মাধ্যমে মুখে ইনফেকশন হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জানা গেছে, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহফুজ আরা বেগম ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকাকালে প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল সরবরাহের ওই কার্যাদেশ পেয়েছিল মিতুল এন্টারপ্রাইজ। কার্যাদেশ অনুযায়ী রিএজেন্ট না পাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যা তদন্ত কমিটি গঠনের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য ডা. মাহফুজ আরা বেগম বলেন, ডেন্টাল অ্যালয় ও টেম্পারেচার চার্ট কেনায় অনিয়ম হয়নি। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিরীক্ষা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা দল আপত্তি জানালেও তাঁরা এখনো আপত্তি পাননি। সেটা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সিলভার অ্যালয় ১০টি বোতলে ৩০ গ্রাম করে দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহকারী একটি বোতলে ৩০০ গ্রাম দেওয়ায় হিসাবে সমস্যা হয়েছে।
এদিকে সে সময় ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে হাসপাতালের শিশু বিভাগের আরপি ডা. ইমরুল হাসানের থাকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. মাহফুজ আরা বেগম বলেন, সাতটি কমিটির দুটিতে তাঁকে রাখা হয়েছে। এই কমিটি আগের তত্ত্বাবধায়ক করে গেছেন।
সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, কেনাকাটার এসআর রেটটি বেশ আগের। তাই নিয়ম অনুযায়ী একটি বাজারদর যাচাই কমিটি করতে হবে। তিনি বলেন, কেনাকাটায় নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তির দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। এর একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূল্যতালিকা অনুযায়ী দাঁতের স্থায়ী ফিলিং করাতে ব্যবহৃত সিলভার অ্যালয়ের প্রতি গ্রামের দাম ৮৪ টাকা। অথচ রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল প্রতি গ্রাম সিলভার অ্যালয় কিনেছে ৩ হাজার ১৫০ টাকায়। মোট ৩২৫ গ্রাম কিনতে খরচ করেছে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ ২৭ হাজার ৪০০ টাকার সিলভার অ্যালয় কিনতেই সরকারের ক্ষতি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা।
হাসপাতালটির গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) কেনাকাটায় এই অসংগতি উঠে এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষায়। ওই দরপত্রে প্রায় ৩ কোটি টাকার কেনাকাটা হলেও ২ কোটি টাকার মালামালের অস্তিত্বই পায়নি নিরীক্ষা দল। গত ডিসেম্বরে এই নিরীক্ষা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা দল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বাজারমূল্যের টেম্পারেচার চার্ট হোল্ডার (রোগীর স্বাস্থ্যতথ্য লেখা থাকার স্টিলের পেপার হোল্ডার) কেনা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপনের নামে কোটেশন করে টাকা বরাদ্দ দিলেও বিলবোর্ডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এসআর) মূল্যতালিকায় ৩০ গ্রাম সিলভার অ্যালয়ের (এমালগাম পাউডার) নির্ধারিত দাম ২ হাজার ৫৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি গ্রামের দাম ৮৪ টাকা। গত অর্থবছরে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ৩২৫ গ্রাম সিলভার অ্যালয় কেনায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা।
জানতে চাইলে হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী এনামুল হক বলেন, তিনি পাঁচ মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি আসার আগে ওই কেনাকাটা হয়েছে। নিরীক্ষা দল চাহিদার অতিরিক্ত ওষুধ কেনা, দরপত্রে উল্লিখিত কেমিক্যালের দুই-তৃতীয়াংশ মালামাল স্টোরে না পাওয়ার কথা বলেছে। নিরীক্ষা দলের মনে হয়েছে, মালামাল কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় বিধি (পিপিআর) অনুসরণ হয়নি। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ডা. কাজী এনামুল হক জানান, এ বিষয়ে ১৬ জানুয়ারি হাসপাতালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সরকারি মূল্যতালিকায় সিলভার অ্যালয় লেখা থাকলেও ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরপত্রে লিখেছে ডেন্টাল অ্যালয়। এ দুটির পার্থক্য জানতে চাইলে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবীর বুলবুল বলেন, সিলভার অ্যালয় ও ডেন্টাল অ্যালয় একই দ্রব্য। ক্ষতিকর উপাদান থাকায় তাঁরা এগুলো ব্যবহার করেন না। এর মাধ্যমে মুখে ইনফেকশন হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জানা গেছে, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহফুজ আরা বেগম ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকাকালে প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল সরবরাহের ওই কার্যাদেশ পেয়েছিল মিতুল এন্টারপ্রাইজ। কার্যাদেশ অনুযায়ী রিএজেন্ট না পাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যা তদন্ত কমিটি গঠনের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য ডা. মাহফুজ আরা বেগম বলেন, ডেন্টাল অ্যালয় ও টেম্পারেচার চার্ট কেনায় অনিয়ম হয়নি। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিরীক্ষা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা দল আপত্তি জানালেও তাঁরা এখনো আপত্তি পাননি। সেটা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সিলভার অ্যালয় ১০টি বোতলে ৩০ গ্রাম করে দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহকারী একটি বোতলে ৩০০ গ্রাম দেওয়ায় হিসাবে সমস্যা হয়েছে।
এদিকে সে সময় ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে হাসপাতালের শিশু বিভাগের আরপি ডা. ইমরুল হাসানের থাকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. মাহফুজ আরা বেগম বলেন, সাতটি কমিটির দুটিতে তাঁকে রাখা হয়েছে। এই কমিটি আগের তত্ত্বাবধায়ক করে গেছেন।
সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, কেনাকাটার এসআর রেটটি বেশ আগের। তাই নিয়ম অনুযায়ী একটি বাজারদর যাচাই কমিটি করতে হবে। তিনি বলেন, কেনাকাটায় নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তির দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। এর একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে