সাইফুল মাসুম ও সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা) থেকে
প্রখ্যাত কবি সিকান্দার আবু জাফরের নামে মেলা চলছে তাঁর জন্মস্থান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। কবি ১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর মার্চে মেলার আয়োজন করা হয়। এবারের মেলা ঘিরে চলছে যাত্রাপালা, লটারি, বিচিত্রা, নাগরদোলাসহ নানা আয়োজন।
অভিযোগ রয়েছে, কবির নামে চলা মেলায় কোটি কোটি টাকার লটারি-বাণিজ্য হয়। যদিও কবির স্মৃতি রক্ষায় মেলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। স্থানীয় সুশীল সমাজ বলছে, কবির নাম ব্যবহার করে মেলার অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে কবির স্মৃতি তুলে ধরার পরিবর্তে সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়ানো হচ্ছে।
মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই মেলা জমে ওঠে প্রতিদিন বিকেলে, চলে ভোররাত পর্যন্ত। এতে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর জেলার কয়েক হাজার দর্শনার্থী অংশ নেন। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া গ্রামে কবির বসতবাড়ির পাশে জমজমাট মেলা চলছে। মেলাজুড়ে রয়েছে খাবার, কসমেটিক, ফার্নিচারের দোকান, নাগরদোলা, বিচিত্রা ও যাত্রাপালার প্যান্ডেল। চলছে রমরমা লটারি বিক্রি।
মেলার মাঠে লটারি বিক্রেতা মোহাম্মদ নাজমুল জানালেন, অন্যদিন ভ্যানে করে এলাকা ঘুরে লটারি বিক্রি করতেন। আজ তিনি মেলার মাঠে লটারি বিক্রি করছেন। তিনি দিনে প্রায় ১৫ হাজার টাকার লটারি বিক্রি করেন।
শুধু নাজমুল নন, প্রায় দুই শতাধিক লটারি বিক্রেতা এলাকা ঘুরে লটারি বিক্রি করেন। মাইকে আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়। জানা গেছে, সিকান্দার আবু জাফর মেলার নামে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ টাকার লটারি বিক্রি হয়। মোটরসাইকেল, সোনার চেইন, মোবাইলসহ দিনে প্রায় ১০ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়। আর বাকি লাভের টাকা মেলার আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা জেলা ও তালা উপজেলার ক্ষমতাসীনেরা ভাগ করে নেন।
মেলার লাভের টাকা অনেকে পকেটে পুরলেও লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন হাজার হাজার গরিব অসহায় মানুষ। তালার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন জানান, ভাগ্য পরীক্ষা করতে প্রতিদিন তিনি লটারি কেনেন, পুরস্কারের জন্য বন্ধুদের নিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত মেলায় অপেক্ষা করেন। কিন্তু এক দিনও লটারি জেতেননি।
কবির নাম ব্যবহার করে এমন মেলার আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তালা উপজেলার নাগরিক কমিটির নেতা মীর জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, অনেক মানুষ কবি সিকান্দার আবু জাফর সম্পর্কে জানতে মেলায় আসেন। কিন্তু দেখেন যাত্রাপালা আর অন্যরকম নাচগান। এসবে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা হয় না। মেলায় কবির নামটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। বাণিজ্য করার জন্য শুধু কবির নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলার শিল্পকলা একাডেমির সদস্যসচিব মুশফিকুর রহমান মিলটন বলেন, এবার বিভিন্ন কারণে কবিকে নিয়ে কোনো আয়োজন হয়নি। তবে ১৯ মার্চ কবির জন্মদিনে আলোচনা সভা করা হবে। লটারি ও যাত্রাপালার বিষয়ে তিনি বলেন, লটারির লিখিত অনুমোদন নেই। তবে যাত্রাপালাসহ অন্যান্য আয়োজনের বিষয়ে স্থানীয় সমন্বয়কারীরা দেখেন।
প্রখ্যাত কবি সিকান্দার আবু জাফরের নামে মেলা চলছে তাঁর জন্মস্থান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। কবি ১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর মার্চে মেলার আয়োজন করা হয়। এবারের মেলা ঘিরে চলছে যাত্রাপালা, লটারি, বিচিত্রা, নাগরদোলাসহ নানা আয়োজন।
অভিযোগ রয়েছে, কবির নামে চলা মেলায় কোটি কোটি টাকার লটারি-বাণিজ্য হয়। যদিও কবির স্মৃতি রক্ষায় মেলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। স্থানীয় সুশীল সমাজ বলছে, কবির নাম ব্যবহার করে মেলার অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে কবির স্মৃতি তুলে ধরার পরিবর্তে সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়ানো হচ্ছে।
মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই মেলা জমে ওঠে প্রতিদিন বিকেলে, চলে ভোররাত পর্যন্ত। এতে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর জেলার কয়েক হাজার দর্শনার্থী অংশ নেন। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া গ্রামে কবির বসতবাড়ির পাশে জমজমাট মেলা চলছে। মেলাজুড়ে রয়েছে খাবার, কসমেটিক, ফার্নিচারের দোকান, নাগরদোলা, বিচিত্রা ও যাত্রাপালার প্যান্ডেল। চলছে রমরমা লটারি বিক্রি।
মেলার মাঠে লটারি বিক্রেতা মোহাম্মদ নাজমুল জানালেন, অন্যদিন ভ্যানে করে এলাকা ঘুরে লটারি বিক্রি করতেন। আজ তিনি মেলার মাঠে লটারি বিক্রি করছেন। তিনি দিনে প্রায় ১৫ হাজার টাকার লটারি বিক্রি করেন।
শুধু নাজমুল নন, প্রায় দুই শতাধিক লটারি বিক্রেতা এলাকা ঘুরে লটারি বিক্রি করেন। মাইকে আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়। জানা গেছে, সিকান্দার আবু জাফর মেলার নামে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ টাকার লটারি বিক্রি হয়। মোটরসাইকেল, সোনার চেইন, মোবাইলসহ দিনে প্রায় ১০ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়। আর বাকি লাভের টাকা মেলার আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা জেলা ও তালা উপজেলার ক্ষমতাসীনেরা ভাগ করে নেন।
মেলার লাভের টাকা অনেকে পকেটে পুরলেও লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন হাজার হাজার গরিব অসহায় মানুষ। তালার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন জানান, ভাগ্য পরীক্ষা করতে প্রতিদিন তিনি লটারি কেনেন, পুরস্কারের জন্য বন্ধুদের নিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত মেলায় অপেক্ষা করেন। কিন্তু এক দিনও লটারি জেতেননি।
কবির নাম ব্যবহার করে এমন মেলার আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তালা উপজেলার নাগরিক কমিটির নেতা মীর জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, অনেক মানুষ কবি সিকান্দার আবু জাফর সম্পর্কে জানতে মেলায় আসেন। কিন্তু দেখেন যাত্রাপালা আর অন্যরকম নাচগান। এসবে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা হয় না। মেলায় কবির নামটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। বাণিজ্য করার জন্য শুধু কবির নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলার শিল্পকলা একাডেমির সদস্যসচিব মুশফিকুর রহমান মিলটন বলেন, এবার বিভিন্ন কারণে কবিকে নিয়ে কোনো আয়োজন হয়নি। তবে ১৯ মার্চ কবির জন্মদিনে আলোচনা সভা করা হবে। লটারি ও যাত্রাপালার বিষয়ে তিনি বলেন, লটারির লিখিত অনুমোদন নেই। তবে যাত্রাপালাসহ অন্যান্য আয়োজনের বিষয়ে স্থানীয় সমন্বয়কারীরা দেখেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে