ঢাকার কেরানীগঞ্জে রেশমা বেগম (৩০) নামে এক প্রবাসফেরত নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী নুরুল ইসলামের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তিনি পলাতক রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়নের বরিশুর এলাকার মাসুদ হাজীর চারতলা ভবনের চতুর্থ তালায় এ ঘটনা ঘটে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। রেশমা বরিশাল জেলার মুলাদি থানার চর পদ্মা গ্রামের সোলাইমান সিকদারের মেয়ে। নুরুল ইসলাম শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার বানিঘাটা গ্রামের মজিবুর মোল্লার ছেলে।

নিহতের ছেলে আলামিন বলেন, ‘দুপুরে আমার বাবা নানার বাসায় এসে জানান, তোমার মা বিদেশে চলে যেতে চায় তাই তাঁকে তালা দিয়ে রেখে এসেছি। তোমরা গিয়ে দেখো তোমার মার কী অবস্থা। পরে গিয়ে সেখানে রক্ত দেখে আমার নানিকে সঙ্গে নিয়ে দরজা খুলে মার লাশ দেখতে পাই।’

জানা গেছে, তিন মাস আগে রেশমার সঙ্গে তাঁর স্বামী নুরুল ইসলামের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ঈদের পরে রেশমা গ্রামের বাড়ি থেকে এসে বরিশুর এলাকায় তাঁর মা আয়শা বেগমের ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। এ সময় স্বামী নুরুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ি আয়শা ও স্ত্রী রেশমার সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং তাঁর শাশুড়ির বাড়িতে কয়েক দিন থাকেন। গতকাল নুরুল ইসলাম দুপুর ১২টায় রেশমাকে কৌশলে বরিশুর এলাকায় তাঁর মেসে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া জানান, বরিশুর এলাকায় প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী তাঁর ছেলেকে খবর দিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।