চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সদরের একটি গুচ্ছগ্রামের ৫০টি ঘরের মধ্যে ৪০টিই ফাঁকা পড়ে আছে। এসব ফাঁকা ঘর পাইয়ে দিতে একটি দালাল চক্র মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেড় বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এসব ঘর এখনো কারও নামে বরাদ্দ দেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এদিকে জমির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।
উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় জেগে ওঠা চরে বাখরপুর গুচ্ছগ্রামের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে মোট ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকিগুলোতে কেউ ওঠেননি।
উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাঁকা ঘরগুলো বরাদ্দ দিতে ৯ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল। কিন্তু সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পরে সেটি বাতিল করা হয়। ওই তালিকা কবে ও কাদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল, সেই তথ্য জানাতে চায়নি সূত্রটি।
সম্প্রতি গুচ্ছগ্রামটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, ১০টি ঘরে সুবিধাভোগীরা বসবাস করছেন। তিনটি ঘরে উঠেছেন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেরা। বাকি ঘরগুলোর কোনোটির দরজায় তালা দেওয়া, আবার কোনোটি দরজা-জানালা খোলা।
বাখরপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় স্থানীয় একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। তারা অসহায় মানুষদের ঘর বরাদ্দ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে। এক নারী বলেন, তিনি চন্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ছেলেকে ১০ হাজার টাকা দিয়েও ঘর পাননি।
গুচ্ছগ্রামের ৫০ নম্বর ঘরে থাকেন তাজুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, বাখরপুরের বাসিন্দা মনা শেখ, খলিল খাঁ, সাদ্দাম মাহমুদ, কালু পাটওয়ারী ও পগু গাজী অনেকের কাছে থেকে টাকা চাইছেন। তাঁরা দাবি করছেন, গুচ্ছগ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে। টাকা দিলে এসব ঘর লিখে দেবেন। এ ছাড়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হোসেনও ঘর বরাদ্দের পর বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাদ্দাম মাহমুদ চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। পেশায় কৃষক মনা শেখ হানারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। খলিল খাঁর বাড়ি বাখরপুরে। কালু পাটোয়ারী পরিবার নিয়ে থাকেন ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুরে। পগু গাজীর বাড়ি হরিপুরে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সবাই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
সাদ্দামের ভাষ্য, স্থানীয় লোকজন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কালু পাটোয়ারীর দাবি, তাঁর স্ত্রীর নামে একটি ঘর আছে। কিন্তু তাঁরা ফরিদগঞ্জে থাকায় ওই ঘর ব্যবহার করেন না।
কালু পাটোয়ারীর দাবি যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের কাছে বরাদ্দের তালিকা চাওয়া হয়। তবে তিনি সেই তালিকা দেননি।
আর সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে চান্দ্রা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, তিনি ব্যাংকে আছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। গতকাল বুধবার তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেননি।
টাকা দিয়েও ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেন বাখরপুর এলাকার বাসিন্দা খুকি বেগম। তাঁর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলীর ছেলে মেহেদী ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘর পাননি। মেহেদী এখন পর্তুগালপ্রবাসী।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খান জাহান আলী বলেন, ওই নারীর অভিযোগ মিথ্যা। মেহেদী এ ধরনের কোনো কাজ করেননি।
জমি নিয়ে মামলা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে জমিতে গুচ্ছগ্রাম করা হয়েছে, তা কয়েক বছর আগে মেঘনা নদীতে বিলীন হয়। এরপর সেটি আবার জেগে ওঠে। বিলীন হওয়ার আগে ওই জমির মালিক ছিলেন স্থানীয় কলিম গাজীর বংশধর কামরুল, নজরুল ও আমিনুল ইসলাম। গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ শুরু হলে তাঁদের পক্ষে আদালতে মামলা করেন বাখরপুরের বাসিন্দা নবু গাজী।
জানতে চাইলে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ বলেন, এসব ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর দালাল চক্র হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাঁদের ডেকে আনা হবে।
চাঁদপুর সদরের একটি গুচ্ছগ্রামের ৫০টি ঘরের মধ্যে ৪০টিই ফাঁকা পড়ে আছে। এসব ফাঁকা ঘর পাইয়ে দিতে একটি দালাল চক্র মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেড় বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এসব ঘর এখনো কারও নামে বরাদ্দ দেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এদিকে জমির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।
উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় জেগে ওঠা চরে বাখরপুর গুচ্ছগ্রামের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে মোট ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকিগুলোতে কেউ ওঠেননি।
উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাঁকা ঘরগুলো বরাদ্দ দিতে ৯ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল। কিন্তু সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পরে সেটি বাতিল করা হয়। ওই তালিকা কবে ও কাদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল, সেই তথ্য জানাতে চায়নি সূত্রটি।
সম্প্রতি গুচ্ছগ্রামটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, ১০টি ঘরে সুবিধাভোগীরা বসবাস করছেন। তিনটি ঘরে উঠেছেন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেরা। বাকি ঘরগুলোর কোনোটির দরজায় তালা দেওয়া, আবার কোনোটি দরজা-জানালা খোলা।
বাখরপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় স্থানীয় একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। তারা অসহায় মানুষদের ঘর বরাদ্দ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে। এক নারী বলেন, তিনি চন্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ছেলেকে ১০ হাজার টাকা দিয়েও ঘর পাননি।
গুচ্ছগ্রামের ৫০ নম্বর ঘরে থাকেন তাজুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, বাখরপুরের বাসিন্দা মনা শেখ, খলিল খাঁ, সাদ্দাম মাহমুদ, কালু পাটওয়ারী ও পগু গাজী অনেকের কাছে থেকে টাকা চাইছেন। তাঁরা দাবি করছেন, গুচ্ছগ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে। টাকা দিলে এসব ঘর লিখে দেবেন। এ ছাড়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হোসেনও ঘর বরাদ্দের পর বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাদ্দাম মাহমুদ চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। পেশায় কৃষক মনা শেখ হানারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। খলিল খাঁর বাড়ি বাখরপুরে। কালু পাটোয়ারী পরিবার নিয়ে থাকেন ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুরে। পগু গাজীর বাড়ি হরিপুরে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সবাই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
সাদ্দামের ভাষ্য, স্থানীয় লোকজন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কালু পাটোয়ারীর দাবি, তাঁর স্ত্রীর নামে একটি ঘর আছে। কিন্তু তাঁরা ফরিদগঞ্জে থাকায় ওই ঘর ব্যবহার করেন না।
কালু পাটোয়ারীর দাবি যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের কাছে বরাদ্দের তালিকা চাওয়া হয়। তবে তিনি সেই তালিকা দেননি।
আর সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে চান্দ্রা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, তিনি ব্যাংকে আছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। গতকাল বুধবার তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেননি।
টাকা দিয়েও ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেন বাখরপুর এলাকার বাসিন্দা খুকি বেগম। তাঁর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলীর ছেলে মেহেদী ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘর পাননি। মেহেদী এখন পর্তুগালপ্রবাসী।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খান জাহান আলী বলেন, ওই নারীর অভিযোগ মিথ্যা। মেহেদী এ ধরনের কোনো কাজ করেননি।
জমি নিয়ে মামলা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে জমিতে গুচ্ছগ্রাম করা হয়েছে, তা কয়েক বছর আগে মেঘনা নদীতে বিলীন হয়। এরপর সেটি আবার জেগে ওঠে। বিলীন হওয়ার আগে ওই জমির মালিক ছিলেন স্থানীয় কলিম গাজীর বংশধর কামরুল, নজরুল ও আমিনুল ইসলাম। গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ শুরু হলে তাঁদের পক্ষে আদালতে মামলা করেন বাখরপুরের বাসিন্দা নবু গাজী।
জানতে চাইলে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ বলেন, এসব ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর দালাল চক্র হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাঁদের ডেকে আনা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে