জাকির হোসেন রাজু, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ)
মরে যাচ্ছে তরমুজের চারা। ফুল ধরলেও ফল ধরছে না। দু-একটি গাছে ফলন এলেও তা আকারে ছোট। পাতা কোঁকড়া রোগে আক্রান্ত বিশ্বম্ভরপুরের অধিকাংশ তরমুজের খেতেই দেখা যায় এ দৃশ্য। এমন অবস্থায় তরমুজের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, ২০ বছর ধরে এ উপজেলায় তরমুজ আবাদ হচ্ছে। চাষিদের পাশাপাশি দিনমজুরেরাও প্রতিবছর এ মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে। মাটি, পানি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলে তরমুজের ফলনও ভালো হয়। এতে প্রতিবছরই তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কিন্তু দুই বছর ধরে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে তাঁ.দের।
স্বরূপগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকায় আমি ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বীজ বপন করি। গাছে ফুল এসেছে, তবে তেমন ফল ধরেনি। জমিতে জৈব সার, কীটনাশক সবই দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।’
আব্দুল আওয়াল আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তরমুজ লাগানো পাশের উপজেলা তাহিরপুরে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তারা তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। এদিকে খেতে কয়েকটি তরমুজ ধরেছে, কিন্তু তা-ও বড় হচ্ছে না। এ বছর খরচের টাকা ওঠাতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।’
কৃষক সালাম মিয়া বলেন, ‘এমন এক রোগ ধরেছে যে একের পর এক গাছ মরে যাচ্ছে। খেত বাঁচানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। বীজ থেকে সময়মতো চারা গজিয়ে লতানো গাছে খেত ছেয়ে যায়। ফুলও ধরে। কিন্তু তরমুজ আর ধরে না। দু-একটি গাছে একটি-দুটি তরমুজ ধরলেও তা আকারে খুবই ছোট।’
‘এদিকে ব্যাংকের ঋণ ও সারের দোকানে বাকি রেখে তরমুজ লাগিয়েছি। এভাবে গাছ মরে খেত নষ্ট হতে থাকলে সেই ঋণ পরিশোধ করা মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই এ পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে কৃষকদের মাঠেই মারা যেতে হবে।’ বলেন সালাম মিয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, বিশ্বম্ভরপুরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একটু দেরি করে চাষ করায় কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ফলন বাড়ানো সম্ভব।
মরে যাচ্ছে তরমুজের চারা। ফুল ধরলেও ফল ধরছে না। দু-একটি গাছে ফলন এলেও তা আকারে ছোট। পাতা কোঁকড়া রোগে আক্রান্ত বিশ্বম্ভরপুরের অধিকাংশ তরমুজের খেতেই দেখা যায় এ দৃশ্য। এমন অবস্থায় তরমুজের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, ২০ বছর ধরে এ উপজেলায় তরমুজ আবাদ হচ্ছে। চাষিদের পাশাপাশি দিনমজুরেরাও প্রতিবছর এ মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে। মাটি, পানি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলে তরমুজের ফলনও ভালো হয়। এতে প্রতিবছরই তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কিন্তু দুই বছর ধরে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে তাঁ.দের।
স্বরূপগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকায় আমি ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বীজ বপন করি। গাছে ফুল এসেছে, তবে তেমন ফল ধরেনি। জমিতে জৈব সার, কীটনাশক সবই দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।’
আব্দুল আওয়াল আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তরমুজ লাগানো পাশের উপজেলা তাহিরপুরে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তারা তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। এদিকে খেতে কয়েকটি তরমুজ ধরেছে, কিন্তু তা-ও বড় হচ্ছে না। এ বছর খরচের টাকা ওঠাতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।’
কৃষক সালাম মিয়া বলেন, ‘এমন এক রোগ ধরেছে যে একের পর এক গাছ মরে যাচ্ছে। খেত বাঁচানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। বীজ থেকে সময়মতো চারা গজিয়ে লতানো গাছে খেত ছেয়ে যায়। ফুলও ধরে। কিন্তু তরমুজ আর ধরে না। দু-একটি গাছে একটি-দুটি তরমুজ ধরলেও তা আকারে খুবই ছোট।’
‘এদিকে ব্যাংকের ঋণ ও সারের দোকানে বাকি রেখে তরমুজ লাগিয়েছি। এভাবে গাছ মরে খেত নষ্ট হতে থাকলে সেই ঋণ পরিশোধ করা মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই এ পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে কৃষকদের মাঠেই মারা যেতে হবে।’ বলেন সালাম মিয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, বিশ্বম্ভরপুরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একটু দেরি করে চাষ করায় কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ফলন বাড়ানো সম্ভব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে