এস এস শোহান, বাগেরহাট
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রথমবার তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিন বন্ধু। উপজেলার বলেশ্বর নদের বেড়িবাঁধের পাশের মাঠে তাঁদের তিন বিঘা জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছেন জিলবুনিয়া গ্রামের লোকমান, মামুন ও মানিক নামের তিন বন্ধু।
১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিনিয়োগে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। তাঁদের এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে ভবিষ্যতে তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক ফসলি ও পতিত জমিতে তরমুজ চাষে সফলতা দেখে ভবিষ্যতে তিন ফসলি জমিতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
গত বুধবার উপজেলার একমাত্র তরমুজখেতে গিয়ে দেখা গেছে, লতাপাতার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার তরমুজ। বোঝার উপায় নেই, অনভিজ্ঞ চাষিরা চাষ করেছেন এই তরমুজ। মাঠে তরমুজের গাছ পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি মানিক। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়াই চার মাস আগে তিন বন্ধু মিলে ৬০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে তরমুজ চাষ করেন। ৮ হাজার করে মোট ২৪ হাজার টাকায় তিন বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। ৩৫ হাজার টাকার বীজ, সার ও কীটনাশক বাবদ ৮০ হাজার টাকা, নেটের বেড়া ও সেচ মিলে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাঁচ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন তাঁরা।
লোকমান সরদার নামের অপর এক চাষি বলেন, নদে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁরা প্রথম ধাপে ৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে তুলে রাখা তরমুজের মূল্য ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হবে। এ ছাড়া আরও দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ মাঠে রয়েছে বলে জানান তিনি।
লোকমান আরও বলেন, এখানে তরমুজ আকারে যেমন বড় হয়, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পাইকারেরা খেত থকেই প্রতি মণ ১২ হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছেন। এই এলাকার জমিতে একবার আমন ধান ফলানোর পরে সারা বছর পতিত অবস্থায় থাকে। তাই পতিত এ জমি ব্যবহার করে শরণখোলায় পরিকল্পিত তরমুজ চাষের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।
লোকমান ও মানিকের আরেক বন্ধু মামুন বলেন, তিনজনের সমান বিনিয়োগ, তিনজনেরই মাঠে সমান কাজ, তিনজনই সমান ভাগে লাভের টাকা নেন। নিজেদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই তাঁদের।
নদ ও খালে তো লবণপানি, তাহলে কীভাবে তরমুজের চাষ করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চাষিরা বলেন, এই খেতে নদের কোনো পানি ব্যবহার করা হয়নি। বৃষ্টির পানি আটকে থাকা দুটি পুকুর থেকে এই সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, তরমুজচাষি তিনজনই খুব পরিশ্রমী। এ তরমুজখেত দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। কেউ কেউ খেত থেকে টাটকা তরমুজ কিনছেন। সব মিলিয়ে একটা উৎসবের আমেজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, বলেশ্বর নদ ও ভোলা নদীর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলায় তরমুজ চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের পানির লবণাক্ততার মাত্রা সহনশীল, যা তরমুজ চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ ছাড়া কম সময়ে, কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য তরমুজ একটি ভালো ফসল। তরমুজ চাষে আগ্রহী চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তাও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রথমবার তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিন বন্ধু। উপজেলার বলেশ্বর নদের বেড়িবাঁধের পাশের মাঠে তাঁদের তিন বিঘা জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছেন জিলবুনিয়া গ্রামের লোকমান, মামুন ও মানিক নামের তিন বন্ধু।
১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিনিয়োগে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। তাঁদের এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে ভবিষ্যতে তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক ফসলি ও পতিত জমিতে তরমুজ চাষে সফলতা দেখে ভবিষ্যতে তিন ফসলি জমিতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
গত বুধবার উপজেলার একমাত্র তরমুজখেতে গিয়ে দেখা গেছে, লতাপাতার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার তরমুজ। বোঝার উপায় নেই, অনভিজ্ঞ চাষিরা চাষ করেছেন এই তরমুজ। মাঠে তরমুজের গাছ পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি মানিক। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়াই চার মাস আগে তিন বন্ধু মিলে ৬০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে তরমুজ চাষ করেন। ৮ হাজার করে মোট ২৪ হাজার টাকায় তিন বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। ৩৫ হাজার টাকার বীজ, সার ও কীটনাশক বাবদ ৮০ হাজার টাকা, নেটের বেড়া ও সেচ মিলে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাঁচ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন তাঁরা।
লোকমান সরদার নামের অপর এক চাষি বলেন, নদে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁরা প্রথম ধাপে ৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে তুলে রাখা তরমুজের মূল্য ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হবে। এ ছাড়া আরও দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ মাঠে রয়েছে বলে জানান তিনি।
লোকমান আরও বলেন, এখানে তরমুজ আকারে যেমন বড় হয়, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পাইকারেরা খেত থকেই প্রতি মণ ১২ হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছেন। এই এলাকার জমিতে একবার আমন ধান ফলানোর পরে সারা বছর পতিত অবস্থায় থাকে। তাই পতিত এ জমি ব্যবহার করে শরণখোলায় পরিকল্পিত তরমুজ চাষের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।
লোকমান ও মানিকের আরেক বন্ধু মামুন বলেন, তিনজনের সমান বিনিয়োগ, তিনজনেরই মাঠে সমান কাজ, তিনজনই সমান ভাগে লাভের টাকা নেন। নিজেদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই তাঁদের।
নদ ও খালে তো লবণপানি, তাহলে কীভাবে তরমুজের চাষ করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চাষিরা বলেন, এই খেতে নদের কোনো পানি ব্যবহার করা হয়নি। বৃষ্টির পানি আটকে থাকা দুটি পুকুর থেকে এই সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, তরমুজচাষি তিনজনই খুব পরিশ্রমী। এ তরমুজখেত দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। কেউ কেউ খেত থেকে টাটকা তরমুজ কিনছেন। সব মিলিয়ে একটা উৎসবের আমেজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, বলেশ্বর নদ ও ভোলা নদীর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলায় তরমুজ চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের পানির লবণাক্ততার মাত্রা সহনশীল, যা তরমুজ চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ ছাড়া কম সময়ে, কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য তরমুজ একটি ভালো ফসল। তরমুজ চাষে আগ্রহী চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তাও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে