নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। পোস্টার, নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর বরেন্দ্র অঞ্চল। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও শেষ সময়ে এসে মাঠে পুরোদমে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। আগামী ৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে নিয়ামতপুরের ৮টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন ইউপি ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। গণসংযোগ চালিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। গ্রামের পথঘাট পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সঙ্গে নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সদস্য পদপ্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষেরা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, নির্বাচনে উপজেলার ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রতীক নিয়ে তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। সেই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
ভোটাররা বলছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত এমন প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাঁরা। যদিও নিয়ামতপুরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ইভিএমের ভোট হওয়ার কারণে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
বাহাদুরপুর ইউপির ভোটার ইমরান হোসেন বলেন, সবখানে এখন নির্বাচনী হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরেক ভোটার সদর ইউপির পটল সরেন বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক কাজ বাকি আছে। যে প্রার্থী আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকবেন তিনি তাঁকেই ভোট দেবেন।
এদিকে উপজেলার ৮টি ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত এমনটাই আশা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তবে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়েছেন আটজনকে। তিনি আশা করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে ইউপি নির্বাচনে জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনজনের নাম রেজুলেশন করে বহিষ্কার করার সুপারিশ উপজেলা কমিটিকে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জেলা থেকে নির্দেশনা পেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীরা এখন প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। তবে সেগুলো এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। দ্রুতই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ জন। উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ ছাড়া ইভিএম নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। পোস্টার, নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর বরেন্দ্র অঞ্চল। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও শেষ সময়ে এসে মাঠে পুরোদমে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। আগামী ৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে নিয়ামতপুরের ৮টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন ইউপি ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। গণসংযোগ চালিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। গ্রামের পথঘাট পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সঙ্গে নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সদস্য পদপ্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষেরা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, নির্বাচনে উপজেলার ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রতীক নিয়ে তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। সেই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
ভোটাররা বলছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত এমন প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাঁরা। যদিও নিয়ামতপুরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ইভিএমের ভোট হওয়ার কারণে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
বাহাদুরপুর ইউপির ভোটার ইমরান হোসেন বলেন, সবখানে এখন নির্বাচনী হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরেক ভোটার সদর ইউপির পটল সরেন বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক কাজ বাকি আছে। যে প্রার্থী আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকবেন তিনি তাঁকেই ভোট দেবেন।
এদিকে উপজেলার ৮টি ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত এমনটাই আশা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তবে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়েছেন আটজনকে। তিনি আশা করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে ইউপি নির্বাচনে জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনজনের নাম রেজুলেশন করে বহিষ্কার করার সুপারিশ উপজেলা কমিটিকে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জেলা থেকে নির্দেশনা পেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীরা এখন প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। তবে সেগুলো এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। দ্রুতই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ জন। উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ ছাড়া ইভিএম নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে