ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বেশি ইউনিট দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে। মিটার না দেখে নিজ ঘরে বা অফিসে বসে বিদ্যুতের বিল করেছেন মিটার রিডাররা। এমন ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক। এ নিয়ে পিডিবির অফিসে বারবার অভিযোগ করে প্রতিকার মিলছে না। এসব বিলের কারণে বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে ভাড়াটেদের প্রায় ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুতের ইউনিট ব্যবহার না করেও তাঁদের ওপর চাপানো হচ্ছে ভুতুড়ে বিলের বোঝা। কয়েক মাস পর পর অতিরিক্ত বিল করে তাঁদের কাছ থেকে বেশি ইউনিটের বিল কাটা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন গ্রাহক শিগগিরই পিডিবির মিটার রিডার, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
শহরের সার্কিট হাউস রোডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁর বাবা প্রয়াত মো. আবুল হাশেমের নামে আমার বাসার মিটার। ৫ মে করা বিলে বিল দেওয়া হয়েছে ৬০০ ইউনিটের। এর আগের মাসে বিল দেওয়া হয় ২০০ ইউনিটে; যার টাকার পরিমাণ ১ হাজার ১১২ টাকা। গত মাসে যে বিল দেওয়া হয়েছিল তখন বর্তমান রিডিং দেখানো হয়েছিল ৩৫ হাজার ৯০০ ইউনিট। তখন মিটারে ইউনিট কম থাকায় বিল দেননি। কিন্তু গতকাল বাসায় পিডিবি যে বিদ্যুৎ বিল পাঠায়, তাতে বিল দেখানো হলো হলো ৫ হাজার ৬৬০ টাকা। বর্তমান ইউনিট দেখানো হলো ৩৬ হাজার ৫০০। বাস্তবে গতকাল মিটার রিডিং ছিল ৩৬ হাজার ২২৬। এদিকে ১৫ দিন আগে যে বিল করা হয়েছে, তাতে দেখানো হলো প্রায় ৩০০ ইউনিট বেশি।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমার বিল দেওয়া হয়েছিল ৯ হাজার ৮৭৫ টাকার। তখন আমার মিটারের চেয়ে ৭০০ ইউনিট বেশি বিল করায় আমি পিডিবিতে অভিযোগ করলে তাঁরা জানান, দুঃখিত এখন আর কিছু করার নেই। সামনের মাস থেকে সমন্বয় করে দেওয়া হবে। বিল কুমিল্লায় করায় আমাদের কোনো হাত নেই।’ পরবর্তী মাসে ২০ ইউনিট ও তার পরের মাসে ২০০ ইউনিট করা হয় বলে তিনি জানান। চলতি মাসে আবার ৬০০ ইউনিটের বিল করায় বিল কীভাবে পরিশোধ করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, পিডিবিকে গতকাল মৌখিকভাবে জানিয়ে এসেছি, ব্যবস্থা না নিলে মামলায় যাব পিডিবির বিরুদ্ধে।
আতিকুর রহমান, শহীদ উল্যাহ, ফরিদ হোসেনসহ বিভিন্ন গ্রাহক বলেন, পিডিবি খামখেয়ালিভাবে ভুতুড়ে বিল করে আসছে। পিডিবির কর্মকর্তাদের অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না। কখনো বিল করেন কম, কখনো অতিরিক্ত বেশি, আবার কখনো করে থাকেন যে বিল মিটারেই নেই, তার চেয়েও অনেক বেশি।
আনোয়ার নামের একজন বলেন, ‘আমাদের বাসায় সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় ২০০ থেকে ২৫০ ইউনিট। দুই-তিন মাস বিল করে ১৫০ ইউনিট করে। পরের এক মাসে করে বসে ৬০০ ইউনিটের ওপরে। আরেক ব্যক্তি জানান, তাঁর বিল ৬০০ থেকে ৯০০ ইউনিটে করা হয় মাঝেমধ্যে। ফলে বিল প্রতি ইউনিট ৬ টাকার নিচে হওয়ার কথা থাকলেও তখন বিল হয় ব্যবসায়িক ইউনিটে; মানে প্রতি ইউনিট ১০ টাকার আশপাশে। এতে হাজার হাজার টাকা বিনা কারণে লোকসান বা জরিমানা দিতে হয়।
এ ব্যাপারে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবুল হাশেমের নামে যে মিটারটা আছে, সেটার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আমি একজন অফিসার পাঠাব তদন্ত করতে।’ কয়েক মাস পরপর অতিরিক্ত বিল করার কারণে গ্রাহককে হাজার হাজার টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে; এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছেন বলে এড়িয়ে যান ও কোনো উত্তর দেননি।
ফেনীতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বেশি ইউনিট দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে। মিটার না দেখে নিজ ঘরে বা অফিসে বসে বিদ্যুতের বিল করেছেন মিটার রিডাররা। এমন ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক। এ নিয়ে পিডিবির অফিসে বারবার অভিযোগ করে প্রতিকার মিলছে না। এসব বিলের কারণে বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে ভাড়াটেদের প্রায় ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুতের ইউনিট ব্যবহার না করেও তাঁদের ওপর চাপানো হচ্ছে ভুতুড়ে বিলের বোঝা। কয়েক মাস পর পর অতিরিক্ত বিল করে তাঁদের কাছ থেকে বেশি ইউনিটের বিল কাটা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন গ্রাহক শিগগিরই পিডিবির মিটার রিডার, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
শহরের সার্কিট হাউস রোডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁর বাবা প্রয়াত মো. আবুল হাশেমের নামে আমার বাসার মিটার। ৫ মে করা বিলে বিল দেওয়া হয়েছে ৬০০ ইউনিটের। এর আগের মাসে বিল দেওয়া হয় ২০০ ইউনিটে; যার টাকার পরিমাণ ১ হাজার ১১২ টাকা। গত মাসে যে বিল দেওয়া হয়েছিল তখন বর্তমান রিডিং দেখানো হয়েছিল ৩৫ হাজার ৯০০ ইউনিট। তখন মিটারে ইউনিট কম থাকায় বিল দেননি। কিন্তু গতকাল বাসায় পিডিবি যে বিদ্যুৎ বিল পাঠায়, তাতে বিল দেখানো হলো হলো ৫ হাজার ৬৬০ টাকা। বর্তমান ইউনিট দেখানো হলো ৩৬ হাজার ৫০০। বাস্তবে গতকাল মিটার রিডিং ছিল ৩৬ হাজার ২২৬। এদিকে ১৫ দিন আগে যে বিল করা হয়েছে, তাতে দেখানো হলো প্রায় ৩০০ ইউনিট বেশি।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমার বিল দেওয়া হয়েছিল ৯ হাজার ৮৭৫ টাকার। তখন আমার মিটারের চেয়ে ৭০০ ইউনিট বেশি বিল করায় আমি পিডিবিতে অভিযোগ করলে তাঁরা জানান, দুঃখিত এখন আর কিছু করার নেই। সামনের মাস থেকে সমন্বয় করে দেওয়া হবে। বিল কুমিল্লায় করায় আমাদের কোনো হাত নেই।’ পরবর্তী মাসে ২০ ইউনিট ও তার পরের মাসে ২০০ ইউনিট করা হয় বলে তিনি জানান। চলতি মাসে আবার ৬০০ ইউনিটের বিল করায় বিল কীভাবে পরিশোধ করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, পিডিবিকে গতকাল মৌখিকভাবে জানিয়ে এসেছি, ব্যবস্থা না নিলে মামলায় যাব পিডিবির বিরুদ্ধে।
আতিকুর রহমান, শহীদ উল্যাহ, ফরিদ হোসেনসহ বিভিন্ন গ্রাহক বলেন, পিডিবি খামখেয়ালিভাবে ভুতুড়ে বিল করে আসছে। পিডিবির কর্মকর্তাদের অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না। কখনো বিল করেন কম, কখনো অতিরিক্ত বেশি, আবার কখনো করে থাকেন যে বিল মিটারেই নেই, তার চেয়েও অনেক বেশি।
আনোয়ার নামের একজন বলেন, ‘আমাদের বাসায় সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় ২০০ থেকে ২৫০ ইউনিট। দুই-তিন মাস বিল করে ১৫০ ইউনিট করে। পরের এক মাসে করে বসে ৬০০ ইউনিটের ওপরে। আরেক ব্যক্তি জানান, তাঁর বিল ৬০০ থেকে ৯০০ ইউনিটে করা হয় মাঝেমধ্যে। ফলে বিল প্রতি ইউনিট ৬ টাকার নিচে হওয়ার কথা থাকলেও তখন বিল হয় ব্যবসায়িক ইউনিটে; মানে প্রতি ইউনিট ১০ টাকার আশপাশে। এতে হাজার হাজার টাকা বিনা কারণে লোকসান বা জরিমানা দিতে হয়।
এ ব্যাপারে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবুল হাশেমের নামে যে মিটারটা আছে, সেটার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আমি একজন অফিসার পাঠাব তদন্ত করতে।’ কয়েক মাস পরপর অতিরিক্ত বিল করার কারণে গ্রাহককে হাজার হাজার টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে; এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছেন বলে এড়িয়ে যান ও কোনো উত্তর দেননি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে