নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রাম। সেখানে ১৯৬৪ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। উপজেলা সদর থেকে এর পথ অনেকটা দূরে। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের কাছে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। যে কারণে এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পোস্টিং নিতে চান না। আর রোগীরাও তেমন আসেন না।
চিকিৎসা কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেউ পোস্টিং পেলেও বেশি দিন থাকতে চান না এই হাসপাতালে।
অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যান। আর যে স্বাস্থ্যসেবা এখানে দেওয়া হয় তা একজন ওষুধের দোকানদারও দিতে পারেন বলে জানান এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ১ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ২০১৯ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে নতুনভাবে অবকাঠামোও তৈরি করা হয়। তবে এখনো এর সুফল পুরোপুরি পায়নি জনগণ।
এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ থাকলেও বর্তমানে আছেন দুজন। আর দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তাকে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এখানে এনে তাঁদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এখানে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেশির ভাগ পদ শূন্য।
হাসপাতালে লোকবলসংকট। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে অ্যানালাইজার মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ার। মাঝেমধ্যেই নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকে আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসকসংকট ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতির অভাবে ঠিকঠাক চিকিৎসাসেবা পাবে না জেনে তাঁরা এতটা পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালটিতে যেতে চান না। এ জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যাও অনেক কম। আর উপজেলা সদর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পাকা রাস্তার যে দুরবস্থা, তাতে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পারভীন আক্তার বলেন, ‘এই হাসপাতালে বড় কোনো রোগের চিকিৎসা হয় না। জ্বর, মাথাব্যথা ও গ্যাসের কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় কি না, আমি জানি না।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘লোকবলসংকটের কারণে আমরা রোগীদের শতভাগ সেবা দিতে পারি না। তবু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল আরও বলেন, ‘হাসপাতাল যখন পুরোপুরি ৫০ শয্যায় উন্নীত হবে, আমরা তখন আরও কিছু সার্ভিস দিতে পারব। রোগীদের জন্য সরকারিভাবে যে ওষুধ আসে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রাম। সেখানে ১৯৬৪ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। উপজেলা সদর থেকে এর পথ অনেকটা দূরে। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের কাছে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। যে কারণে এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পোস্টিং নিতে চান না। আর রোগীরাও তেমন আসেন না।
চিকিৎসা কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেউ পোস্টিং পেলেও বেশি দিন থাকতে চান না এই হাসপাতালে।
অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যান। আর যে স্বাস্থ্যসেবা এখানে দেওয়া হয় তা একজন ওষুধের দোকানদারও দিতে পারেন বলে জানান এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ১ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ২০১৯ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে নতুনভাবে অবকাঠামোও তৈরি করা হয়। তবে এখনো এর সুফল পুরোপুরি পায়নি জনগণ।
এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ থাকলেও বর্তমানে আছেন দুজন। আর দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তাকে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এখানে এনে তাঁদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এখানে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেশির ভাগ পদ শূন্য।
হাসপাতালে লোকবলসংকট। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে অ্যানালাইজার মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ার। মাঝেমধ্যেই নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকে আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসকসংকট ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতির অভাবে ঠিকঠাক চিকিৎসাসেবা পাবে না জেনে তাঁরা এতটা পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালটিতে যেতে চান না। এ জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যাও অনেক কম। আর উপজেলা সদর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পাকা রাস্তার যে দুরবস্থা, তাতে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পারভীন আক্তার বলেন, ‘এই হাসপাতালে বড় কোনো রোগের চিকিৎসা হয় না। জ্বর, মাথাব্যথা ও গ্যাসের কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় কি না, আমি জানি না।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘লোকবলসংকটের কারণে আমরা রোগীদের শতভাগ সেবা দিতে পারি না। তবু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল আরও বলেন, ‘হাসপাতাল যখন পুরোপুরি ৫০ শয্যায় উন্নীত হবে, আমরা তখন আরও কিছু সার্ভিস দিতে পারব। রোগীদের জন্য সরকারিভাবে যে ওষুধ আসে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে