নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৭: ২৩

নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রাম। সেখানে ১৯৬৪ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। উপজেলা সদর থেকে এর পথ অনেকটা দূরে। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের কাছে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। যে কারণে এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পোস্টিং নিতে চান না। আর রোগীরাও তেমন আসেন না।

চিকিৎসা কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেউ পোস্টিং পেলেও বেশি দিন থাকতে চান না এই হাসপাতালে।

অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যান। আর যে স্বাস্থ্যসেবা এখানে দেওয়া হয় তা একজন ওষুধের দোকানদারও দিতে পারেন বলে জানান এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলার ১ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ২০১৯ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে নতুনভাবে অবকাঠামোও তৈরি করা হয়। তবে এখনো এর সুফল পুরোপুরি পায়নি জনগণ।

এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ থাকলেও বর্তমানে আছেন দুজন। আর দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তাকে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এখানে এনে তাঁদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এখানে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেশির ভাগ পদ শূন্য।

হাসপাতালে লোকবলসংকট। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে অ্যানালাইজার মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ার। মাঝেমধ্যেই নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকে আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসকসংকট ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতির অভাবে ঠিকঠাক চিকিৎসাসেবা পাবে না জেনে তাঁরা এতটা পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালটিতে যেতে চান না। এ জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যাও অনেক কম। আর উপজেলা সদর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পাকা রাস্তার যে দুরবস্থা, তাতে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পারভীন আক্তার বলেন, ‘এই হাসপাতালে বড় কোনো রোগের চিকিৎসা হয় না। জ্বর, মাথাব্যথা ও গ্যাসের কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় কি না, আমি জানি না।’

নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘লোকবলসংকটের কারণে আমরা রোগীদের শতভাগ সেবা দিতে পারি না। তবু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’

তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল আরও বলেন, ‘হাসপাতাল যখন পুরোপুরি ৫০ শয্যায় উন্নীত হবে, আমরা তখন আরও কিছু সার্ভিস দিতে পারব। রোগীদের জন্য সরকারিভাবে যে ওষুধ আসে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

বিসিএস নিয়োগ: নিজেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত