তাসনীম হাসান ও মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ট্রেন চালিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন লোকো মাস্টার (চালক) আবু তাহের। সঙ্গে ছিলেন ট্রেন পরিচালক (গার্ড) মো. এমাদুল হক ও চালকের সহকারী পুণ্য জ্যোতি চাকমা। ট্রেনটি ঝাউতলা স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই হুড়মুড় করে ইঞ্জিনে উঠে মোবাইল নিয়ে নিয়ে চালকসহ তিনজনকে ‘অপহরণ’ করেন কয়েকজন তরুণ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যার প্রভাবে অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পাওয়ায় গত ১ আগস্ট অবরোধের অংশ হিসেবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রথম শিকার হয় শাটল ট্রেন ও এর চালকেরা। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় অচলের প্রধান ‘অস্ত্র’ হয়ে ওঠে ট্রেনটি।
শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা শাটল ট্রেননির্ভর। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ শতাংশই দুটি শাটলে চড়ে নগর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। ফলে শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিলে কার্যত ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়ে।
দেশে একমাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়েই শাটল ট্রেন আছে। যেটি চালু হয় ১৯৮০ সালে। বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, চালকের ওপর হামলা চালিয়ে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রথম ঘটনা ঘটে ১৯৯১ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকা থেকে ট্রেনচালক এম এল দাশ ও তোফাজ্জল হোসেনকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। ২০০০ সাল পর্যন্ত এভাবে ১১টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর থেকে প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচবার করে শাটল ট্রেনের ওপর হামলা চালান বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শাটল ট্রেনে বেশি হামলা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালে। ওই বছর ছয়জন ট্রেনচালক ও সহকারী অপহরণের শিকার হন। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত ৩৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে শাটলে ১৯৯১ থেকে ২০২২—এ ৩১ বছরে অন্তত ৭৮ বার হামলা চালানো হয়েছে। তাতে চালকদের আহত করার পাশাপাশি অপহরণ করেছে ছাত্রসংগঠনগুলো। তাঁরা অনেক সময় শাটলে ভাঙচুরও চালান।
শাটল ট্রেনে হামলা ও চালককে অপহরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাস্তি দিয়েছে এমন নজির নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তাঁদের বিপক্ষে শাস্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১০ বছর আগে।
২০১১ সালের ৭ এপ্রিল চালক ইদ্রিস মিয়া ও কামরুজ্জামান পাটোয়ারিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ব্যাপক মারধর করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর ১৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যৌথ সভায় ৯টি সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে নিরাপদ ট্রেন চলাচল, ছাত্র ও রেল কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধান। কিন্তু একটি সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ট্রেনের ওপর হামলাও থামেনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শাটল ট্রেনচালকদের ওপর হামলা ও অপহরণের ঘটনা থামছেই না। যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন হলে এসব ঘটনা থামত।’
সর্বশেষ ‘অপহরণের’ শিকারদের একজন ট্রেনের গার্ড মো. এমাদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঘটনা ঘটলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, ছাত্ররা কখন এসে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের পরিবারও আমাদের নিয়ে ভয়ে থাকে। এভাবে টেনশন নিয়ে ট্রেন চালানো যায়?’
বর্তমানে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে বামপন্থী কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মাঝেমধ্যে কর্মসূচি পালন করে। গত ৬-৭ বছরে শাটল ট্রেনে হামলার বেশির ভাগ ঘটনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই ঘটিয়েছেন।
তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন না বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, সাংগঠনিক কোনো দাবি আদায়ের জন্য সাংগঠনিক নিয়ম আছে। কিন্তু শাটল ট্রেন আটকে দেওয়া, হোস পাইপ কেটে ফেলা, লোকো মাস্টারকে অপহরণ দাবি আদায়ের মাধ্যম হতে পারে না।
এ ধরনের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেছি, রেল যেহেতু রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সেহেতু তারা চাইলে মামলা করে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরাও তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ট্রেন চালিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন লোকো মাস্টার (চালক) আবু তাহের। সঙ্গে ছিলেন ট্রেন পরিচালক (গার্ড) মো. এমাদুল হক ও চালকের সহকারী পুণ্য জ্যোতি চাকমা। ট্রেনটি ঝাউতলা স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই হুড়মুড় করে ইঞ্জিনে উঠে মোবাইল নিয়ে নিয়ে চালকসহ তিনজনকে ‘অপহরণ’ করেন কয়েকজন তরুণ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যার প্রভাবে অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পাওয়ায় গত ১ আগস্ট অবরোধের অংশ হিসেবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রথম শিকার হয় শাটল ট্রেন ও এর চালকেরা। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় অচলের প্রধান ‘অস্ত্র’ হয়ে ওঠে ট্রেনটি।
শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা শাটল ট্রেননির্ভর। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ শতাংশই দুটি শাটলে চড়ে নগর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। ফলে শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিলে কার্যত ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়ে।
দেশে একমাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়েই শাটল ট্রেন আছে। যেটি চালু হয় ১৯৮০ সালে। বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, চালকের ওপর হামলা চালিয়ে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রথম ঘটনা ঘটে ১৯৯১ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকা থেকে ট্রেনচালক এম এল দাশ ও তোফাজ্জল হোসেনকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। ২০০০ সাল পর্যন্ত এভাবে ১১টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর থেকে প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচবার করে শাটল ট্রেনের ওপর হামলা চালান বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শাটল ট্রেনে বেশি হামলা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালে। ওই বছর ছয়জন ট্রেনচালক ও সহকারী অপহরণের শিকার হন। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত ৩৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে শাটলে ১৯৯১ থেকে ২০২২—এ ৩১ বছরে অন্তত ৭৮ বার হামলা চালানো হয়েছে। তাতে চালকদের আহত করার পাশাপাশি অপহরণ করেছে ছাত্রসংগঠনগুলো। তাঁরা অনেক সময় শাটলে ভাঙচুরও চালান।
শাটল ট্রেনে হামলা ও চালককে অপহরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাস্তি দিয়েছে এমন নজির নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তাঁদের বিপক্ষে শাস্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১০ বছর আগে।
২০১১ সালের ৭ এপ্রিল চালক ইদ্রিস মিয়া ও কামরুজ্জামান পাটোয়ারিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ব্যাপক মারধর করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর ১৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যৌথ সভায় ৯টি সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে নিরাপদ ট্রেন চলাচল, ছাত্র ও রেল কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধান। কিন্তু একটি সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ট্রেনের ওপর হামলাও থামেনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শাটল ট্রেনচালকদের ওপর হামলা ও অপহরণের ঘটনা থামছেই না। যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন হলে এসব ঘটনা থামত।’
সর্বশেষ ‘অপহরণের’ শিকারদের একজন ট্রেনের গার্ড মো. এমাদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঘটনা ঘটলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, ছাত্ররা কখন এসে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের পরিবারও আমাদের নিয়ে ভয়ে থাকে। এভাবে টেনশন নিয়ে ট্রেন চালানো যায়?’
বর্তমানে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে বামপন্থী কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মাঝেমধ্যে কর্মসূচি পালন করে। গত ৬-৭ বছরে শাটল ট্রেনে হামলার বেশির ভাগ ঘটনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই ঘটিয়েছেন।
তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন না বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, সাংগঠনিক কোনো দাবি আদায়ের জন্য সাংগঠনিক নিয়ম আছে। কিন্তু শাটল ট্রেন আটকে দেওয়া, হোস পাইপ কেটে ফেলা, লোকো মাস্টারকে অপহরণ দাবি আদায়ের মাধ্যম হতে পারে না।
এ ধরনের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেছি, রেল যেহেতু রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সেহেতু তারা চাইলে মামলা করে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরাও তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে