নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরেও সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই নারায়ণগঞ্জের সর্ববৃহৎ খুচরা বাজার দ্বিগুবাবুর বাজারে। অধিকাংশ দোকানেই তেলের তাক খালি। কয়েকটি দোকানে অল্প পরিমাণে তেল থাকলেও দাম চাওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন অবস্থায় সয়াবিন তেল চুরি ঠেকাতে শিকলের আশ্রয় নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
রোববার দ্বিগুবাবুর বাজারে ফলপট্টি অংশে অবস্থিত শরীফ স্টোরের সামনে দেখা যায়, দুটি পাঁচ লিটারের তেলের বোতল শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন দোকানি। কারণ জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, ‘যেন কেউ নিয়ে দৌড় দিতে না পারে, এ জন্য বাঁধছি।’ তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেতেই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন তিনি। কত টাকা দরে বিক্রি করছেন, তা-ও বলতে চাননি মুখ খুলে।
শরীফ স্টোরের মালিক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি তেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এখন তো তেলের চাহিদা অনেক। চুরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর আমার দোকানের সামনে কাঁচাবাজার। প্রচুর মানুষের ভিড় হয় সকাল সন্ধ্যায়। এজন্য তেলের বোতল শিকল দিয়ে বেঁধে রাখছি। ঈদের আগে থেকেই এই সিস্টেম করছি।’
এদিকে দ্বিগুবাবুর বাজারে ঈদের আগ থেকে চলা সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। কোনো কোনো দোকানে ৫ লিটারের কিছু বোতল থাকলেও এক লিটারের বোতলের চাহিদা বেশি। বিকল্প হিসেবে আধা লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটি শেষে এখনো ক্রেতাদের ভিড় জমেনি তেলের বাজারে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, তাঁদের কাছে সয়াবিন তেল এখন তরল সোনা। দুই বছর আগেও কল্পনা করেননি খোলা তেল ২০০ টাকায় কিনতে হবে। এখন সেটাই বাস্তবতা। তেলের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াতেই দোকানিরা তেলের বোতলে শেকল দিতে বাধ্য হয়েছেন। তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেও ব্যবসায়ীদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তাঁরা বেশি দাম হাঁকছেন।
তেলের বাজারে এমন অস্থিরতার বিষয়ে দ্বিগুবাবুর বাজার কমিটির কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে বৃহত্তর নিতাইগঞ্জ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তেলের দাম এত বেড়েছে যে মধ্যবিত্তরা অসহায় হয়ে পড়েছে। দেশে পর্যাপ্ত তেল মজুত থাকলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তেল সাপ্লাই দিচ্ছে না। সরকার যদি এঁদের চাপ দিয়ে তেল বাজারে ছাড়তে বাধ্য করে, তাহলে তেলের দাম কিছু হলেও কমবে। ডিলাররা এসে চুপে চুপে তেল দিচ্ছেন কয়েকজনকে। বিশেষ করে তাঁরা খুচরা ব্যবসায়ীদের থেকে তেল দিয়ে যান। এভাবে বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাসমত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তেল মজুত রেখে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছেন। বিশেষ করে বোতলজাত তেল গুদামে মজুত রেখে অল্প অল্প করে দোকানে তোলা হয়। প্রশাসনের নজরদারির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরেও সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই নারায়ণগঞ্জের সর্ববৃহৎ খুচরা বাজার দ্বিগুবাবুর বাজারে। অধিকাংশ দোকানেই তেলের তাক খালি। কয়েকটি দোকানে অল্প পরিমাণে তেল থাকলেও দাম চাওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন অবস্থায় সয়াবিন তেল চুরি ঠেকাতে শিকলের আশ্রয় নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
রোববার দ্বিগুবাবুর বাজারে ফলপট্টি অংশে অবস্থিত শরীফ স্টোরের সামনে দেখা যায়, দুটি পাঁচ লিটারের তেলের বোতল শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন দোকানি। কারণ জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, ‘যেন কেউ নিয়ে দৌড় দিতে না পারে, এ জন্য বাঁধছি।’ তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেতেই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন তিনি। কত টাকা দরে বিক্রি করছেন, তা-ও বলতে চাননি মুখ খুলে।
শরীফ স্টোরের মালিক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি তেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এখন তো তেলের চাহিদা অনেক। চুরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর আমার দোকানের সামনে কাঁচাবাজার। প্রচুর মানুষের ভিড় হয় সকাল সন্ধ্যায়। এজন্য তেলের বোতল শিকল দিয়ে বেঁধে রাখছি। ঈদের আগে থেকেই এই সিস্টেম করছি।’
এদিকে দ্বিগুবাবুর বাজারে ঈদের আগ থেকে চলা সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। কোনো কোনো দোকানে ৫ লিটারের কিছু বোতল থাকলেও এক লিটারের বোতলের চাহিদা বেশি। বিকল্প হিসেবে আধা লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটি শেষে এখনো ক্রেতাদের ভিড় জমেনি তেলের বাজারে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, তাঁদের কাছে সয়াবিন তেল এখন তরল সোনা। দুই বছর আগেও কল্পনা করেননি খোলা তেল ২০০ টাকায় কিনতে হবে। এখন সেটাই বাস্তবতা। তেলের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াতেই দোকানিরা তেলের বোতলে শেকল দিতে বাধ্য হয়েছেন। তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেও ব্যবসায়ীদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তাঁরা বেশি দাম হাঁকছেন।
তেলের বাজারে এমন অস্থিরতার বিষয়ে দ্বিগুবাবুর বাজার কমিটির কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে বৃহত্তর নিতাইগঞ্জ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তেলের দাম এত বেড়েছে যে মধ্যবিত্তরা অসহায় হয়ে পড়েছে। দেশে পর্যাপ্ত তেল মজুত থাকলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তেল সাপ্লাই দিচ্ছে না। সরকার যদি এঁদের চাপ দিয়ে তেল বাজারে ছাড়তে বাধ্য করে, তাহলে তেলের দাম কিছু হলেও কমবে। ডিলাররা এসে চুপে চুপে তেল দিচ্ছেন কয়েকজনকে। বিশেষ করে তাঁরা খুচরা ব্যবসায়ীদের থেকে তেল দিয়ে যান। এভাবে বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাসমত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তেল মজুত রেখে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছেন। বিশেষ করে বোতলজাত তেল গুদামে মজুত রেখে অল্প অল্প করে দোকানে তোলা হয়। প্রশাসনের নজরদারির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে