ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারি কে. বি. পাইলট মডেল হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে এবং কম খরচে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য অতিরিক্ত ক্লাস বাধ্যতামূলক করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম। এর জন্য শিক্ষার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা হারে ফি দিতে হবে। অথচ স্কুলের সরকারি মাসিক বেতন মাত্র ১০ টাকা।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত তিন মাসের শিট দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসের শেষে এই শিটের মধ্যে থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। এক মাস ক্লাসের জন্য সঙ্গে আরও ৬০০ টাকা দিতে হবে।’
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে কে. বি. স্কুলে আর ছোট ছেলে কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা করছে। আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভেবেছিলাম বড় ছেলেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছি। কম টাকায় লেখাপড়া করাতে পারব। কিন্তু স্কুল থেকে বলা হয়েছে অতিরিক্ত ক্লাস বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ জন্য প্রতি মাসে পরীক্ষার ফিসহ ৬৫০ টাকা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে আড়াই বছর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় অনেক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য এবং পড়াশোনার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে স্কুলের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করি। অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সরকারি বিধান বা নীতিমালা রয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস নিয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা ফি নেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু সপ্তাহে ৬ দিন অতিরিক্ত ক্লাস করিয়ে মাত্র ৬শ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে।’
মো. নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের ভালো ফলাফলের জন্য পুরো বছরই অতিরিক্ত ক্লাস চালিয়ে যেতে চাই। তবে, যদি অসচ্ছল কোনো অভিভাবক আমাকে জানান আমি টাকা মওকুফের ব্যবস্থা করে দেব।’
স্কুলের সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সরকারিভাবে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে টাকা নেওয়াও বেআইনি। তবে, দুর্বল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। স্বেচ্ছায় যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস করতে চায়, সেটা অন্য বিষয়। তবে বাধ্যতামূলক বা কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারি কে. বি. পাইলট মডেল হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে এবং কম খরচে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য অতিরিক্ত ক্লাস বাধ্যতামূলক করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম। এর জন্য শিক্ষার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা হারে ফি দিতে হবে। অথচ স্কুলের সরকারি মাসিক বেতন মাত্র ১০ টাকা।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত তিন মাসের শিট দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসের শেষে এই শিটের মধ্যে থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। এক মাস ক্লাসের জন্য সঙ্গে আরও ৬০০ টাকা দিতে হবে।’
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে কে. বি. স্কুলে আর ছোট ছেলে কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা করছে। আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভেবেছিলাম বড় ছেলেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছি। কম টাকায় লেখাপড়া করাতে পারব। কিন্তু স্কুল থেকে বলা হয়েছে অতিরিক্ত ক্লাস বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ জন্য প্রতি মাসে পরীক্ষার ফিসহ ৬৫০ টাকা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে আড়াই বছর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় অনেক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য এবং পড়াশোনার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে স্কুলের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করি। অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সরকারি বিধান বা নীতিমালা রয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস নিয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা ফি নেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু সপ্তাহে ৬ দিন অতিরিক্ত ক্লাস করিয়ে মাত্র ৬শ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে।’
মো. নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের ভালো ফলাফলের জন্য পুরো বছরই অতিরিক্ত ক্লাস চালিয়ে যেতে চাই। তবে, যদি অসচ্ছল কোনো অভিভাবক আমাকে জানান আমি টাকা মওকুফের ব্যবস্থা করে দেব।’
স্কুলের সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সরকারিভাবে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে টাকা নেওয়াও বেআইনি। তবে, দুর্বল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। স্বেচ্ছায় যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস করতে চায়, সেটা অন্য বিষয়। তবে বাধ্যতামূলক বা কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে