অরূপ রায়, সাভার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঢাকার ধামরাইয়ের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা দুধের অধিকাংশই ভেজাল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্প্রতি এক অভিযানের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ বাজারের অভিযান চালিয়ে ভেজাল দুধসহ আতাউর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা পাউডার মিশ্রিত দুধ রাজধানীর বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করে আসছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাটুরিয়ার হরগজ, ফুকুরহাটি, দরগ্রাম, সাটুরিয়া বাজারসহ পাশের ধামরাই উপজেলার কাউয়ালিপাড়া বাজারের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী ভেজাল দুধের কারবার করে থাকেন। এসব বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ মণ দুধ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যায়, যার প্রায় অর্ধেকই ভেজাল।
জানা যায়, ১০ কেজি পানির সঙ্গে বিশেষ ধরনের ১ কেজি কেমিক্যাল বা পাউডার মেশালেই তৈরি হয়ে যায় ১০ কেজি নকল দুধ। প্রতিদিন ভোরে সেই নকল দুধ ড্রামে ভরে তা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাজারে আসা কৃষকদের কাছ থেকে আসল দুধ কিনে ওই সব ড্রামে ভরা হয়। এভাবে ১০ কেজি নকল দুধের সঙ্গে ৩০ কেজি আসল দুধ মেশালেই হয়ে যায় ৪০ কেজি ভেজাল দুধ। এরপর তা রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি (লিটারে বিক্রি হয় না) দুধের দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। তবে রাজধানীর যেসব বেকারি বা মিষ্টির দোকানে তাঁরা দুধ সরবরাহ করে থাকেন, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কেজি দুধের দাম দেওয়া হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এতে তাঁদের কোনো লাভ থাকে না। এ কারণে স্থানীয় বাজারে দুধের দাম ও ঢাকার চাহিদা বেড়ে গেলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা আসল দুধের সঙ্গে নকল দুধ মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বেকারিতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি দুধ সরবরাহ করতে হয়। স্থানীয় বাজার থেকে তিনি প্রতিদিন ওই পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করে থাকেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাঁকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দাম দেওয়া হলে শ্রমিকের পাওনা এবং গাড়িভাড়া মিটিয়ে কোনো লাভ থাকে না। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আসল দুধের সঙ্গে নকল দুধ মেশাতে বাধ্য হন।
ঢাকার প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জেনেশুনে ভেজাল দুধ কেনেন কি না জানতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কিছুই জানেন না। কর্মচারীদের ম্যানেজ করে আমরা এসব করে থাকি।’
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাটুরিয়ার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ভেজাল দুধ রাজধানীতে যায়, এ রকম তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের একজনকে আটক করে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঢাকার ধামরাইয়ের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা দুধের অধিকাংশই ভেজাল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্প্রতি এক অভিযানের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ বাজারের অভিযান চালিয়ে ভেজাল দুধসহ আতাউর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা পাউডার মিশ্রিত দুধ রাজধানীর বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করে আসছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাটুরিয়ার হরগজ, ফুকুরহাটি, দরগ্রাম, সাটুরিয়া বাজারসহ পাশের ধামরাই উপজেলার কাউয়ালিপাড়া বাজারের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী ভেজাল দুধের কারবার করে থাকেন। এসব বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ মণ দুধ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যায়, যার প্রায় অর্ধেকই ভেজাল।
জানা যায়, ১০ কেজি পানির সঙ্গে বিশেষ ধরনের ১ কেজি কেমিক্যাল বা পাউডার মেশালেই তৈরি হয়ে যায় ১০ কেজি নকল দুধ। প্রতিদিন ভোরে সেই নকল দুধ ড্রামে ভরে তা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাজারে আসা কৃষকদের কাছ থেকে আসল দুধ কিনে ওই সব ড্রামে ভরা হয়। এভাবে ১০ কেজি নকল দুধের সঙ্গে ৩০ কেজি আসল দুধ মেশালেই হয়ে যায় ৪০ কেজি ভেজাল দুধ। এরপর তা রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি (লিটারে বিক্রি হয় না) দুধের দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। তবে রাজধানীর যেসব বেকারি বা মিষ্টির দোকানে তাঁরা দুধ সরবরাহ করে থাকেন, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কেজি দুধের দাম দেওয়া হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এতে তাঁদের কোনো লাভ থাকে না। এ কারণে স্থানীয় বাজারে দুধের দাম ও ঢাকার চাহিদা বেড়ে গেলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা আসল দুধের সঙ্গে নকল দুধ মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বেকারিতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি দুধ সরবরাহ করতে হয়। স্থানীয় বাজার থেকে তিনি প্রতিদিন ওই পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করে থাকেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাঁকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দাম দেওয়া হলে শ্রমিকের পাওনা এবং গাড়িভাড়া মিটিয়ে কোনো লাভ থাকে না। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আসল দুধের সঙ্গে নকল দুধ মেশাতে বাধ্য হন।
ঢাকার প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জেনেশুনে ভেজাল দুধ কেনেন কি না জানতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কিছুই জানেন না। কর্মচারীদের ম্যানেজ করে আমরা এসব করে থাকি।’
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাটুরিয়ার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ভেজাল দুধ রাজধানীতে যায়, এ রকম তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের একজনকে আটক করে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে