জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
উত্তরের জেলা নীলফামারী-৪ আসনটি সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখানে জাতীয় পার্টি (জাপা), আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজস্ব ভোটব্যাংক আছে। কিন্তু এর বাইরে আরেকটি ভোটব্যাংক আছে, যেটি তিন দলের ভোটের হিসাবে প্রভাব ফেলতে পারে। সেটি হলো সৈয়দপুর শহরে বসবাসরত ৬০ হাজারের বেশি অবাঙালি ভোটার। তাঁরা কোন দিকে ঝুঁকছেন, সেটিও এ আসনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩৪। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় অবাঙালি ভোটাররা আওয়ামী লীগের পক্ষেই যাবেন বলে দাবি দলটির নেতা-কর্মীদের। সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তাঁরাই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। অপর দিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় জাতীয় পার্টিরও বড় ভোটব্যাংক আছে। সবশেষ ২০০১ সালে এখানে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশ নিলে আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন ভোটাররা বলছেন, এখানে আওয়ামী লীগ ও জাপার ভোটের রাজনীতি জোট থাকা ও না থাকার ওপর নির্ভরশীল। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোট থাকায় আসনটিতে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পায় জাপা। ২০১৪ সালে এমপি হন জাপার শওকত চৌধুরী ও ২০১৮ সালে এমপি হন প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান। জোট থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। সেবার জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে এমপি হন আওয়ামী লীগের মারুফ সাকলান।
তবে ভোটাররা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিসাব সরল না-ও হতে পারে। ক্ষমতায় থেকেও আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি না থাকায় এমপি-কেন্দ্রিক উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। জাপার বর্তমান এমপি আদেলুর রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এমপির সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে করোনাকালে এমপির এলাকায় না থাকার বিষয়টি বেশি আলোচিত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনেও আদেলুর রহমান জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমানে তিনি সরকারি সফরে দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আরও আছেন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করেছি। বিগত সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পর অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ালেও ওই নির্বাচনে ১০ হাজার ভোট পেয়ে চমক দেখিয়েছি।’
অপর দিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে আলোচনায় আছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। তিনি ছাড়াও কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলার সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, কেন্দ্রের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য আমেনা কোহিনুর ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ।
মোখছেদুল মোমিন বলেন, এ আসনের গুরুত্ব বিবেচনায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী চান। প্রতিদিন তাঁরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জন্য মিটিং-মিছিল করছেন। এবার আর কাউকে আসন ছাড় দিতে নারাজ নেতা-কর্মীরা।
এদিকে মাঠে-ময়দানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি। দল অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, বিএনপির দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। তবে দল মাঠ ছেড়ে যায়নি, যাবেও না।
এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য শওকত হায়াৎ শাহ ও সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।
এই তিন দলের বাইরে আগেই প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আমির আব্দুল মুনতাকিম। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও এ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে দলটির জেলা কমিটির সহসভাপতি শহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সৈয়দপুর প্রতিনিধি রেজা মাহমুদ ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি সি এস তপন]
উত্তরের জেলা নীলফামারী-৪ আসনটি সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখানে জাতীয় পার্টি (জাপা), আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজস্ব ভোটব্যাংক আছে। কিন্তু এর বাইরে আরেকটি ভোটব্যাংক আছে, যেটি তিন দলের ভোটের হিসাবে প্রভাব ফেলতে পারে। সেটি হলো সৈয়দপুর শহরে বসবাসরত ৬০ হাজারের বেশি অবাঙালি ভোটার। তাঁরা কোন দিকে ঝুঁকছেন, সেটিও এ আসনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩৪। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় অবাঙালি ভোটাররা আওয়ামী লীগের পক্ষেই যাবেন বলে দাবি দলটির নেতা-কর্মীদের। সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তাঁরাই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। অপর দিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় জাতীয় পার্টিরও বড় ভোটব্যাংক আছে। সবশেষ ২০০১ সালে এখানে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশ নিলে আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন ভোটাররা বলছেন, এখানে আওয়ামী লীগ ও জাপার ভোটের রাজনীতি জোট থাকা ও না থাকার ওপর নির্ভরশীল। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোট থাকায় আসনটিতে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পায় জাপা। ২০১৪ সালে এমপি হন জাপার শওকত চৌধুরী ও ২০১৮ সালে এমপি হন প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান। জোট থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। সেবার জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে এমপি হন আওয়ামী লীগের মারুফ সাকলান।
তবে ভোটাররা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিসাব সরল না-ও হতে পারে। ক্ষমতায় থেকেও আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি না থাকায় এমপি-কেন্দ্রিক উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। জাপার বর্তমান এমপি আদেলুর রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এমপির সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে করোনাকালে এমপির এলাকায় না থাকার বিষয়টি বেশি আলোচিত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনেও আদেলুর রহমান জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমানে তিনি সরকারি সফরে দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আরও আছেন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করেছি। বিগত সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পর অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ালেও ওই নির্বাচনে ১০ হাজার ভোট পেয়ে চমক দেখিয়েছি।’
অপর দিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে আলোচনায় আছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। তিনি ছাড়াও কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলার সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, কেন্দ্রের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য আমেনা কোহিনুর ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ।
মোখছেদুল মোমিন বলেন, এ আসনের গুরুত্ব বিবেচনায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী চান। প্রতিদিন তাঁরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জন্য মিটিং-মিছিল করছেন। এবার আর কাউকে আসন ছাড় দিতে নারাজ নেতা-কর্মীরা।
এদিকে মাঠে-ময়দানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি। দল অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, বিএনপির দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। তবে দল মাঠ ছেড়ে যায়নি, যাবেও না।
এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য শওকত হায়াৎ শাহ ও সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।
এই তিন দলের বাইরে আগেই প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আমির আব্দুল মুনতাকিম। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও এ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে দলটির জেলা কমিটির সহসভাপতি শহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সৈয়দপুর প্রতিনিধি রেজা মাহমুদ ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি সি এস তপন]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে