আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন মাদারীপুর-২। রাজৈর উপজেলার ১১টি ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে সরব হয়ে উঠেছে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ইউনিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জনসভা-সেমিনারের মতো কর্মসূচিসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
আসনটি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এখানে বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন দলটির প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির অবস্থা এ আসনে মোটেই ভালো নয়। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। এ আসন থেকে তিনি একনাগাড়ে সাতবার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা শাজাহান খানের বাবা প্রয়াত মৌলভি আচমত আলী খানও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাজেই তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের সুতা সেখানেই নিহিত।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শাজাহান খান তাঁর সংসদীয় এলাকায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নে বেশ নজর দেন। বিভিন্ন এলাকায় সেতু, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে তাঁর সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শুধু তা-ই নয়, তিনি দীর্ঘদিনের অবহেলিত রাজৈর ও মাদারীপুরেরও অনেক উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর প্রতি রয়েছে শ্রমিক সংগঠনের অকুণ্ঠ সমর্থন। এসব কারণে আওয়ামী লীগ তাঁকে মনোনয়ন দেবে বলে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের আশা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইব। আমার নির্বাচনী এলাকায় যেসব উন্নয়ন করেছি, তা এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তাই বিগত দিনের কাজ ও বর্তমান কাজ বিবেচনা করে আমাকেই দল মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস।’
তবে এবার এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নামও সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও কৃষিবিদ। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস। এ ছাড়া পারিবারিকভাবেও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হন তিনি। জনগণের মধ্যে তাঁর যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদারীপুরের বিভিন্ন গ্রাম, ইউনিয়নে জনসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। মনোনয়ন বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নাছিমের সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, ‘মাদারীপুরের জনগণ পরিবর্তন চান। এক মুখ দীর্ঘদিন দেখতে চান না। তাই এবার আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাহাউদ্দিন নাছিমের জন্য মনোনয়ন চাইব। আশা করছি আমরাই মনোনয়ন পাব এবং বাহাউদ্দিন নাছিম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।’
এ ছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তৎকালীন মাদারীপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত হাজি আনোয়ার ফরাজীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজীর নামও এবার এ আসনে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। দলটির দাবি, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই কেবল তাঁরা অংশ নেবেন।
বিএনপি থেকে এবার এ আসন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান। আরেকজন প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য মিল্টন বৈদ্য।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘দ্বাদশ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়, তবেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সে ক্ষেত্রে দল যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
মিল্টন বৈদ্য আরও বলেন, ‘গতবারও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে এবার নির্বাচনের সবকিছুই নির্ভর করছে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর।’
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন মাদারীপুর-২। রাজৈর উপজেলার ১১টি ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে সরব হয়ে উঠেছে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ইউনিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জনসভা-সেমিনারের মতো কর্মসূচিসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
আসনটি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এখানে বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন দলটির প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির অবস্থা এ আসনে মোটেই ভালো নয়। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। এ আসন থেকে তিনি একনাগাড়ে সাতবার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা শাজাহান খানের বাবা প্রয়াত মৌলভি আচমত আলী খানও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাজেই তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের সুতা সেখানেই নিহিত।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শাজাহান খান তাঁর সংসদীয় এলাকায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নে বেশ নজর দেন। বিভিন্ন এলাকায় সেতু, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে তাঁর সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শুধু তা-ই নয়, তিনি দীর্ঘদিনের অবহেলিত রাজৈর ও মাদারীপুরেরও অনেক উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর প্রতি রয়েছে শ্রমিক সংগঠনের অকুণ্ঠ সমর্থন। এসব কারণে আওয়ামী লীগ তাঁকে মনোনয়ন দেবে বলে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের আশা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইব। আমার নির্বাচনী এলাকায় যেসব উন্নয়ন করেছি, তা এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তাই বিগত দিনের কাজ ও বর্তমান কাজ বিবেচনা করে আমাকেই দল মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস।’
তবে এবার এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নামও সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও কৃষিবিদ। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস। এ ছাড়া পারিবারিকভাবেও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হন তিনি। জনগণের মধ্যে তাঁর যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদারীপুরের বিভিন্ন গ্রাম, ইউনিয়নে জনসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। মনোনয়ন বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নাছিমের সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, ‘মাদারীপুরের জনগণ পরিবর্তন চান। এক মুখ দীর্ঘদিন দেখতে চান না। তাই এবার আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাহাউদ্দিন নাছিমের জন্য মনোনয়ন চাইব। আশা করছি আমরাই মনোনয়ন পাব এবং বাহাউদ্দিন নাছিম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।’
এ ছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তৎকালীন মাদারীপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত হাজি আনোয়ার ফরাজীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজীর নামও এবার এ আসনে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। দলটির দাবি, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই কেবল তাঁরা অংশ নেবেন।
বিএনপি থেকে এবার এ আসন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান। আরেকজন প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য মিল্টন বৈদ্য।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘দ্বাদশ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়, তবেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সে ক্ষেত্রে দল যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
মিল্টন বৈদ্য আরও বলেন, ‘গতবারও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে এবার নির্বাচনের সবকিছুই নির্ভর করছে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে