শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নে বনের জমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ। এ সময় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষকসহ (এসিএফ) বন বিভাগের ১০ কর্মীকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন গ্রামবাসী। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বন বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার করে। গতকাল বেলা পৌনে ১টার দিকে গোসিংগা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বন বিভাগের মালি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেবসহ বন বিভাগের আট থেকে দশজন কর্মী ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের পেলাইদ মৌজার নবনির্মিত টিনশেডের বাড়িঘরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। তিনটি বাড়িঘরে অভিযান শেষ হয়। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের গাড়ির সামনে এসে বাধা দেন।’
রফিকুল বলেন, ‘তাঁরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ব্যবহৃত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে এগিয়ে আসেন। এরপর পুলিশের সহযোগিতা ঘটনাস্থল থেকে আমরা চলে আসি। এ সময় তাঁদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা জিতুন লাল বলেন, ‘দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর আমরা এই জমিতে বসবাস করে আসছি। বন বিভাগের লোকজন আমাদের কোনো কিছু না জানিয়ে এসে বাড়িঘর ভেঙে ফেলেন। ঘরের ভেতর রাখা খাদ্যসামগ্রী মাটিতে ফেলে দেন তাঁরা। এ ঘটনায় আমরা বাধা দিলে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেন তাঁরা। এ সময় বন বিভাগের কর্মীরা আমার স্ত্রীকে পেটে লাথি মেরে মারাত্মকভাবে আহত করেন।’
একই গ্রামের সমলা বেগম বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে এই টিনশেডের ঘর তুলেছিলাম। নিমেষেই আমার সব শেষ করে দিল বন বিভাগ। আমি ভূমিহীন, কই যাব? এখন কোথায় থাকব।’
গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন বলেন, এখানে মুচি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবার বাস করে। তাঁরা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবৎ এই জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে বন বিভাগের কর্মীদের বাধা দেন।
গোসিংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বাড়িঘরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সময় স্থানীয় গ্রামবাসী আর বন বিভাগের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজিত গ্রামবাসী বন বিভাগের কর্মীদের পথরোধ করেন। এরপর গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ভাঙার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের লোকজন উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধের শিকার হন। এমন খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে বনের জমি দখল করে নির্মাণ করা ঘরবাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পূর্বেই গ্রামবাসী আমাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে সবাইকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নে বনের জমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ। এ সময় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষকসহ (এসিএফ) বন বিভাগের ১০ কর্মীকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন গ্রামবাসী। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বন বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার করে। গতকাল বেলা পৌনে ১টার দিকে গোসিংগা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বন বিভাগের মালি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেবসহ বন বিভাগের আট থেকে দশজন কর্মী ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের পেলাইদ মৌজার নবনির্মিত টিনশেডের বাড়িঘরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। তিনটি বাড়িঘরে অভিযান শেষ হয়। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের গাড়ির সামনে এসে বাধা দেন।’
রফিকুল বলেন, ‘তাঁরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ব্যবহৃত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে এগিয়ে আসেন। এরপর পুলিশের সহযোগিতা ঘটনাস্থল থেকে আমরা চলে আসি। এ সময় তাঁদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা জিতুন লাল বলেন, ‘দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর আমরা এই জমিতে বসবাস করে আসছি। বন বিভাগের লোকজন আমাদের কোনো কিছু না জানিয়ে এসে বাড়িঘর ভেঙে ফেলেন। ঘরের ভেতর রাখা খাদ্যসামগ্রী মাটিতে ফেলে দেন তাঁরা। এ ঘটনায় আমরা বাধা দিলে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেন তাঁরা। এ সময় বন বিভাগের কর্মীরা আমার স্ত্রীকে পেটে লাথি মেরে মারাত্মকভাবে আহত করেন।’
একই গ্রামের সমলা বেগম বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে এই টিনশেডের ঘর তুলেছিলাম। নিমেষেই আমার সব শেষ করে দিল বন বিভাগ। আমি ভূমিহীন, কই যাব? এখন কোথায় থাকব।’
গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন বলেন, এখানে মুচি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবার বাস করে। তাঁরা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবৎ এই জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে বন বিভাগের কর্মীদের বাধা দেন।
গোসিংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বাড়িঘরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সময় স্থানীয় গ্রামবাসী আর বন বিভাগের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজিত গ্রামবাসী বন বিভাগের কর্মীদের পথরোধ করেন। এরপর গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ভাঙার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের লোকজন উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধের শিকার হন। এমন খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে বনের জমি দখল করে নির্মাণ করা ঘরবাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পূর্বেই গ্রামবাসী আমাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে সবাইকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে