মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিআর (টেস্ট রিলিফ), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কর্মসূচির আওতায় নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক সংসদ সদস্যের অনুকূলে অর্থ ও খাদ্যশস্য (চাল ও গম) বরাদ্দ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) সঙ্গে যোগসাজশে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সাধারণ ও বিশেষ কোটায় প্রথম কিস্তিতে কাবিখা প্রকল্পের ২৬ লাখ টাকার ৪৪ টন চাল, ২৭ দশমিক ৯৪৪ টন গম, নগদ অর্থের ১০টি চেক, তিনটি কাবিটা প্রকল্পের অনুকূলে ২৬ লাখ টাকা এবং টিআর প্রকল্পের অনুকূলে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করার সরকারি নির্দেশ ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পে কোনো কাজ করা হয়নি। তবে কাগজ-কলমে শতভাগ কাজ দেখিয়ে ‘ভুয়া’ মাস্টাররোলের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রকল্প অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মীরবাড়ি থেকে সোনা গাজীবাড়ি হয়ে শাহ আলম মিয়াজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণ না করে কাজ দেখিয়ে কাবিখা প্রকল্পের প্রথম কিস্তি বরাদ্দে দেওয়া ৮ টন চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সোনা গাজী বলেন, ‘আমাদের এই রাস্তায় গত দুই বছরেও কোনো কাজ হয়নি। আমার নামে রাস্তার কাজ আসছে, আমার বাড়ির সামনে দিয়ে, কিন্তু আমি দেখলাম না আজ পর্যন্ত কোনো কাজ করতে। কাজ না করে যাঁরা টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে তাঁদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।’
উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ পাটোয়ারীর বাড়ি থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাদাত মাওলানার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ কাবিখা প্রকল্পের ৮ টন চাল উত্তোলন করা হয়েছে। তবে রাস্তার কোনো কাজ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
ওই এলাকার আসানুল্লাহ রাঢ়ী বলেন, তাঁদের রাস্তাটি বর্ষাকালে বেহাল হয়ে থাকে, তাই এলাকাবাসী টাকা দিয়ে রাস্তাটির কিছু সংস্কার করেছেন। এ রাস্তাটির জন্য তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পিআইও, উপজেলা ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেছেন। রাস্তাটিতে কোনো দিন সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়নি। সরকারের কাছে তাঁদের দাবি, রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়। সেই সঙ্গে বরাদ্দের টাকা যাঁরা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
তবে অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেছেন পিআইও মাসুদুর রহমান। তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা বলে সব বিল স্বাক্ষর করে নিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। যেহেতু প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তিনি তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিআর (টেস্ট রিলিফ), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কর্মসূচির আওতায় নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক সংসদ সদস্যের অনুকূলে অর্থ ও খাদ্যশস্য (চাল ও গম) বরাদ্দ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) সঙ্গে যোগসাজশে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সাধারণ ও বিশেষ কোটায় প্রথম কিস্তিতে কাবিখা প্রকল্পের ২৬ লাখ টাকার ৪৪ টন চাল, ২৭ দশমিক ৯৪৪ টন গম, নগদ অর্থের ১০টি চেক, তিনটি কাবিটা প্রকল্পের অনুকূলে ২৬ লাখ টাকা এবং টিআর প্রকল্পের অনুকূলে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করার সরকারি নির্দেশ ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পে কোনো কাজ করা হয়নি। তবে কাগজ-কলমে শতভাগ কাজ দেখিয়ে ‘ভুয়া’ মাস্টাররোলের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রকল্প অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মীরবাড়ি থেকে সোনা গাজীবাড়ি হয়ে শাহ আলম মিয়াজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণ না করে কাজ দেখিয়ে কাবিখা প্রকল্পের প্রথম কিস্তি বরাদ্দে দেওয়া ৮ টন চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সোনা গাজী বলেন, ‘আমাদের এই রাস্তায় গত দুই বছরেও কোনো কাজ হয়নি। আমার নামে রাস্তার কাজ আসছে, আমার বাড়ির সামনে দিয়ে, কিন্তু আমি দেখলাম না আজ পর্যন্ত কোনো কাজ করতে। কাজ না করে যাঁরা টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে তাঁদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।’
উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ পাটোয়ারীর বাড়ি থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাদাত মাওলানার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ কাবিখা প্রকল্পের ৮ টন চাল উত্তোলন করা হয়েছে। তবে রাস্তার কোনো কাজ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
ওই এলাকার আসানুল্লাহ রাঢ়ী বলেন, তাঁদের রাস্তাটি বর্ষাকালে বেহাল হয়ে থাকে, তাই এলাকাবাসী টাকা দিয়ে রাস্তাটির কিছু সংস্কার করেছেন। এ রাস্তাটির জন্য তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পিআইও, উপজেলা ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেছেন। রাস্তাটিতে কোনো দিন সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়নি। সরকারের কাছে তাঁদের দাবি, রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়। সেই সঙ্গে বরাদ্দের টাকা যাঁরা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
তবে অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেছেন পিআইও মাসুদুর রহমান। তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা বলে সব বিল স্বাক্ষর করে নিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। যেহেতু প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তিনি তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে