সৌগত বসু ও সাইফুল মাসুম,খুলনা থেকে
বিএনপিবিহীন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী আছেন। প্রচারও চালাচ্ছেন সবাই। সাধারণ মানুষের ধারণা, শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আবারও নগরপিতা হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংশয় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ নির্ভার হলেও কাউন্সিলর পদে অনেক ওয়ার্ডেই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির চারজনও আছেন কাউন্সিলর পদে। তাই স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, ১২ জুনের ভোটে বেশি উত্তেজনা থাকবে ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে।
মেয়র পদে অন্য চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল (হাতপাখা প্রতীক), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র এস এম শফিকুর রহমান (টেবিল ঘড়ি প্রতীক)।
কেসিসি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। ভোট হবে ইভিএমে। সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। কেসিসির গত পাঁচটি নির্বাচনে মেয়র পদে দুবার জিতেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি তিনবার। নগরে শক্ত অবস্থান ও ভোটব্যাংক থাকা বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও নৌকার প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক প্রচার-গণসংযোগ চালাচ্ছেন পুরোদমে। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারে বাধা, হুমকি দেওয়া এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন। কিছু মানুষ মনে করছেন, লাঙ্গল ও হাতপাখা ভালো ভোট পাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ প্রচার চলছে মেয়র প্রার্থীকেন্দ্রিক।
লাঙ্গলের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ থেকে বিভিন্নভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার হবে না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমানের অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। ক্যাডার বাহিনী দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে লাঙ্গল ও হাতপাখার সম্পর্ক আছে। তাই বিরোধী ভোট দেয়াল ঘড়ি পাবে।
প্রচারে কোনো বাধা না পাওয়ার কথা জানালেন ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র নাসিরউদ্দিন। তিনি বলেন, আগের বার ভোট সুষ্ঠু হয়নি। এবারও সেই আশঙ্কা রয়েছে।
তবে তালুকদার আবদুল খালেক এসব অভিযোগ আমলে নেননি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত খুলনায় কোনো ধরনের অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাননি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে প্রায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনায় সবচেয়ে সুষ্ঠু ভোট হবে, যেটি খুলনার ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।
নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাসসহ প্রার্থী পাঁচজন। আনিছুর গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখারও প্রার্থী হয়েছেন। গত রোববার দুজনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়।
আয় ও দেনায় দ্বিতীয় খালেক
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খালেক বার্ষিক আয় ও দেনায় প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। প্রথম জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
গতকাল খুলনা জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বছরে সর্বোচ্চ ৯০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা আয় শফিকুল ইসলামের। খালেকের আয় ৫৯ লাখ ২০ হাজার ৮৭০ টাকা। শফিকুলের দেনা ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং খালেকের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৭০ টাকা। পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের আউয়াল স্নাতকোত্তর, তালুকদার খালেক ও জাকের পার্টির সাব্বির স্নাতক এবং শফিকুল ও স্বতন্ত্র শফিকুর স্বশিক্ষিত।
এই পাঁচজনের মধ্যে তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধে অতীতে নয়টি ফৌজদারি মামলা ছিল। চারটিতে তিনি অব্যাহতি ও পাঁচটিতে খালাস পেয়েছেন। অন্য কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার উল্লেখ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার, বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমানসহ অন্যরা।
বিএনপিবিহীন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী আছেন। প্রচারও চালাচ্ছেন সবাই। সাধারণ মানুষের ধারণা, শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আবারও নগরপিতা হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংশয় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ নির্ভার হলেও কাউন্সিলর পদে অনেক ওয়ার্ডেই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির চারজনও আছেন কাউন্সিলর পদে। তাই স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, ১২ জুনের ভোটে বেশি উত্তেজনা থাকবে ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে।
মেয়র পদে অন্য চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল (হাতপাখা প্রতীক), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র এস এম শফিকুর রহমান (টেবিল ঘড়ি প্রতীক)।
কেসিসি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। ভোট হবে ইভিএমে। সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। কেসিসির গত পাঁচটি নির্বাচনে মেয়র পদে দুবার জিতেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি তিনবার। নগরে শক্ত অবস্থান ও ভোটব্যাংক থাকা বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও নৌকার প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক প্রচার-গণসংযোগ চালাচ্ছেন পুরোদমে। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারে বাধা, হুমকি দেওয়া এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন। কিছু মানুষ মনে করছেন, লাঙ্গল ও হাতপাখা ভালো ভোট পাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ প্রচার চলছে মেয়র প্রার্থীকেন্দ্রিক।
লাঙ্গলের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ থেকে বিভিন্নভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার হবে না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমানের অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। ক্যাডার বাহিনী দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে লাঙ্গল ও হাতপাখার সম্পর্ক আছে। তাই বিরোধী ভোট দেয়াল ঘড়ি পাবে।
প্রচারে কোনো বাধা না পাওয়ার কথা জানালেন ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র নাসিরউদ্দিন। তিনি বলেন, আগের বার ভোট সুষ্ঠু হয়নি। এবারও সেই আশঙ্কা রয়েছে।
তবে তালুকদার আবদুল খালেক এসব অভিযোগ আমলে নেননি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত খুলনায় কোনো ধরনের অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাননি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে প্রায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনায় সবচেয়ে সুষ্ঠু ভোট হবে, যেটি খুলনার ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।
নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাসসহ প্রার্থী পাঁচজন। আনিছুর গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখারও প্রার্থী হয়েছেন। গত রোববার দুজনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়।
আয় ও দেনায় দ্বিতীয় খালেক
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খালেক বার্ষিক আয় ও দেনায় প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। প্রথম জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
গতকাল খুলনা জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বছরে সর্বোচ্চ ৯০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা আয় শফিকুল ইসলামের। খালেকের আয় ৫৯ লাখ ২০ হাজার ৮৭০ টাকা। শফিকুলের দেনা ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং খালেকের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৭০ টাকা। পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের আউয়াল স্নাতকোত্তর, তালুকদার খালেক ও জাকের পার্টির সাব্বির স্নাতক এবং শফিকুল ও স্বতন্ত্র শফিকুর স্বশিক্ষিত।
এই পাঁচজনের মধ্যে তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধে অতীতে নয়টি ফৌজদারি মামলা ছিল। চারটিতে তিনি অব্যাহতি ও পাঁচটিতে খালাস পেয়েছেন। অন্য কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার উল্লেখ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার, বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমানসহ অন্যরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে