জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যেই ভাষাপ্রসঙ্গটি গণপরিষদের আলোচনায় আসে। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকেও গণপরিষদের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি গণপরিষদের আলোচনায় উঠেছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। মুসলিম লীগ সদস্যদের সম্মিলিত বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়।
দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে একটি সংবাদ ছাপা হয়। শিরোনাম ছিল: ‘পাক গণপরিষদে বাঙ্গলাকে পরিষদের ভাষা করার দাবি, পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রীর তীব্র বিরোধিতা, ইংরেজি উর্দু ভাষায় কাজ চালাইবার প্রস্তাব গৃহীত’।
গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদের কিছু অংশ তুলে ধরছি:
‘করাচি ২৫ ফেব্রুয়ারি। অদ্য পাকিস্তান গণপরিষদে প্রবল বিতর্কের পর ইংরেজি উর্দু ভাষার সহিত বাঙ্গলা ভাষাকে পরিষদের সরকারি ভাষা করিবার প্রস্তাব অগ্রাহ্য হয়। শ্রীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত খসড়া নিয়ন্ত্রণ প্রণালীর ২৯ নং ধারা সম্পর্কে এক সংশোধন প্রস্তাব আনয়ন করিলে এই বিতর্কের উৎপত্তি হয়। ২৯ ধারা অনুযায়ী পরিষদে প্রত্যেক সদস্যকে উর্দু বা ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করিতে হইবে। শ্রীযুক্ত দত্ত প্রস্তাব উত্থাপন করিয়া বলেন যে, প্রাদেশিকতার মনোভাব লইয়া তিনি এই প্রস্তাব করেন নাই। পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে বাঙ্গলা ভাষাভাষীর সংখ্যা হইতেছে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ। এই কারণেই তিনি এই প্রস্তাব আনয়ন করিয়াছেন। তিনি আরো বলেন যে, সংখ্যাধিক্যের কথিত ভাষাই রাষ্ট্রের ভাষা হওয়া উচিত। সুতরাং বাঙ্গলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত।’
সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পরিষদের নেতা জনাব লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘পাকিস্তান একটি মোছলেম রাষ্ট্র সুতরাং পাকিস্তানের ভাষা মোছলেম রাষ্ট্রের ভাষাই হওয়া উচিত। প্রথমে সংশোধন প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নির্দোষ বলিয়া আমি ভাবিয়াছিলাম। প্রস্তাবে বাংলাকে পরিষদের ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হইয়াছিল। কিন্তু বর্তমানে মনে হয়, পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা এবং একটি সাধারণ ঐক্যসূত্রে স্থাপনের প্রচেষ্টা হইতে মুছলমানদের বিচ্ছিন্ন করা এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য।’
পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন বলেন, ‘উর্দুই একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইতে পারে বলিয়া পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ লোকের অভিমত। বাংলাকে সরকারি ভাষা করিবার কোনই যুক্তি নাই। তবে পূর্ববঙ্গের শিক্ষা ও শাসনকার্যের ক্ষেত্রে যথা সময়ে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হইবে।’
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে কোনো অবিবেচক প্রস্তাব রাখেননি, সেটা এ বিষয়ে তাঁর ভাষণেই স্পষ্ট। পাকিস্তান গণপরিষদের বক্তৃতাদান ও কার্যবিবরণীর ক্ষেত্রে লেখা ছিল, ‘কেবলমাত্র উর্দু অথবা ইংরেজীতেই পরিচালিত হবে।’
এখানে বলা প্রয়োজন, সে সময় বাংলাহীন গণপরিষদে দাঁড়িয়ে যিনি বাংলাকেও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছিলেন, তিনি মুসলমান ছিলেন না। বাংলার মানুষের ভোটেই পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল, কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে নির্বাচিত গণপরিষদের কোনো মুসলমান সদস্য বাংলা ভাষার দাবি তোলেননি। তুলেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। এ থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তান আন্দোলন সে সময় বাঙালি মুসলমানদের এতটাই মোহগ্রস্ত করে তুলেছিল যে প্রাথমিকভাবে ভাষাপ্রসঙ্গটির তাৎপর্য বোঝার মতো অবস্থায় তাঁরা ছিলেন না।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সংশোধনী প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্ররা ধর্মঘট করেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি সারা প্রদেশে ছাত্র ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়, রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বাদানুবাদের জন্ম পাকিস্তান সৃষ্টির বহু আগে থেকেই। দেশের ৬১ শতাংশ মানুষের মুখের ভাষাকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়, বরং তা রাষ্ট্রভাষা হওয়ার যোগ্য। আজাদ পত্রিকা তখন ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবটিকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করেছিল। বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানকে মুসলিম রাষ্ট্র বললেও কায়েদে আযম বহুবার দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছেন। এই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের মনে নিষ্ঠুর আঘাত দেওয়া হয়েছে। ন্যায্য দাবির প্রতি উপেক্ষায় পূর্ব বাংলা আজ বিক্ষুব্ধ।
তখন পূর্ব বাংলার মানুষ সত্যিই বিক্ষুব্ধ ছিল, এবং সেই মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের পেটোয়া বাহিনী ছিল সক্রিয়, তারই প্রকাশ দেখা যায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। সেদিন প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট ছিল।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা এখানে আরেকটু বলে নেওয়া দরকার। ১৫ মার্চ খাজা নাজিমুদ্দীনের সঙ্গে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। ৮ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদে পূর্ব বাংলার সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে গ্রহণ এবং যথাসম্ভব শিগগির বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন খাজা নাজিমুদ্দীন। এখানেও সংশোধনী আনেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি গণপরিষদ সদস্যদের, বিশেষ করে পূর্ব বাংলার সদস্যদের অনুরোধ করেন বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু প্রস্তাবটি সে সময় পাস হয়নি। পাস হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে। সে কথাও হবে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যেই ভাষাপ্রসঙ্গটি গণপরিষদের আলোচনায় আসে। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকেও গণপরিষদের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি গণপরিষদের আলোচনায় উঠেছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। মুসলিম লীগ সদস্যদের সম্মিলিত বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়।
দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে একটি সংবাদ ছাপা হয়। শিরোনাম ছিল: ‘পাক গণপরিষদে বাঙ্গলাকে পরিষদের ভাষা করার দাবি, পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রীর তীব্র বিরোধিতা, ইংরেজি উর্দু ভাষায় কাজ চালাইবার প্রস্তাব গৃহীত’।
গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদের কিছু অংশ তুলে ধরছি:
‘করাচি ২৫ ফেব্রুয়ারি। অদ্য পাকিস্তান গণপরিষদে প্রবল বিতর্কের পর ইংরেজি উর্দু ভাষার সহিত বাঙ্গলা ভাষাকে পরিষদের সরকারি ভাষা করিবার প্রস্তাব অগ্রাহ্য হয়। শ্রীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত খসড়া নিয়ন্ত্রণ প্রণালীর ২৯ নং ধারা সম্পর্কে এক সংশোধন প্রস্তাব আনয়ন করিলে এই বিতর্কের উৎপত্তি হয়। ২৯ ধারা অনুযায়ী পরিষদে প্রত্যেক সদস্যকে উর্দু বা ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করিতে হইবে। শ্রীযুক্ত দত্ত প্রস্তাব উত্থাপন করিয়া বলেন যে, প্রাদেশিকতার মনোভাব লইয়া তিনি এই প্রস্তাব করেন নাই। পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে বাঙ্গলা ভাষাভাষীর সংখ্যা হইতেছে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ। এই কারণেই তিনি এই প্রস্তাব আনয়ন করিয়াছেন। তিনি আরো বলেন যে, সংখ্যাধিক্যের কথিত ভাষাই রাষ্ট্রের ভাষা হওয়া উচিত। সুতরাং বাঙ্গলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত।’
সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পরিষদের নেতা জনাব লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘পাকিস্তান একটি মোছলেম রাষ্ট্র সুতরাং পাকিস্তানের ভাষা মোছলেম রাষ্ট্রের ভাষাই হওয়া উচিত। প্রথমে সংশোধন প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নির্দোষ বলিয়া আমি ভাবিয়াছিলাম। প্রস্তাবে বাংলাকে পরিষদের ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হইয়াছিল। কিন্তু বর্তমানে মনে হয়, পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা এবং একটি সাধারণ ঐক্যসূত্রে স্থাপনের প্রচেষ্টা হইতে মুছলমানদের বিচ্ছিন্ন করা এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য।’
পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন বলেন, ‘উর্দুই একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইতে পারে বলিয়া পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ লোকের অভিমত। বাংলাকে সরকারি ভাষা করিবার কোনই যুক্তি নাই। তবে পূর্ববঙ্গের শিক্ষা ও শাসনকার্যের ক্ষেত্রে যথা সময়ে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হইবে।’
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে কোনো অবিবেচক প্রস্তাব রাখেননি, সেটা এ বিষয়ে তাঁর ভাষণেই স্পষ্ট। পাকিস্তান গণপরিষদের বক্তৃতাদান ও কার্যবিবরণীর ক্ষেত্রে লেখা ছিল, ‘কেবলমাত্র উর্দু অথবা ইংরেজীতেই পরিচালিত হবে।’
এখানে বলা প্রয়োজন, সে সময় বাংলাহীন গণপরিষদে দাঁড়িয়ে যিনি বাংলাকেও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছিলেন, তিনি মুসলমান ছিলেন না। বাংলার মানুষের ভোটেই পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল, কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে নির্বাচিত গণপরিষদের কোনো মুসলমান সদস্য বাংলা ভাষার দাবি তোলেননি। তুলেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। এ থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তান আন্দোলন সে সময় বাঙালি মুসলমানদের এতটাই মোহগ্রস্ত করে তুলেছিল যে প্রাথমিকভাবে ভাষাপ্রসঙ্গটির তাৎপর্য বোঝার মতো অবস্থায় তাঁরা ছিলেন না।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সংশোধনী প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্ররা ধর্মঘট করেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি সারা প্রদেশে ছাত্র ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়, রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বাদানুবাদের জন্ম পাকিস্তান সৃষ্টির বহু আগে থেকেই। দেশের ৬১ শতাংশ মানুষের মুখের ভাষাকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়, বরং তা রাষ্ট্রভাষা হওয়ার যোগ্য। আজাদ পত্রিকা তখন ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবটিকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করেছিল। বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানকে মুসলিম রাষ্ট্র বললেও কায়েদে আযম বহুবার দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছেন। এই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের মনে নিষ্ঠুর আঘাত দেওয়া হয়েছে। ন্যায্য দাবির প্রতি উপেক্ষায় পূর্ব বাংলা আজ বিক্ষুব্ধ।
তখন পূর্ব বাংলার মানুষ সত্যিই বিক্ষুব্ধ ছিল, এবং সেই মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের পেটোয়া বাহিনী ছিল সক্রিয়, তারই প্রকাশ দেখা যায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। সেদিন প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট ছিল।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা এখানে আরেকটু বলে নেওয়া দরকার। ১৫ মার্চ খাজা নাজিমুদ্দীনের সঙ্গে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। ৮ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদে পূর্ব বাংলার সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে গ্রহণ এবং যথাসম্ভব শিগগির বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন খাজা নাজিমুদ্দীন। এখানেও সংশোধনী আনেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি গণপরিষদ সদস্যদের, বিশেষ করে পূর্ব বাংলার সদস্যদের অনুরোধ করেন বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু প্রস্তাবটি সে সময় পাস হয়নি। পাস হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে। সে কথাও হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে