সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
দেশে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে সাতটি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বাকিরা ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে নির্বাচন বর্জন করলেও মাঠের আন্দোলনে জোরালো অবস্থানে নেই এসব দল। নিবন্ধিত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়মিত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দলগুলো মাঠের কর্মসূচিতে খুব একটা নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় নিবন্ধিত ইসলামি দল ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। অনিবন্ধিত এই দলটি সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মাঠে আছে। নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
এ ছাড়া জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচন বর্জনের পর বর্জনকারী অন্য দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। তবে বিএনপি কিংবা সমমনা ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই দলটির। দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ উপায়েই ভবিষ্যতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে একত্রে আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই আশা আমাদের এখনো আছে। এখন তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে বৃহত্তর ঐক্য হতে পারে।’
তবে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বর্জনের দাবিতে জোরালো আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ‘সমমনা ইসলামি দল’ জোটভুক্ত ইসলামপন্থী দলগুলো। ৬ দলভুক্ত এই মোর্চার অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে নিবন্ধিত ৪টি ও অনিবন্ধিত ১টি দল নির্বাচন বর্জন করে স্বতন্ত্রভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন বর্জনকারী অন্য দলগুলোর সঙ্গে একযোগে আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন দলগুলো।
মোর্চার শরিক খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দলগতভাবে আন্দোলনে আছি।’ জোটগত আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
একই সুর জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতাদেরও। দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় কর্মসূচির মধ্যেই আমরা আছি। জোটগত কর্মসূচির বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
এদিকে মোর্চার আরেক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৩০ নভেম্বরের পর মোর্চার বৈঠক হয়নি। বৈঠক হলে একযোগে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হতে পারে। দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে বড় কোনো কর্মসূচি নেই। নির্বাচনে না যাওয়াটাই আমাদের বড় প্রতিবাদ।’
এদিকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও যুগপতের সঙ্গে একযোগে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী। ১৭ তারিখের পর আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে নতুন কৌশল খুঁজছে দলটি। এ বিষয়ে নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, অবরোধ, হরতাল আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। হরতালের থেকে বড় কর্মসূচি তো আর নেই।’ টানা হরতাল কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। ১৬ ডিসেম্বরের পর আমরা পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব।’
দেশে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে সাতটি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বাকিরা ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে নির্বাচন বর্জন করলেও মাঠের আন্দোলনে জোরালো অবস্থানে নেই এসব দল। নিবন্ধিত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়মিত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দলগুলো মাঠের কর্মসূচিতে খুব একটা নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় নিবন্ধিত ইসলামি দল ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। অনিবন্ধিত এই দলটি সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মাঠে আছে। নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
এ ছাড়া জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচন বর্জনের পর বর্জনকারী অন্য দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। তবে বিএনপি কিংবা সমমনা ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই দলটির। দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ উপায়েই ভবিষ্যতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে একত্রে আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই আশা আমাদের এখনো আছে। এখন তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে বৃহত্তর ঐক্য হতে পারে।’
তবে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বর্জনের দাবিতে জোরালো আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ‘সমমনা ইসলামি দল’ জোটভুক্ত ইসলামপন্থী দলগুলো। ৬ দলভুক্ত এই মোর্চার অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে নিবন্ধিত ৪টি ও অনিবন্ধিত ১টি দল নির্বাচন বর্জন করে স্বতন্ত্রভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন বর্জনকারী অন্য দলগুলোর সঙ্গে একযোগে আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন দলগুলো।
মোর্চার শরিক খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দলগতভাবে আন্দোলনে আছি।’ জোটগত আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
একই সুর জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতাদেরও। দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় কর্মসূচির মধ্যেই আমরা আছি। জোটগত কর্মসূচির বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
এদিকে মোর্চার আরেক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৩০ নভেম্বরের পর মোর্চার বৈঠক হয়নি। বৈঠক হলে একযোগে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হতে পারে। দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে বড় কোনো কর্মসূচি নেই। নির্বাচনে না যাওয়াটাই আমাদের বড় প্রতিবাদ।’
এদিকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও যুগপতের সঙ্গে একযোগে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী। ১৭ তারিখের পর আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে নতুন কৌশল খুঁজছে দলটি। এ বিষয়ে নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, অবরোধ, হরতাল আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। হরতালের থেকে বড় কর্মসূচি তো আর নেই।’ টানা হরতাল কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। ১৬ ডিসেম্বরের পর আমরা পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে