পাবনা ও বেড়া প্রতিনিধি
জুলহাস শেখ। বয়স পেরিয়েছে ৮০ বছর। অথচ এই বয়সেও তাঁকে জীবিকা নির্বাহ করতে পথে নামতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরে না পড়ায়, কপালে জোটেনি কোনো ভাতা। জুলহাস শেখ নিজেও জানেন না বয়স্কভাতা পেতে হলে আর কত বয়স হতে হবে। ছেলেমেয়েরাও দরিদ্র হওয়ায় বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে পারেন না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে পথে ঘাটে ফুলের মালা বিক্রি করেন জুলহাস শেখ। যা পান তাই দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর খাবার চলে।
পাবনার বেড়ার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বকচর গ্রামের বাসিন্দা জুলহাস শেখ। উপজেলার কাশিনাথপুর বাজারে দুই হাতে লাঠি ভর করে ফুলের মালা বিক্রি করছিলেন। এ সময় হাত-পা কাঁপছিল তাঁর। ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না।
এ সময় তাঁর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তাঁর এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু ছেলের সংসারেও টানাপোড়েন। চার মেয়ের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েরাও বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দিতে অক্ষম। আর এ কারণেই জুলহাস শেখ প্রতিদিন সকাল হলে বকুল ফুলের মালা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিটি মালা ২০ টাকা করে বিক্রি করে যা লভ্যাংশ পান, তা দিয়েই কোনোরকমে জীবনযাপন করছেন।
জুলহাস শেখ কাজ করে খাবেন, কিন্তু হাত পাতেন না। ভিক্ষাবৃত্তি তাঁর অপছন্দ কাজ। তাই যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ কাজ করেই স্ত্রীকে নিয়ে বাঁচতে চান তিনি। জুলহাস শেখ বলেন, তাঁর ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী বকুল ফুলের মালা গেঁথে দেন, আর তিনি বাজারে কিংবা স্কুল-কলেজের রাস্তায় কখনো বসে, কখনো বা হেঁটে মালাগুলি বিক্রি করেন।
জুলহাস শেখ বলেন,তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে। তাঁর শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। চলাফেরা করতে পারেন না। বেঁচে থাকার রসদ নেই, তবু বেঁচে থাকতে হচ্ছে। বাঁচার লড়াইটা চালাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কলেজশিক্ষক আলাউল হোসেন বলেন, সময়ের ব্যবধানে প্রবীণ মানুষগুলো অপেক্ষাকৃত অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত। যে বয়সে একটু ভালোবাসা, সান্নিধ্য কিংবা ছেলেমেয়েদের পরম যত্নে থাকার কথা, সেই বয়সে নিগৃহীত হওয়া ছাড়া কিছুই মিলছে না। জুলহাস শেখ যেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তাঁর বিষয়ে উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, সম্প্রতি প্রবীণ জুলহাস শেখ বিষয়ে তিনি শুনেছেন। এত দিন কেন তাঁর কোনো ভাতা হয়নি কেন সেটাই ভাবার বিষয়। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর ভাতার ব্যবস্থাসহ পাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুর আলী বলেন, ইতিমধ্যে ওই প্রবীণ ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন তিনি। খাবারের ব্যবস্থা, ভাতার ব্যবস্থাসহ তাঁর জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জুলহাস শেখ। বয়স পেরিয়েছে ৮০ বছর। অথচ এই বয়সেও তাঁকে জীবিকা নির্বাহ করতে পথে নামতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরে না পড়ায়, কপালে জোটেনি কোনো ভাতা। জুলহাস শেখ নিজেও জানেন না বয়স্কভাতা পেতে হলে আর কত বয়স হতে হবে। ছেলেমেয়েরাও দরিদ্র হওয়ায় বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে পারেন না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে পথে ঘাটে ফুলের মালা বিক্রি করেন জুলহাস শেখ। যা পান তাই দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর খাবার চলে।
পাবনার বেড়ার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বকচর গ্রামের বাসিন্দা জুলহাস শেখ। উপজেলার কাশিনাথপুর বাজারে দুই হাতে লাঠি ভর করে ফুলের মালা বিক্রি করছিলেন। এ সময় হাত-পা কাঁপছিল তাঁর। ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না।
এ সময় তাঁর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তাঁর এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু ছেলের সংসারেও টানাপোড়েন। চার মেয়ের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েরাও বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দিতে অক্ষম। আর এ কারণেই জুলহাস শেখ প্রতিদিন সকাল হলে বকুল ফুলের মালা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিটি মালা ২০ টাকা করে বিক্রি করে যা লভ্যাংশ পান, তা দিয়েই কোনোরকমে জীবনযাপন করছেন।
জুলহাস শেখ কাজ করে খাবেন, কিন্তু হাত পাতেন না। ভিক্ষাবৃত্তি তাঁর অপছন্দ কাজ। তাই যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ কাজ করেই স্ত্রীকে নিয়ে বাঁচতে চান তিনি। জুলহাস শেখ বলেন, তাঁর ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী বকুল ফুলের মালা গেঁথে দেন, আর তিনি বাজারে কিংবা স্কুল-কলেজের রাস্তায় কখনো বসে, কখনো বা হেঁটে মালাগুলি বিক্রি করেন।
জুলহাস শেখ বলেন,তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে। তাঁর শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। চলাফেরা করতে পারেন না। বেঁচে থাকার রসদ নেই, তবু বেঁচে থাকতে হচ্ছে। বাঁচার লড়াইটা চালাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কলেজশিক্ষক আলাউল হোসেন বলেন, সময়ের ব্যবধানে প্রবীণ মানুষগুলো অপেক্ষাকৃত অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত। যে বয়সে একটু ভালোবাসা, সান্নিধ্য কিংবা ছেলেমেয়েদের পরম যত্নে থাকার কথা, সেই বয়সে নিগৃহীত হওয়া ছাড়া কিছুই মিলছে না। জুলহাস শেখ যেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তাঁর বিষয়ে উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, সম্প্রতি প্রবীণ জুলহাস শেখ বিষয়ে তিনি শুনেছেন। এত দিন কেন তাঁর কোনো ভাতা হয়নি কেন সেটাই ভাবার বিষয়। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর ভাতার ব্যবস্থাসহ পাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুর আলী বলেন, ইতিমধ্যে ওই প্রবীণ ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন তিনি। খাবারের ব্যবস্থা, ভাতার ব্যবস্থাসহ তাঁর জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে