আসাদুজ্জামান মামুন, গাইবান্ধা
বালাশী একসময় যোগাযোগের মাধ্যম হলেও এখন শুধু দৃশ্যমান ঘাট। আধা কিলোমিটার দূরে শীর্ণ নদীতে ছোট নৌকায় মানুষ পারাপার হয় দুই পাড়ে দড়ি বেঁধে। ঘাট এলাকার মানুষের জীবিকার সংকট চরমে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের রেলযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল বালাশী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। কিন্তু নাব্যতার সংকট ও যমুনা নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় ২০০৫ সালে ফেরিটি বন্ধ হয়ে যায়।
এর পরও নতুন করে ফেরিঘাটটি চালু করতে দুই দফায় ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করে নৌ টার্মিনালসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়; কিন্তু এই অবকাঠামো এখন পরিত্যক্ত।
জানা যায়, বালাশী ঘাট গাইবান্ধা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্বে ফুলছড়ি উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত নৌবন্দর। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাটে রেল ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। ২০০৫ সালের ১৫ জুন যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর বন্ধ হয়ে যায় বালাসী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের চাপ লাঘবের জন্য সেতুটির ধারণক্ষমতা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প পথ তৈরির যুক্তি দেখিয়ে ২০১৪ সালে বালাসী ও বাহাদুরাবাদে ফেরিঘাট চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকে বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌ-রুটটি আবারও চালু করতে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস, গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এসব অবকাঠামো নির্মাণের পর বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যতা সংকট ও ২৬ কিলোমিটার বিশাল দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌ-রুটটি নৌযান চলাচলের অনুপযোগী বলে মন্তব্য করে। এরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআইডব্লিউটিএর প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাব্যতা-সংকটের কারণে এই পথ ফেরি চলাচলের উপযোগী নয়।
সর্বশেষ গত বছরের জুনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এই প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ড্রেজিং বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে সরেজমিন বালাসী ও বাহাদুরাবাদ ঘাট পরিদর্শন করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনেও বলা হয়, নাব্যতা-সংকটের কারণে গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ড্রেজিং সমস্যার কারণে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। নতুন করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই নৌ-রুটে ফেরি চালুর পরিকল্পনা আছে।
বালাশী একসময় যোগাযোগের মাধ্যম হলেও এখন শুধু দৃশ্যমান ঘাট। আধা কিলোমিটার দূরে শীর্ণ নদীতে ছোট নৌকায় মানুষ পারাপার হয় দুই পাড়ে দড়ি বেঁধে। ঘাট এলাকার মানুষের জীবিকার সংকট চরমে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের রেলযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল বালাশী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। কিন্তু নাব্যতার সংকট ও যমুনা নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় ২০০৫ সালে ফেরিটি বন্ধ হয়ে যায়।
এর পরও নতুন করে ফেরিঘাটটি চালু করতে দুই দফায় ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করে নৌ টার্মিনালসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়; কিন্তু এই অবকাঠামো এখন পরিত্যক্ত।
জানা যায়, বালাশী ঘাট গাইবান্ধা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্বে ফুলছড়ি উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত নৌবন্দর। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাটে রেল ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। ২০০৫ সালের ১৫ জুন যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর বন্ধ হয়ে যায় বালাসী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের চাপ লাঘবের জন্য সেতুটির ধারণক্ষমতা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প পথ তৈরির যুক্তি দেখিয়ে ২০১৪ সালে বালাসী ও বাহাদুরাবাদে ফেরিঘাট চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকে বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌ-রুটটি আবারও চালু করতে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস, গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এসব অবকাঠামো নির্মাণের পর বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যতা সংকট ও ২৬ কিলোমিটার বিশাল দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌ-রুটটি নৌযান চলাচলের অনুপযোগী বলে মন্তব্য করে। এরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআইডব্লিউটিএর প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাব্যতা-সংকটের কারণে এই পথ ফেরি চলাচলের উপযোগী নয়।
সর্বশেষ গত বছরের জুনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এই প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ড্রেজিং বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে সরেজমিন বালাসী ও বাহাদুরাবাদ ঘাট পরিদর্শন করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনেও বলা হয়, নাব্যতা-সংকটের কারণে গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ড্রেজিং সমস্যার কারণে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। নতুন করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই নৌ-রুটে ফেরি চালুর পরিকল্পনা আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে