রাজশাহী প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির ভিডিওতে বেকায়দায় পড়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় পদ, মেয়রের পদটাও যায় যায় অবস্থা। এবার দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর বিভিন্ন জনের হাতে। বলা হচ্ছে, এটা রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর কথোপকথন।
ওই অডিওতে ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে আমার পাপ হবে’—এমন কথা বলতে শোনা যাচ্ছে মেয়র আব্বাস আলীকে। ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড এবং ১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের এই দুটি অডিও ক্লিপ নিয়ে রাজশাহীতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
বিষয়টি জানার জন্য গতকাল মঙ্গলবার মেয়র আব্বাস আলীকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপ তাঁর নয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করতে দেওয়া হবে না বা করলে ‘পাপ হবে’—এ ধরনের কথা তিনি কাউকে বলেননি।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগ তুলে মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের একাংশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাটাখালী বাজারে এ বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম রিপন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুত মেয়র আব্বাস আলীকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।’ এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মেয়র পদ থেকেও তাঁকে অপসারণ করার দাবি জানানো হবে কর্মসূচিতে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, মেয়র আব্বাস আলীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড তিনি শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকেও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। তাঁরাও এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটিতে আব্বাস আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘হাইওয়েটাকে আমরা ডিজাইন করতে দিয়েছি। আমাদের যে অংশটা হাইওয়ে। সিটিগেট থেকে আমার অংশ। টোটালই একটা ফার্মকে দিয়েছি যে, তারা একদম বিদেশি স্টাইলে সাজায়ে দিবে ফুটপাত, সাইকেল লেন—টোটাল আমার অংশটা।’ কথার এই পর্যায়ে পাশ থেকে কেউ একজন যোগ করেন, ‘দুই পাড়ে দুইটা গেট করার কথা আছে।’
তখন মেয়র বলেন, ‘একটু থাইমি গেছি গেটটা নিয়ে, একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে, ম্যুরালটা দিছে বঙ্গবন্ধুর, এটা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক সঠিক না। এ জন্য আমি ওকে থুব না। সব করব, যা কিছু আছে, খালি শেষ মাথাতে যেটা মাইন্ড করবে না ওড্যাই। আমি দেখতে পাছি, আমাকে যেভাবে বুঝ্যালো আমি দেখতে পাছি যে ম্যুরালটি ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে। তো কেন দিব? দিব না, আমি তো কানা লোক না, আমাক বুঝাই দিছে।’
আব্বাস আলীকে আরও বলে শোনা যায়, ‘যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মুনে হইছে যে, ম্যুরালটা হইলে আমার ভুল হয়্যা যাবে। এ জন্য চেঞ্জ করছি। এই খবরটাও যদি আবার যায় তো আবার রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। ওই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দিত চাইয়া দিচ্ছে না! বঙ্গবন্ধুক খুশি করতে যাইয়া জায়গা নারাজ করব নাকি? এইডা লিয়েও রাজনীতি করবে; কিন্তু আমি সিওর। তবে করলে কিছু করার নাই। মানুষেক সন্তুষ্ট করতে যাইয়া আল্লাক অসন্তুষ্ট করা যাবে না তো।’
১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও ক্লিপে স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মেয়র আব্বাস। একপর্যায়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ পাওয়া এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেও কটূক্তি করতে শোনা গেছে। আছে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও। তবে কথার একপর্যায়ে আব্বাস আলী বলেছেন, তিনি কারও রাজনীতি করেন না। রাজনীতি করেন বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর।
আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। ২০১৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির ভিডিওতে বেকায়দায় পড়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় পদ, মেয়রের পদটাও যায় যায় অবস্থা। এবার দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর বিভিন্ন জনের হাতে। বলা হচ্ছে, এটা রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর কথোপকথন।
ওই অডিওতে ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে আমার পাপ হবে’—এমন কথা বলতে শোনা যাচ্ছে মেয়র আব্বাস আলীকে। ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড এবং ১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের এই দুটি অডিও ক্লিপ নিয়ে রাজশাহীতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
বিষয়টি জানার জন্য গতকাল মঙ্গলবার মেয়র আব্বাস আলীকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপ তাঁর নয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করতে দেওয়া হবে না বা করলে ‘পাপ হবে’—এ ধরনের কথা তিনি কাউকে বলেননি।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগ তুলে মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের একাংশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাটাখালী বাজারে এ বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম রিপন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুত মেয়র আব্বাস আলীকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।’ এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মেয়র পদ থেকেও তাঁকে অপসারণ করার দাবি জানানো হবে কর্মসূচিতে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, মেয়র আব্বাস আলীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড তিনি শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকেও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। তাঁরাও এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটিতে আব্বাস আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘হাইওয়েটাকে আমরা ডিজাইন করতে দিয়েছি। আমাদের যে অংশটা হাইওয়ে। সিটিগেট থেকে আমার অংশ। টোটালই একটা ফার্মকে দিয়েছি যে, তারা একদম বিদেশি স্টাইলে সাজায়ে দিবে ফুটপাত, সাইকেল লেন—টোটাল আমার অংশটা।’ কথার এই পর্যায়ে পাশ থেকে কেউ একজন যোগ করেন, ‘দুই পাড়ে দুইটা গেট করার কথা আছে।’
তখন মেয়র বলেন, ‘একটু থাইমি গেছি গেটটা নিয়ে, একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে, ম্যুরালটা দিছে বঙ্গবন্ধুর, এটা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক সঠিক না। এ জন্য আমি ওকে থুব না। সব করব, যা কিছু আছে, খালি শেষ মাথাতে যেটা মাইন্ড করবে না ওড্যাই। আমি দেখতে পাছি, আমাকে যেভাবে বুঝ্যালো আমি দেখতে পাছি যে ম্যুরালটি ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে। তো কেন দিব? দিব না, আমি তো কানা লোক না, আমাক বুঝাই দিছে।’
আব্বাস আলীকে আরও বলে শোনা যায়, ‘যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মুনে হইছে যে, ম্যুরালটা হইলে আমার ভুল হয়্যা যাবে। এ জন্য চেঞ্জ করছি। এই খবরটাও যদি আবার যায় তো আবার রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। ওই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দিত চাইয়া দিচ্ছে না! বঙ্গবন্ধুক খুশি করতে যাইয়া জায়গা নারাজ করব নাকি? এইডা লিয়েও রাজনীতি করবে; কিন্তু আমি সিওর। তবে করলে কিছু করার নাই। মানুষেক সন্তুষ্ট করতে যাইয়া আল্লাক অসন্তুষ্ট করা যাবে না তো।’
১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও ক্লিপে স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মেয়র আব্বাস। একপর্যায়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ পাওয়া এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেও কটূক্তি করতে শোনা গেছে। আছে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও। তবে কথার একপর্যায়ে আব্বাস আলী বলেছেন, তিনি কারও রাজনীতি করেন না। রাজনীতি করেন বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর।
আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। ২০১৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে