নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একই দিনে, একই সময়ে কাছাকাছি দূরত্বে দুই দলের সমাবেশ। এ নিয়ে রাজনীতিতে চলছে উত্তাপ, আছে উদ্বেগ। যদিও দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা-ও উৎকণ্টা কাটছে না মানুষের। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয় কি না, সে প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
স্থান ও অনুমতি নিয়ে জটিলতার কারণে এক দিন পিছিয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশ শুরু হবে বেলা ২টায়। অন্যদিকে একই দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিকেল ৩টায় শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
একই দিনে দু্ই পক্ষের সমাবেশকে রাজপথে শক্তির মহড়া হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ রকম পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আমরা আগে দেখি নাই। আগে কোনো দল কর্মসূচি দিলে অন্য দল আক্রমণ করত কিংবা দমন করত। এখন এ ধরনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সংঘাতে রূপ নিতে পারে, সে শঙ্কা তো আছেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। কিন্তু পুলিশ নির্ধারিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দেয় দলটি। এ নিয়ে দুই দিন ধরে নাটকীয়তার পর অবশেষে গতকাল পল্টনেই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সে অনুযায়ী আজ সমাবেশ সফল করা প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ ঘিরে গতকাল সারা দিনই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা গেছে।
সমাবেশকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাজোয়াঁ যান, রায়ট কার, জলকামান, প্রিজন ভ্যান রাখা হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। পুলিশের এমন অবস্থানে ভীষণ সতর্ক বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব। নেতা-কর্মীদের অযথাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় না জমাতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। এরপরও নেতা-কর্মীরা ভিড় জমানোর চেষ্টা করলে দায়িত্বশীল নেতারা তাঁদের নিজ উদ্যোগে সরিয়ে দিয়েছেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দায়িত্বশীল নেতাদের বলতে শোনা যায়, কোনোভাবেই কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই দাবি আদায় করতে চাই। আমরা লগি-বইঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের মাথায় বাড়ি দিয়ে কোনো দাবি আদায় করতে চাই না। তারা (সরকার) যদি অস্ত্রের ভাষায় জনগণের ভাষাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, তাহলে বলব, সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।’
মহাসমাবেশের আগে গতকালও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা মহাসমাবেশকে সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন।’
মহাসমাবেশের আগে গত দুই দিনে দলের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আব্বাস। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা হলেও তা পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যত সমালোচনাই হোক, নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই বিএনপিকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না তারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের (বিএনপি) নিয়ে আপনারা পাল্টাপাল্টি বলেন, তাদের নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা আছে। তারা (বিএনপি) রাস্তায় গেলে অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখে। পাশাপাশি আমাদের কর্মসূচিতে মানুষ আস্থা পায়, যে তারপরও শান্তির পক্ষে এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধের শক্তি মাঠে আছে, রাস্তায় আছে। এ কারণে ওই দিন আওয়ামী পরিবারের কোনো কর্মসূচি থাকলে মানুষ ভরসা পায়।’
দুই পক্ষের মাঠের লড়াইয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে বড় কোনো হুমকি নেই। যেহেতু বড় দুটি দলের বড় সমাবেশ, তাই যেকোনো কুচক্রী মহল বা যে কেউ এই সমাবেশের সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ রাখব, আনসার থাকবে, আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) থাকবে, র্যাব থাকবে, আমাদের বিজিবি স্টান্ডবাই থাকবে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকব।’
গ্রেপ্তার ও তল্লাশি:
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে আবাসিক হোটেল থেকে ফেনী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন (ভিপি) দাবি, করেন হোটেল মিডওয়ে থেকে ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হিসাব মতে, ৪৪৬ জনকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয় এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কার্যক্রম চলছে এবং নিয়মিত মামলা ও ওয়ারেন্টের আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হয়। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। কোনো রাজনৈতিক দল বা কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে নামা হয়নি।’
নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গতকাল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
একই দিনে, একই সময়ে কাছাকাছি দূরত্বে দুই দলের সমাবেশ। এ নিয়ে রাজনীতিতে চলছে উত্তাপ, আছে উদ্বেগ। যদিও দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা-ও উৎকণ্টা কাটছে না মানুষের। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয় কি না, সে প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
স্থান ও অনুমতি নিয়ে জটিলতার কারণে এক দিন পিছিয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশ শুরু হবে বেলা ২টায়। অন্যদিকে একই দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিকেল ৩টায় শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
একই দিনে দু্ই পক্ষের সমাবেশকে রাজপথে শক্তির মহড়া হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ রকম পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আমরা আগে দেখি নাই। আগে কোনো দল কর্মসূচি দিলে অন্য দল আক্রমণ করত কিংবা দমন করত। এখন এ ধরনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সংঘাতে রূপ নিতে পারে, সে শঙ্কা তো আছেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। কিন্তু পুলিশ নির্ধারিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দেয় দলটি। এ নিয়ে দুই দিন ধরে নাটকীয়তার পর অবশেষে গতকাল পল্টনেই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সে অনুযায়ী আজ সমাবেশ সফল করা প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ ঘিরে গতকাল সারা দিনই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা গেছে।
সমাবেশকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাজোয়াঁ যান, রায়ট কার, জলকামান, প্রিজন ভ্যান রাখা হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। পুলিশের এমন অবস্থানে ভীষণ সতর্ক বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব। নেতা-কর্মীদের অযথাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় না জমাতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। এরপরও নেতা-কর্মীরা ভিড় জমানোর চেষ্টা করলে দায়িত্বশীল নেতারা তাঁদের নিজ উদ্যোগে সরিয়ে দিয়েছেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দায়িত্বশীল নেতাদের বলতে শোনা যায়, কোনোভাবেই কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই দাবি আদায় করতে চাই। আমরা লগি-বইঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের মাথায় বাড়ি দিয়ে কোনো দাবি আদায় করতে চাই না। তারা (সরকার) যদি অস্ত্রের ভাষায় জনগণের ভাষাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, তাহলে বলব, সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।’
মহাসমাবেশের আগে গতকালও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা মহাসমাবেশকে সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন।’
মহাসমাবেশের আগে গত দুই দিনে দলের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আব্বাস। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা হলেও তা পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যত সমালোচনাই হোক, নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই বিএনপিকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না তারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের (বিএনপি) নিয়ে আপনারা পাল্টাপাল্টি বলেন, তাদের নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা আছে। তারা (বিএনপি) রাস্তায় গেলে অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখে। পাশাপাশি আমাদের কর্মসূচিতে মানুষ আস্থা পায়, যে তারপরও শান্তির পক্ষে এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধের শক্তি মাঠে আছে, রাস্তায় আছে। এ কারণে ওই দিন আওয়ামী পরিবারের কোনো কর্মসূচি থাকলে মানুষ ভরসা পায়।’
দুই পক্ষের মাঠের লড়াইয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে বড় কোনো হুমকি নেই। যেহেতু বড় দুটি দলের বড় সমাবেশ, তাই যেকোনো কুচক্রী মহল বা যে কেউ এই সমাবেশের সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ রাখব, আনসার থাকবে, আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) থাকবে, র্যাব থাকবে, আমাদের বিজিবি স্টান্ডবাই থাকবে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকব।’
গ্রেপ্তার ও তল্লাশি:
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে আবাসিক হোটেল থেকে ফেনী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন (ভিপি) দাবি, করেন হোটেল মিডওয়ে থেকে ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হিসাব মতে, ৪৪৬ জনকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয় এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কার্যক্রম চলছে এবং নিয়মিত মামলা ও ওয়ারেন্টের আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হয়। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। কোনো রাজনৈতিক দল বা কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে নামা হয়নি।’
নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গতকাল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে