নরসিংদীর মাধবদীতে ঘোড়ার মাংস দিয়ে রান্না করা বিরিয়ানি বিক্রির সন্দেহে পৌর এলাকার সাতটি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক গত বুধবার থেকে ৭টি দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। দোকানগুলো হলো মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কোলকাতা কাচ্চি ঘর, বিসমিল্লাহ বিরিয়ানি হাউস, নান্না বিরিয়ানি হাউস, হাজী কাচ্চি ঘর, আল্লার দান হাজী বিরিয়ানি হাউস এবং মাধবদী বাজারে অবস্থিত কোলকাতা কাচ্চি ঘর ও আল্লার দান হাজীর বিরিয়ানি হাউস।

মাধবদী পৌরসভার মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ও স্থানীয়রা জানান, এসব বিরিয়ানি হাউসে ভারত থেকে আনা প্যাকেটজাত ঘোড়া বা অজানা কোনো মাংস দিয়ে বিরিয়ানি, তেহেরি ও কাচ্চি রান্না করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। দোকানগুলো চালু হওয়ার পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন ছিল অল্প টাকায় বেশি পরিমাণ মাংস দেওয়া সম্ভব হয় কীভাবে? স্থানীয় কোনো মাংসের দোকান থেকে মাংস না কিনে, রাতে বা ভোরে প্যাকেটজাত মাংস সরবরাহ করা, বাড়ি থেকে রান্না করে দোকানে বিক্রি করাসহ মাংসের স্বাদ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দেয়। এসব অভিযোগ পেয়ে জনস্বার্থে মাধবদী পৌর কর্তৃপক্ষ তদারকি করে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে সাতটি বিরিয়ানি হাউসকে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে নান্না বিরিয়ানি হাউসের মালিক মো. আল আমিন হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক বিরিয়ানি হাউসেই এই ধরনের প্যাকেটজাত মাংস ব্যবহার করা হয়।’

তবে অন্য দোকান মালিকেরা বলছেন, ‘অনেকেই প্যাকেটজাত মাংস ব্যবহার করেন, কিন্তু আমরা এসব মাংস ব্যবহার করি না।’

মাধবদী বাজার হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তাঁরা সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তবু সমিতির পক্ষ থেকে তাঁদের ডেকে এনে এসব সন্দেহজনক মাংস ব্যবহার ও বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আমাদের কোনো নিষেধ মানছেন না।’

মাধবদী পৌরসভার মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক বলেন, ‘আমরা জেনেছি কিছু বিরিয়ানি হাউসের ব্যাপারে জনমনে সন্দেহ সংশয় দেখা দিয়েছে। ফলে দোকান মালিকদের ডেকে এনে কথা বলার পর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের দোকান আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি ভালো মাংস দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করেন, তাহলে তাঁদের দোকান খুলে দেওয়া হবে।’