কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পরাজয়ের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে এবার সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সাক্কু। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনাও হচ্ছে ব্যাপক।
কুসিক নির্বাচনে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হক রিফাতের রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের ভগ্নিপতি বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু।
২০১২ সালে কুসিক নির্বাচনে বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত থাকলেও ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীক ধানের শীষে একত্রে কাজ করেছেন তাঁরা। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সাক্কু গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দূরত্ব বেড়ে যায় ইয়াছিন গ্রুপের। এ দূরত্ব থেকে সাক্কুর সঙ্গে প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচন করেন ইয়াছিন গ্রুপের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। ফলে আবারও কঠিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপির এ দুই গ্রুপ।
নির্বাচনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপির ভোটব্যাংক। এবারের নির্বাচনে দেখা যায়, বিএনপি থেকে বিভক্ত দুই গ্রুপের মোট ভোট ৭৯ হাজার ৯৯, আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মেয়র নির্বাচনে সাক্কুকে সহযোগিতা করবেন ইয়াছিন আর সংসদ নির্বাচনে সাক্কু করবেন ইয়াছিনকে। সে হিসেবে ২০১৭ সালের কুসিক নির্বাচনে একত্রে কাজ করে দুই পক্ষ।
২০১২ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জন করার পর সাক্কু দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোটে অংশ নেন। পরে ২০১৭ সালে বিএনপি তাঁর হাতে দলের মার্কা ধানের শীষ তুলে দেয়।
বিএনপির শাসনামলে কুমিল্লা পৌরসভার শেষ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১২ ও ২০১৭ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয় পান সাক্কু। সিটির প্রথম নির্বাচনে ৩০ হাজার ভোটে এবং দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি জেতেন ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। এবার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও তাঁর মধ্যে বিএনপিপন্থীদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় হেরে যান সাক্কু। গত বুধবার সিটি নির্বাচনের ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৩৪ ভোটে হেরে যান দুবারের মেয়র সাক্কু। এটি তাঁর জীবনে প্রথম পরাজয়।
এদিকে ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সদর আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তখন তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩১টি। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান ১ লাখ ২ হাজার ৩০৫ ভোট। এরপর ২০১৪ সালে আফজল খানের ছেলে ইমরান খানকে পরাজিত করে ও ২০১৮ সালেও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র সাক্কুর পরাজয়ের কারণ হিসেবে আরফানুল হক রিফাতের রাজনৈতিক গুরু বাহারের হস্তক্ষেপ এবং ইয়াছিনের অনুসারী নিজাম উদ্দিন কায়সারের প্রার্থী হয়ে বিএনপির ভোট বিভক্তকরণকে দায়ী করছেন সাক্কুর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মতে, সাক্কুর পরাজয়ের নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এবার সংসদ নির্বাচন করবেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি সংসদ নির্বাচন করছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন বার্তা দিচ্ছেন তাঁর নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী কবির আহমেদ বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাক্কু ভাইয়ের সংসদ নির্বাচন করার বিষয়ে। মনিরুল হক সাক্কুও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমাকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জেনেছি। আমার নেতা-কর্মীরাও বসে বিষয়টি আলোচনা করেছে। নেতা-কর্মীরা সামনে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে বলছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি তুলে আনছে। আমি তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্মতি জানিয়েছি।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পরাজয়ের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে এবার সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সাক্কু। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনাও হচ্ছে ব্যাপক।
কুসিক নির্বাচনে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হক রিফাতের রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের ভগ্নিপতি বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু।
২০১২ সালে কুসিক নির্বাচনে বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত থাকলেও ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীক ধানের শীষে একত্রে কাজ করেছেন তাঁরা। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সাক্কু গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দূরত্ব বেড়ে যায় ইয়াছিন গ্রুপের। এ দূরত্ব থেকে সাক্কুর সঙ্গে প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচন করেন ইয়াছিন গ্রুপের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। ফলে আবারও কঠিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপির এ দুই গ্রুপ।
নির্বাচনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপির ভোটব্যাংক। এবারের নির্বাচনে দেখা যায়, বিএনপি থেকে বিভক্ত দুই গ্রুপের মোট ভোট ৭৯ হাজার ৯৯, আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মেয়র নির্বাচনে সাক্কুকে সহযোগিতা করবেন ইয়াছিন আর সংসদ নির্বাচনে সাক্কু করবেন ইয়াছিনকে। সে হিসেবে ২০১৭ সালের কুসিক নির্বাচনে একত্রে কাজ করে দুই পক্ষ।
২০১২ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জন করার পর সাক্কু দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোটে অংশ নেন। পরে ২০১৭ সালে বিএনপি তাঁর হাতে দলের মার্কা ধানের শীষ তুলে দেয়।
বিএনপির শাসনামলে কুমিল্লা পৌরসভার শেষ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১২ ও ২০১৭ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয় পান সাক্কু। সিটির প্রথম নির্বাচনে ৩০ হাজার ভোটে এবং দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি জেতেন ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। এবার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও তাঁর মধ্যে বিএনপিপন্থীদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় হেরে যান সাক্কু। গত বুধবার সিটি নির্বাচনের ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৩৪ ভোটে হেরে যান দুবারের মেয়র সাক্কু। এটি তাঁর জীবনে প্রথম পরাজয়।
এদিকে ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সদর আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তখন তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩১টি। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান ১ লাখ ২ হাজার ৩০৫ ভোট। এরপর ২০১৪ সালে আফজল খানের ছেলে ইমরান খানকে পরাজিত করে ও ২০১৮ সালেও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র সাক্কুর পরাজয়ের কারণ হিসেবে আরফানুল হক রিফাতের রাজনৈতিক গুরু বাহারের হস্তক্ষেপ এবং ইয়াছিনের অনুসারী নিজাম উদ্দিন কায়সারের প্রার্থী হয়ে বিএনপির ভোট বিভক্তকরণকে দায়ী করছেন সাক্কুর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মতে, সাক্কুর পরাজয়ের নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এবার সংসদ নির্বাচন করবেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি সংসদ নির্বাচন করছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন বার্তা দিচ্ছেন তাঁর নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী কবির আহমেদ বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাক্কু ভাইয়ের সংসদ নির্বাচন করার বিষয়ে। মনিরুল হক সাক্কুও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমাকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জেনেছি। আমার নেতা-কর্মীরাও বসে বিষয়টি আলোচনা করেছে। নেতা-কর্মীরা সামনে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে বলছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি তুলে আনছে। আমি তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্মতি জানিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে