সম্পাদকীয়
প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ধানখেতসহ ফসলি জমি।মৌসুমি নানা রোগে দেশের অনেক জায়গায়হাসপাতালে রোগীর জায়গা হচ্ছে না। এর মধ্যে গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬, চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ এবং ঢাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর দেশে এটিই সর্বোচ্চ
তাপমাত্রার রেকর্ড।
হিট স্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একজন কৃষক এবং পাবনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের অধিকাংশ জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার প্রথম পাতায় ‘তীব্র তাপে পুড়ছে দেশ...’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মকালে অস্বাভাবিক গরম পড়ছে। মূলত বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। এতে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের একটি ফলাফল।
সে কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনেও তা ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। প্রধানত বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় কারণে সারা দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে। পরিবেশদূষণের একটি কারণ হলো, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নির্বিচারে কার্বন গ্যাস নিঃসরণ করছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমানোর অন্যতম উপায় হলো ব্যাপক হারে গাছের উপস্থিতি। কিন্তু দেশে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে। শুধু বন নয়, প্রতিনিয়ত দখল, দূষণে দেশের নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে। একটি দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা রাখতে মোট আয়তনের যে পরিমাণ বনভূমি থাকা দরকার, তা আমাদের দেশে নেই। নির্বিচারে বনাঞ্চল দখল করে বসতি ও শিল্পকারখানা নির্মাণ করার কারণে প্রতিনিয়ত তা কমে যাচ্ছে। মানুষের লোভী মানসিকতা বনাঞ্চল কমার অন্যতম কারণ।
দেশের গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরে তাপমাত্রা বেশি থাকে; বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা কয়েক বছর ধরে বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে।এমনিতেই ঢাকার জলাধার ও নদী-নালা দখল করে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়েছে ও হচ্ছে, প্রতিনিয়ত যানবাহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং সবুজায়নের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঢাকার আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে যানবাহন ও বাসাবাড়িতে এসি চলার কারণে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
তাপপ্রবাহের এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাপমাত্রা বাড়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন যতটা দায়ী, এর চেয়ে অনেক বেশি দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং নগরের পরিবেশ অব্যবস্থাপনা।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে কার্বন নিঃসরণের দায় থাকলেও, তারা সে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদের ওপর চাপ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সারা দেশে বনাঞ্চল বাড়ানোর বিকল্প নেই। এর সঙ্গে জলাভূমির পরিমাণও বাড়াতে হবে। দখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে।প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ধানখেতসহ ফসলি জমি।মৌসুমি নানা রোগে দেশের অনেক জায়গায়হাসপাতালে রোগীর জায়গা হচ্ছে না। এর মধ্যে গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬, চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ এবং ঢাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর দেশে এটিই সর্বোচ্চ
তাপমাত্রার রেকর্ড।
হিট স্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একজন কৃষক এবং পাবনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের অধিকাংশ জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার প্রথম পাতায় ‘তীব্র তাপে পুড়ছে দেশ...’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মকালে অস্বাভাবিক গরম পড়ছে। মূলত বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। এতে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের একটি ফলাফল।
সে কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনেও তা ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। প্রধানত বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় কারণে সারা দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে। পরিবেশদূষণের একটি কারণ হলো, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নির্বিচারে কার্বন গ্যাস নিঃসরণ করছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমানোর অন্যতম উপায় হলো ব্যাপক হারে গাছের উপস্থিতি। কিন্তু দেশে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে। শুধু বন নয়, প্রতিনিয়ত দখল, দূষণে দেশের নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে। একটি দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা রাখতে মোট আয়তনের যে পরিমাণ বনভূমি থাকা দরকার, তা আমাদের দেশে নেই। নির্বিচারে বনাঞ্চল দখল করে বসতি ও শিল্পকারখানা নির্মাণ করার কারণে প্রতিনিয়ত তা কমে যাচ্ছে। মানুষের লোভী মানসিকতা বনাঞ্চল কমার অন্যতম কারণ।
দেশের গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরে তাপমাত্রা বেশি থাকে; বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা কয়েক বছর ধরে বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে।এমনিতেই ঢাকার জলাধার ও নদী-নালা দখল করে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়েছে ও হচ্ছে, প্রতিনিয়ত যানবাহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং সবুজায়নের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঢাকার আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে যানবাহন ও বাসাবাড়িতে এসি চলার কারণে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
তাপপ্রবাহের এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাপমাত্রা বাড়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন যতটা দায়ী, এর চেয়ে অনেক বেশি দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং নগরের পরিবেশ অব্যবস্থাপনা।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে কার্বন নিঃসরণের দায় থাকলেও, তারা সে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদের ওপর চাপ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সারা দেশে বনাঞ্চল বাড়ানোর বিকল্প নেই। এর সঙ্গে জলাভূমির পরিমাণও বাড়াতে হবে। দখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে।প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে