আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রামের সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) চালু ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল ও জুন মাস। এই দুই মাস ছাড়া ওই অর্থবছরের বাকি ১০ মাস কারখানাটি বন্ধ ছিল অথচ বন্ধ কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাল ভাতা (ওভারটাইম) হিসেবে খরচ করা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।
বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্তৃপক্ষ (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রিত সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অডিট অধিদপ্তর এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কারখানাটি চালুর সময় এপ্রিল ও জুনে উৎপাদনকালীন ওভারটাইম দেখানো হয় ৪৮ হাজার ১২৫ ঘণ্টা। আর উৎপাদন বন্ধকালীন ওভারটাইম দেখানো হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৭০ ঘণ্টা শ্রমের বিপরীতে ওই ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয়। এ শ্রমঘণ্টার বিপরীতে উৎপাদনকালীন ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৯ টাকা, উৎপাদন বন্ধকালীন ৩ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ১৬৫ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩২ হাজার ৬১৪ টাকা খরচ দেখায় কারখানাটি।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অডিট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম এ বিষয়ে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছেন।
একই অর্থবছরে কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় অনুমোদিত জনবলের অতিরিক্ত দৈনিক ভিত্তিতে দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে হাজিরা বাবদ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯২ টাকা ব্যয় করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বাভাবিক হাজিরা বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৮২২ টাকা পরিশোধের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৩ টাকা পরিশোধ করা হয়। অতিরিক্ত ব্যয় সংকোচনের
জন্য কারখানা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিসিআইসি থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এর আগের বছর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিইউএফএলের বোর্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অনিয়মিত দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪১ টাকা পরিশোধ করায় কারখানার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখা থেকে এ বিষয়টি গত বছরের ৬ জানুয়ারি বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে দেওয়া পত্রে জানানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষায় মোট ১৬৬ অনুচ্ছেদের মধ্যে ৮৭টি অনুচ্ছেদে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এ বিষয়ে সিইউএফএলের ৩৮০ এবং ৩৮২তম সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এই অর্থ বছরেও কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় বিসিআইসির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাজেট অতিরিক্ত ওভারটাইম হিসেবে ১ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করা হয়। একই অর্থবছরে কারখানা উৎপাদন ৬৫ শতাংশ নিচে হওয়ায় বোনাস পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন না করা সত্ত্বেও ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩০ টাকা খরচ করায় কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানা বন্ধ থাকলেও কারখানার অনেক কাজ থাকে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওভারটাইম দেওয়া হয়ে থাকে।’
২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রামের সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) চালু ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল ও জুন মাস। এই দুই মাস ছাড়া ওই অর্থবছরের বাকি ১০ মাস কারখানাটি বন্ধ ছিল অথচ বন্ধ কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাল ভাতা (ওভারটাইম) হিসেবে খরচ করা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।
বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্তৃপক্ষ (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রিত সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অডিট অধিদপ্তর এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কারখানাটি চালুর সময় এপ্রিল ও জুনে উৎপাদনকালীন ওভারটাইম দেখানো হয় ৪৮ হাজার ১২৫ ঘণ্টা। আর উৎপাদন বন্ধকালীন ওভারটাইম দেখানো হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৭০ ঘণ্টা শ্রমের বিপরীতে ওই ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয়। এ শ্রমঘণ্টার বিপরীতে উৎপাদনকালীন ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৯ টাকা, উৎপাদন বন্ধকালীন ৩ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ১৬৫ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩২ হাজার ৬১৪ টাকা খরচ দেখায় কারখানাটি।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অডিট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম এ বিষয়ে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছেন।
একই অর্থবছরে কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় অনুমোদিত জনবলের অতিরিক্ত দৈনিক ভিত্তিতে দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে হাজিরা বাবদ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯২ টাকা ব্যয় করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বাভাবিক হাজিরা বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৮২২ টাকা পরিশোধের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৩ টাকা পরিশোধ করা হয়। অতিরিক্ত ব্যয় সংকোচনের
জন্য কারখানা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিসিআইসি থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এর আগের বছর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিইউএফএলের বোর্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অনিয়মিত দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪১ টাকা পরিশোধ করায় কারখানার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখা থেকে এ বিষয়টি গত বছরের ৬ জানুয়ারি বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে দেওয়া পত্রে জানানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষায় মোট ১৬৬ অনুচ্ছেদের মধ্যে ৮৭টি অনুচ্ছেদে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এ বিষয়ে সিইউএফএলের ৩৮০ এবং ৩৮২তম সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এই অর্থ বছরেও কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় বিসিআইসির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাজেট অতিরিক্ত ওভারটাইম হিসেবে ১ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করা হয়। একই অর্থবছরে কারখানা উৎপাদন ৬৫ শতাংশ নিচে হওয়ায় বোনাস পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন না করা সত্ত্বেও ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩০ টাকা খরচ করায় কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানা বন্ধ থাকলেও কারখানার অনেক কাজ থাকে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওভারটাইম দেওয়া হয়ে থাকে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে