খান রফিক, বরিশাল
টানা দুই বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরছে স্বজন, তাই ব্যস্ততার শেষ নেই বরিশালের গ্রামগঞ্জে। বাড়িঘর ঝাড়পোঁছ, ঘাট সংস্কার, ঈদগার প্রস্তুতিসহ ঘরে ঘরে ঈদের আগের আনন্দময় আবহ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শেষে এবারের ঈদে অন্য রকম উৎসবের আমেজ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগঞ্জে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঘরমুখো মানুষের ঢল মোকাবিলায় লঞ্চ, স্টিমার, বাসে বিশেষ সার্ভিসও শুরু হয়েছে। এ জন্য নৌবন্দর, বাস টার্মিনালে প্রস্তুতি চলছে ব্যাপক। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মহাকমর্যজ্ঞ শুরু করেছে প্রশাসন।
এবার আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের ঢল থাকবে লঞ্চ ও বাসে। লঞ্চের মালিক ও মাস্টাররা মনে করেন বৃহস্পতিবার থেকে দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি যাত্রী হবে লঞ্চগুলোতে। স্টিমারে সংকট থাকলেও গতকাল বুধবার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদযাত্রীদের সেবায় নানা প্রস্তুতি।
ঈদে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস:
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং সুরভী শিপিং লাইন্সের পরিচালক রিয়াজ উল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বেসরকারি লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। বিশেষ সার্ভিসে ঢাকা প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত ২৮টি নৌযান বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করবে। ঈদে চাপ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক লঞ্চের স্টাফদের বলা হয়েছে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, নগর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি নিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘বন্দর সমন্বয় কমিটি’। ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মোট ১০ দিন ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে চ্যানেল ধরে যাত্রীবাহী নৌযানগুলো চলাচল করে, ওই চ্যানেলে জেলেরা জাল ফেলতে পারবেন না ওই ১০ দিন। এ ছাড়া যাত্রীদের লঞ্চঘাট থেকে নথুল্লাবাদ পৌঁছে দিতে ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্টিমার সার্ভিস:
এদিকে ঈদে বিআইডব্লিউটিসি ঢাকা-বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে বাড়তি কোনো জাহাজ দিতে পারছে না। বিআইডব্লিটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে সার্ভিসে থাকা এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি এ রুটে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করবে। এই দুই স্টিমার ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে সপ্তাহে দুদিন যাত্রীসেবা দিত। এমভি মধুমতির মাস্টার আ. হাই বলেন, ইতিমধ্যে তাঁরা প্রতিদিন ট্রিপ দেওয়া শুরু করেছেন।
ঈদে বাস সার্ভিস:
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে তাঁরা একটি কমিটি করেছেন। এই কমিটির সদস্যরা গাড়ির ফিটনেস আছে কি না, চালকের লাইসেন্স আছে কি না এবং বাসভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না তা তদারকি করবেন। তাঁদের অধিকাংশ বাসের ফিটনেস আছে। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হলে ওই কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ঢাকা-বরিশাল রুটে বাড়তি বাস সার্ভিস শুরু করবেন। ঈদ উপলক্ষে টার্মিনাল এলাকায় বাসের ধোয়ামোছার কাজও চলছে।
নানা পথে বাড়ি ফেরা বরিশালের একাধিক ঈদযাত্রীর সঙ্গে কথা বলে নানা মত পাওয়া গেছে। নগরঘেঁষা কীর্তনখোলা তীরের পূর্বপ্রান্ত চরকাউয়া ইউনিয়ন। সেখানকার কলেজছাত্র শাওন খান বলেন, করোনার দুই বছর পর তাঁর চাচা হাবিবুর রহমান খান পরিবার নিয়ে বাড়িতে আসছেন। তিনি কামরাঙ্গীরচরে ব্যবসা করেন। ২৯ এপ্রিল বাড়িতে আসবেন। খানবাড়ির কয়েকটি ঘরের বাসিন্দা তার বন্ধুরাও ঢাকায় থাকে। তারাও চাঁদরাতে রওনা দেবে। শাওন বলেন, করোনা শেষে সামাজিক দূরত্ব না থাকায় এবারের ঈদে ভিন্ন আমেজ গ্রামে। তাঁদের চরকাউয়া ময়দান স্কুলমাঠ, চরকাউয়া আহমেদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ পড়ানোর তোড়জোড় চলছে।
মেহেদী হাসান নামে ঢাকার একটি শিল্পকারখানার কর্মকর্তা জানান, করোনায় তেমন বাড়ি যেতে পারেননি। তার ওপর বাবা-মা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তবু ৩০ এপ্রিল বরিশাল ফিরছেন পরিবারের টানে। বেসরকারি কোমলপানীয় কোকাকোলার ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠিতে। জীবনের বড় সময় পার করেছেন বরিশালে। তিনি বলেন, অনেক বছর পর দুই শহরেই ঈদ কাটাবেন।
টানা দুই বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরছে স্বজন, তাই ব্যস্ততার শেষ নেই বরিশালের গ্রামগঞ্জে। বাড়িঘর ঝাড়পোঁছ, ঘাট সংস্কার, ঈদগার প্রস্তুতিসহ ঘরে ঘরে ঈদের আগের আনন্দময় আবহ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শেষে এবারের ঈদে অন্য রকম উৎসবের আমেজ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগঞ্জে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঘরমুখো মানুষের ঢল মোকাবিলায় লঞ্চ, স্টিমার, বাসে বিশেষ সার্ভিসও শুরু হয়েছে। এ জন্য নৌবন্দর, বাস টার্মিনালে প্রস্তুতি চলছে ব্যাপক। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মহাকমর্যজ্ঞ শুরু করেছে প্রশাসন।
এবার আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের ঢল থাকবে লঞ্চ ও বাসে। লঞ্চের মালিক ও মাস্টাররা মনে করেন বৃহস্পতিবার থেকে দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি যাত্রী হবে লঞ্চগুলোতে। স্টিমারে সংকট থাকলেও গতকাল বুধবার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদযাত্রীদের সেবায় নানা প্রস্তুতি।
ঈদে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস:
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং সুরভী শিপিং লাইন্সের পরিচালক রিয়াজ উল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বেসরকারি লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। বিশেষ সার্ভিসে ঢাকা প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত ২৮টি নৌযান বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করবে। ঈদে চাপ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক লঞ্চের স্টাফদের বলা হয়েছে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, নগর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি নিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘বন্দর সমন্বয় কমিটি’। ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মোট ১০ দিন ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে চ্যানেল ধরে যাত্রীবাহী নৌযানগুলো চলাচল করে, ওই চ্যানেলে জেলেরা জাল ফেলতে পারবেন না ওই ১০ দিন। এ ছাড়া যাত্রীদের লঞ্চঘাট থেকে নথুল্লাবাদ পৌঁছে দিতে ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্টিমার সার্ভিস:
এদিকে ঈদে বিআইডব্লিউটিসি ঢাকা-বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে বাড়তি কোনো জাহাজ দিতে পারছে না। বিআইডব্লিটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে সার্ভিসে থাকা এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি এ রুটে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করবে। এই দুই স্টিমার ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে সপ্তাহে দুদিন যাত্রীসেবা দিত। এমভি মধুমতির মাস্টার আ. হাই বলেন, ইতিমধ্যে তাঁরা প্রতিদিন ট্রিপ দেওয়া শুরু করেছেন।
ঈদে বাস সার্ভিস:
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে তাঁরা একটি কমিটি করেছেন। এই কমিটির সদস্যরা গাড়ির ফিটনেস আছে কি না, চালকের লাইসেন্স আছে কি না এবং বাসভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না তা তদারকি করবেন। তাঁদের অধিকাংশ বাসের ফিটনেস আছে। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হলে ওই কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ঢাকা-বরিশাল রুটে বাড়তি বাস সার্ভিস শুরু করবেন। ঈদ উপলক্ষে টার্মিনাল এলাকায় বাসের ধোয়ামোছার কাজও চলছে।
নানা পথে বাড়ি ফেরা বরিশালের একাধিক ঈদযাত্রীর সঙ্গে কথা বলে নানা মত পাওয়া গেছে। নগরঘেঁষা কীর্তনখোলা তীরের পূর্বপ্রান্ত চরকাউয়া ইউনিয়ন। সেখানকার কলেজছাত্র শাওন খান বলেন, করোনার দুই বছর পর তাঁর চাচা হাবিবুর রহমান খান পরিবার নিয়ে বাড়িতে আসছেন। তিনি কামরাঙ্গীরচরে ব্যবসা করেন। ২৯ এপ্রিল বাড়িতে আসবেন। খানবাড়ির কয়েকটি ঘরের বাসিন্দা তার বন্ধুরাও ঢাকায় থাকে। তারাও চাঁদরাতে রওনা দেবে। শাওন বলেন, করোনা শেষে সামাজিক দূরত্ব না থাকায় এবারের ঈদে ভিন্ন আমেজ গ্রামে। তাঁদের চরকাউয়া ময়দান স্কুলমাঠ, চরকাউয়া আহমেদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ পড়ানোর তোড়জোড় চলছে।
মেহেদী হাসান নামে ঢাকার একটি শিল্পকারখানার কর্মকর্তা জানান, করোনায় তেমন বাড়ি যেতে পারেননি। তার ওপর বাবা-মা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তবু ৩০ এপ্রিল বরিশাল ফিরছেন পরিবারের টানে। বেসরকারি কোমলপানীয় কোকাকোলার ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠিতে। জীবনের বড় সময় পার করেছেন বরিশালে। তিনি বলেন, অনেক বছর পর দুই শহরেই ঈদ কাটাবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে