হুমায়ুন মাসুদ ও মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার তুমব্রু বাজারের দক্ষিণ পাশে আছে মিয়ানমারের একটি সীমান্তচৌকি। তমব্রু রাইট ক্যাম্প নামে পরিচিত এই ক্যাম্প এলাকা থেকেই গতকাল বৃহস্পতিবারও সবচেয়ে বেশি গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই মিয়ানমার পরিকল্পিতভাবে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সংঘাত, সংঘর্ষ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে নতুন একটা সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার অজুহাত দেবে, এখানে সংঘাত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বলবে, এই সংঘাতের মধ্যে আমরা কীভাবে যাব? তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনটা নিঃসন্দেহে দীর্ঘায়িত হবে। যত দিন রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসছে, তত দিন সে দেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না।’
তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারাও আগ্রহী। আমরা আশা করছি, অক্টোবরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালে মাঠপর্যায়ের চুক্তি সই করেছিল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, প্রত্যাবাসন শুরু করে ‘সম্ভব হলে তা দুই বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। কিন্তু রাখাইনে ফেরার মতো পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় দুই দফা তারিখ চূড়ান্ত করেও রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। এরপর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রত্যাবাসন শুরু করতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন দুই দেশের টেকনিক্যাল কমিটি। সেই অনুযায়ী, চলতি মাসেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এবারও সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যাচ্ছে। কারণ মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছে ওই দেশের সাতটি আদিবাসী সশস্ত্র সংগঠন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাত সংগঠনের রাজনৈতিক জোট ‘ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশনাল অ্যান্ড কনস্যুলেটিভ’ কমিটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে আরাকান আর্মির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এরপরেই তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যায়। মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু অংশে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সেখানে মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, খুব সহসায় রাখাইন রাজ্যের এই সংকট সমাধান হবে না। যতক্ষণ না মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারছেন তত দিন এখানে সংঘাত থাকবে। আর এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া সম্ভব হবে না।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন তিনটি ফ্যাক্টর কাজ করবে। এক. মিয়ানমার সরকার, দুই. আরাকান আর্মি, তিন. রোহিঙ্গা। মিয়ানমার সরকার তো আগে থেকেই কালক্ষেপণ করে আসছে। তাদের নানা অজুহাত। যাদের ঘরবাড়ি নেই, তাদের ক্যাম্পে নিয়ে রাখবে। গুচ্ছগ্রাম করে রাখা হবে। সংঘাতের এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও দীর্ঘায়িত করবে।
দ্বিতীয় পক্ষ হলো রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ)। তারা চায়, আরাকানের যেকোনো সমস্যা তাদের মাধ্যমে সমাধান হোক। এই ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া না হলে তারাও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের কোনো বন্ধু নয়। কেননা ৫ বছর আগে রোহিঙ্গাদের যখন ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করছিল, তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছিল, তখন তাদের পাশে দাঁড়াত। যেহেতু তারা দাঁড়ায়নি, কোনো একটা বিবৃতিও দেয়নি, তাই ধরে নেওয়া যায় রোহিঙ্গাদের বিষয়টা তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখবে না।
তৃতীয় পক্ষ হলো রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তাদেরও ওই দেশে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের নিতে চাইলেও তারা হয়তো সেখানে যাবে না। একাধিক রোহিঙ্গা সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে রাখাইনে যেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে তারা সেখানে যাবে না। ওই দেশে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্যাম্প থেকে কোথাও যাবে না৩৩ কিলোমিটারে স্থলমাইনবাংলাদেশ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত লাগোয়া ৩৩ কিলোমিটারজুড়ে নতুন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমার। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সদস্যরা এসব মাইন বসান।
সীমান্তের তুমব্রুর উত্তরাংশের হেডম্যানপাড়াসংলগ্ন ৩৫ পিলার থেকে বাংলাদেশে-মিয়ানমার সীমান্তের ৩৩ কিলোমিটার সীমান্তের জিরো পয়েন্টজুড়ে এসব মাইন বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক সূত্র।
৩৫ পিলারের কাছাকাছি স্থানের একটি ছড়ায় গরু আনতে গিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর মাইনের আঘাতে পা হারান তুমব্রু হেডম্যানপাড়ার যুবক অন্ন থোয়াই (২৮) তঞ্চঙ্গ্যা। এরও দুই দিন আগে এ পয়েন্টে একটি চোরাই গরুর পা উড়ে গিয়েছিল স্থলমাইন বিস্ফোরণে। আর আগে এ পয়েন্টে কয়েক বছর আগে এক পুলিশ সদস্যসহ দুই বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ল্যান্ড মাইন্স বা আইসিবিএলএমের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সীমান্তে উভয় দেশের ৬৪ জন মানুষ প্রাণ হারান। তাঁরা মূলত কাঠুরিয়া, বনজীবী বা চোরাকারবারি ছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও ৮৭ জন জন। এখন নতুন করে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ফলে সীমান্তে নতুন করে মাইন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরুল আবসার ইমন বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থলমাইন বসানোর খবর পেয়ে তাঁর এলাকার সীমান্ত পয়েন্টে বসবাসকারী অধিবাসীদের জিরো পয়েন্টে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
এদিকে বিজিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাঁরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছেন। পুরো সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। কেননা মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে একদিকে গোলাগুলি চালাচ্ছে অন্যদিকে স্থলমাইন বসিয়ে সীমানায় শত্রু দমনের চেষ্টা করছে, যা তাদের ব্যাপার। আমাদের বিচলিত হবার কিছু নেই।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার তুমব্রু বাজারের দক্ষিণ পাশে আছে মিয়ানমারের একটি সীমান্তচৌকি। তমব্রু রাইট ক্যাম্প নামে পরিচিত এই ক্যাম্প এলাকা থেকেই গতকাল বৃহস্পতিবারও সবচেয়ে বেশি গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই মিয়ানমার পরিকল্পিতভাবে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সংঘাত, সংঘর্ষ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে নতুন একটা সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার অজুহাত দেবে, এখানে সংঘাত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বলবে, এই সংঘাতের মধ্যে আমরা কীভাবে যাব? তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনটা নিঃসন্দেহে দীর্ঘায়িত হবে। যত দিন রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসছে, তত দিন সে দেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না।’
তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারাও আগ্রহী। আমরা আশা করছি, অক্টোবরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালে মাঠপর্যায়ের চুক্তি সই করেছিল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, প্রত্যাবাসন শুরু করে ‘সম্ভব হলে তা দুই বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। কিন্তু রাখাইনে ফেরার মতো পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় দুই দফা তারিখ চূড়ান্ত করেও রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। এরপর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রত্যাবাসন শুরু করতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন দুই দেশের টেকনিক্যাল কমিটি। সেই অনুযায়ী, চলতি মাসেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এবারও সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যাচ্ছে। কারণ মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছে ওই দেশের সাতটি আদিবাসী সশস্ত্র সংগঠন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাত সংগঠনের রাজনৈতিক জোট ‘ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশনাল অ্যান্ড কনস্যুলেটিভ’ কমিটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে আরাকান আর্মির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এরপরেই তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যায়। মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু অংশে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সেখানে মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, খুব সহসায় রাখাইন রাজ্যের এই সংকট সমাধান হবে না। যতক্ষণ না মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারছেন তত দিন এখানে সংঘাত থাকবে। আর এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া সম্ভব হবে না।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন তিনটি ফ্যাক্টর কাজ করবে। এক. মিয়ানমার সরকার, দুই. আরাকান আর্মি, তিন. রোহিঙ্গা। মিয়ানমার সরকার তো আগে থেকেই কালক্ষেপণ করে আসছে। তাদের নানা অজুহাত। যাদের ঘরবাড়ি নেই, তাদের ক্যাম্পে নিয়ে রাখবে। গুচ্ছগ্রাম করে রাখা হবে। সংঘাতের এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও দীর্ঘায়িত করবে।
দ্বিতীয় পক্ষ হলো রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ)। তারা চায়, আরাকানের যেকোনো সমস্যা তাদের মাধ্যমে সমাধান হোক। এই ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া না হলে তারাও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের কোনো বন্ধু নয়। কেননা ৫ বছর আগে রোহিঙ্গাদের যখন ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করছিল, তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছিল, তখন তাদের পাশে দাঁড়াত। যেহেতু তারা দাঁড়ায়নি, কোনো একটা বিবৃতিও দেয়নি, তাই ধরে নেওয়া যায় রোহিঙ্গাদের বিষয়টা তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখবে না।
তৃতীয় পক্ষ হলো রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তাদেরও ওই দেশে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের নিতে চাইলেও তারা হয়তো সেখানে যাবে না। একাধিক রোহিঙ্গা সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে রাখাইনে যেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে তারা সেখানে যাবে না। ওই দেশে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্যাম্প থেকে কোথাও যাবে না৩৩ কিলোমিটারে স্থলমাইনবাংলাদেশ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত লাগোয়া ৩৩ কিলোমিটারজুড়ে নতুন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমার। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সদস্যরা এসব মাইন বসান।
সীমান্তের তুমব্রুর উত্তরাংশের হেডম্যানপাড়াসংলগ্ন ৩৫ পিলার থেকে বাংলাদেশে-মিয়ানমার সীমান্তের ৩৩ কিলোমিটার সীমান্তের জিরো পয়েন্টজুড়ে এসব মাইন বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক সূত্র।
৩৫ পিলারের কাছাকাছি স্থানের একটি ছড়ায় গরু আনতে গিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর মাইনের আঘাতে পা হারান তুমব্রু হেডম্যানপাড়ার যুবক অন্ন থোয়াই (২৮) তঞ্চঙ্গ্যা। এরও দুই দিন আগে এ পয়েন্টে একটি চোরাই গরুর পা উড়ে গিয়েছিল স্থলমাইন বিস্ফোরণে। আর আগে এ পয়েন্টে কয়েক বছর আগে এক পুলিশ সদস্যসহ দুই বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ল্যান্ড মাইন্স বা আইসিবিএলএমের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সীমান্তে উভয় দেশের ৬৪ জন মানুষ প্রাণ হারান। তাঁরা মূলত কাঠুরিয়া, বনজীবী বা চোরাকারবারি ছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও ৮৭ জন জন। এখন নতুন করে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ফলে সীমান্তে নতুন করে মাইন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরুল আবসার ইমন বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থলমাইন বসানোর খবর পেয়ে তাঁর এলাকার সীমান্ত পয়েন্টে বসবাসকারী অধিবাসীদের জিরো পয়েন্টে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
এদিকে বিজিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাঁরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছেন। পুরো সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। কেননা মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে একদিকে গোলাগুলি চালাচ্ছে অন্যদিকে স্থলমাইন বসিয়ে সীমানায় শত্রু দমনের চেষ্টা করছে, যা তাদের ব্যাপার। আমাদের বিচলিত হবার কিছু নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে