আজাদুল আদনান, ঢাকা
কোভিড মহামারিকালে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সুবিধাসংবলিত আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের অপরিহার্যতা ও অভাব ভালোভাবে টের পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ঘাটতি মেটাতে এগিয়ে আসে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয় দেশটি। কিন্তু বেশির ভাগ অ্যাম্বুলেন্স একবারের জন্যও কাজে লাগায়নি কর্তৃপক্ষ দক্ষ জনবলের সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে। সেগুলো পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম অ্যাম্বুলেন্সগুলো পড়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ উপহার দিয়েছে, কিন্তু সেগুলোতে নানা সমস্যা। আমাদের ব্যবস্থাপনায় এগুলো পরিচালনা করা কঠিন। এর জন্য আলাদা লোকবল লাগবে। এগুলো সচল রাখতে অস্থায়ী চালক ও তেলের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি তুলে দিয়েছিলেন ভারতের হাইকমিশনার। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিঃসন্দেহে দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।’ চাবি হস্তান্তরের পর চার দফায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেশে আসে। ৬১টি অ্যাম্বুলেন্স সিএমএসডির মাধ্যমে এবং ৪৮টি সরাসরি বিতরণ করে ভারতীয় হাইকমিশন। সিএমএসডি রাজধানীর ১০টি সরকারি হাসপাতালকে দিয়েছে একটি করে। দুটি করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও হজযাত্রীদের ব্যবহারের জন্য। পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অধিদপ্তর সম্প্রতি দুটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সগুলো দিয়ে দেয়। আর হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দ অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে সিএমএসডিতে।
রাজধানীর ১০ হাসপাতাল এবং ৮ জেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্থানে অ্যাম্বুলেন্স খোলা জায়গায় ফেলে রাখায় ধুলাবালির স্তর জমছে। কিছু অ্যাম্বুলেন্স মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে সাধারণ রোগী বহন করার কাজে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) অ্যাম্বুলেন্স পায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর। কিন্তু একবারের জন্যও সেবার কাজে ব্যবহৃত হয়নি। গত ১৭ নভেম্বর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনের ভবনের বারান্দায় দুই দেশের পতাকাখচিত অ্যাম্বুলেন্সটি ধুলা-ময়লায় ঢাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলোর যথাযথ ব্যবহার না হলে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে অধিকাংশ সুবিধাই নেই। বিশেষ করে ভ্যান্টিলেশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মনিটর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশন কিছু অ্যাম্বুলেন্স আমাদের মাধ্যমে আর বাকিগুলো নিজেরাই বিতরণ করেছে। কোথায়, কীভাবে পড়ে আছে, তা দেখে বলতে হবে। চালক-সংকট হলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালকেরা নিয়োগ দিতে পারবেন। অব্যবহৃত থাকার কথা নয়।’
ব্যবহারের নীতিমালা হয়নি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পেয়েছে গত বছরের ১ নভেম্বর। গত ১৫ নভেম্বর গিয়ে সেটি ক্যাফেটেরিয়ার পাশে খোলা জায়গায় অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পাওয়ার সময় হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. নাজমুল করিম। সম্প্রতি তিনি অবসরে গেছেন। ডা. নাজমুল করিম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যবহারের কোনো নীতিমালা হয়নি। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আলাদা চালক লাগবে, যার কোনোটাই নেই। এভাবে পড়ে থাকলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি, এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানি না।’
শুধু ইঞ্জিন চালু করা হয়
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ নভেম্বর গিয়ে দেখা যায়, গ্যারেজে অ্যাম্বুলেন্সটি ধুলোবালিতে ভরা। একাধিক কর্মকর্তা জানান, ব্যাটারি ঠিক রাখতে মাঝেমধ্যে ইঞ্জিন চালু করা হয় শুধু। পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটিতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তার অনেকগুলো নেই। একজন কনসালট্যান্ট ও নার্স দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো নীতিমালা ঠিক না হওয়ায় কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’
একই দিনে জাতীয় নাক কান ও গলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিচালকের কক্ষে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাঁকেও। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী জানান, জায়গা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি স্থানান্তর করা হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানে। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু হানিফকে একাধিক দিন ফোন করে, এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
উত্তরায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে খোলা জায়গায় এবং সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে টিনের চালার নিচে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্স। পরদিন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও টিনের চালার নিচে দেখা যায়। কর্মকর্তারা জানান, এক দিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি এসব অ্যাম্বুলেন্স। মাঝেমধ্যে শুধু ইঞ্জিন চালু করা হয়।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৯ মাসে একবারের জন্যও কাজে লাগানো হয়নি অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান বলেন, ‘চলতি বছর অ্যাম্বুলেন্স গ্রহণ করি। কিন্তু পরিপূর্ণ একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে যেসব ইকুইপমেন্ট দরকার, তার সবকিছু দেওয়া হয়নি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের আগে সেগুলোতে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, তা দেখেনি কেউই। বিভিন্ন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সদুত্তর পায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো এভাবে পড়ে থাকার কথা নয়। আউটসোর্সিং চালকদের মাধ্যমে চালু রাখার কথা। যেকোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখবে।
মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগী বহন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগী বহন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক শেখ দাউদ আদনান কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পাওয়ার সময়কার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ভারত যখন অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেয়, ভেতরে ভেন্টিলেশনসহ অন্যান্য সুবিধা আছে কি না, দেখা হয়নি। তাই সাধারণ রোগীর জন্যই এগুলো ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্রপতি এলে ব্যবহার হয়। মাঝেমধ্যে রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করি। তবে তেল খরচ বেশি হওয়ায় অধিকাংশ সময় পড়েই থাকে।’
সব সুবিধা নেই
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্সই পড়ে আছে। শজিমেক হাসপাতালে মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগীদের জন্য বহন করা হয়, আর কেবল ব্যাটারি ঠিক আছে কি না, চেক করতে স্টার্ট দিয়ে দেখা হয়।
উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এসব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা নেই। লাইফ সাপোর্টের অ্যাম্বুলেন্স হলেও অনেক কিছুই ঘাটতি আছে। তাই মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগীর জন্য ব্যবহার হলেও অধিকাংশ সময়ই পড়ে থাকে।’
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুমিনুর রহমান বলেন, ‘লাইফ সাপোর্ট বলা হলেও যে ধরনের ফ্যাসিলিটিজ থাকা দরকার, তার কিছুই নেই। বিষয়টি নিয়ে সিএমএসডিকে ছয় মাস আগে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কিছু জানায়নি। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে।’
সিএমএসডির পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারও বলেন, ‘যেকোনো যন্ত্র কেনার আগে তাতে সুযোগ-সুবিধা কি থাকে, সেটি দেখা হয়। কিন্তু উপহারের হওয়ায় এ ক্ষেত্রে আমরা দেখিনি। এ বিষয়ে আগের পরিচালক আরও ভালো বলতে পারবেন।’
তিন জেলায় ব্যবহার
সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে জামালপুরে দেওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বুঝে পাওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় ব্যবহার করছি। কিন্তু অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে তিন গুণ তেল বেশি লাগে।’
জামালপুরে গান্ধী আশ্রমের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিল্লোল সরকার বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সাধারণ রোগী থেকে শুরু করে গুরুতর রোগীদের জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি কেবল ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে। উত্তরা মোটর্স সার্ভিসিং সেন্টার রাজশাহী শাখা থেকে একবার ফ্রি সার্ভিসিং করে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ফ্রি সার্ভিসিংয়ের জন্য উত্তরার বগুড়া শাখায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটিতে নিয়মিত রোগী আনা-নেওয়া হচ্ছে।
যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘এসব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে অভিজ্ঞদের নিয়ে একটা টিম করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে না দিয়ে টারশিয়ারি পর্যায়ে কাজে লাগানো দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের পরিচালনায় একজন কনসালট্যান্ট ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে এগুলো খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’ বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত সরকার অ্যাম্বুলেন্সগুলো দিয়েছে। আর কিছু না হোক তাদের সম্মানার্থেই এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। নতুবা ভারতসহ বহির্বিশ্বে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সাদ্দাম হোসেন (ঠাকুরগাঁও), সাজন আহম্মেদ পাপন (কিশোরগঞ্জ), মেহেরাব্বিন সানভি (চুয়াডাঙ্গা), শাপলা খন্দকার (বগুড়া), মো. আতাউর রহমান (জয়পুরহাট), জাহাঙ্গীর আলম (জামালপুর), মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ (কক্সবাজার) ও মো. শামীম রেজা (রাজবাড়ী)।
কোভিড মহামারিকালে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সুবিধাসংবলিত আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের অপরিহার্যতা ও অভাব ভালোভাবে টের পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ঘাটতি মেটাতে এগিয়ে আসে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয় দেশটি। কিন্তু বেশির ভাগ অ্যাম্বুলেন্স একবারের জন্যও কাজে লাগায়নি কর্তৃপক্ষ দক্ষ জনবলের সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে। সেগুলো পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম অ্যাম্বুলেন্সগুলো পড়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ উপহার দিয়েছে, কিন্তু সেগুলোতে নানা সমস্যা। আমাদের ব্যবস্থাপনায় এগুলো পরিচালনা করা কঠিন। এর জন্য আলাদা লোকবল লাগবে। এগুলো সচল রাখতে অস্থায়ী চালক ও তেলের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি তুলে দিয়েছিলেন ভারতের হাইকমিশনার। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিঃসন্দেহে দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।’ চাবি হস্তান্তরের পর চার দফায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেশে আসে। ৬১টি অ্যাম্বুলেন্স সিএমএসডির মাধ্যমে এবং ৪৮টি সরাসরি বিতরণ করে ভারতীয় হাইকমিশন। সিএমএসডি রাজধানীর ১০টি সরকারি হাসপাতালকে দিয়েছে একটি করে। দুটি করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও হজযাত্রীদের ব্যবহারের জন্য। পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অধিদপ্তর সম্প্রতি দুটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সগুলো দিয়ে দেয়। আর হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দ অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে সিএমএসডিতে।
রাজধানীর ১০ হাসপাতাল এবং ৮ জেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্থানে অ্যাম্বুলেন্স খোলা জায়গায় ফেলে রাখায় ধুলাবালির স্তর জমছে। কিছু অ্যাম্বুলেন্স মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে সাধারণ রোগী বহন করার কাজে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) অ্যাম্বুলেন্স পায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর। কিন্তু একবারের জন্যও সেবার কাজে ব্যবহৃত হয়নি। গত ১৭ নভেম্বর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনের ভবনের বারান্দায় দুই দেশের পতাকাখচিত অ্যাম্বুলেন্সটি ধুলা-ময়লায় ঢাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলোর যথাযথ ব্যবহার না হলে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে অধিকাংশ সুবিধাই নেই। বিশেষ করে ভ্যান্টিলেশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মনিটর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশন কিছু অ্যাম্বুলেন্স আমাদের মাধ্যমে আর বাকিগুলো নিজেরাই বিতরণ করেছে। কোথায়, কীভাবে পড়ে আছে, তা দেখে বলতে হবে। চালক-সংকট হলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালকেরা নিয়োগ দিতে পারবেন। অব্যবহৃত থাকার কথা নয়।’
ব্যবহারের নীতিমালা হয়নি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পেয়েছে গত বছরের ১ নভেম্বর। গত ১৫ নভেম্বর গিয়ে সেটি ক্যাফেটেরিয়ার পাশে খোলা জায়গায় অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পাওয়ার সময় হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. নাজমুল করিম। সম্প্রতি তিনি অবসরে গেছেন। ডা. নাজমুল করিম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যবহারের কোনো নীতিমালা হয়নি। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আলাদা চালক লাগবে, যার কোনোটাই নেই। এভাবে পড়ে থাকলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি, এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানি না।’
শুধু ইঞ্জিন চালু করা হয়
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ নভেম্বর গিয়ে দেখা যায়, গ্যারেজে অ্যাম্বুলেন্সটি ধুলোবালিতে ভরা। একাধিক কর্মকর্তা জানান, ব্যাটারি ঠিক রাখতে মাঝেমধ্যে ইঞ্জিন চালু করা হয় শুধু। পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটিতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তার অনেকগুলো নেই। একজন কনসালট্যান্ট ও নার্স দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো নীতিমালা ঠিক না হওয়ায় কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’
একই দিনে জাতীয় নাক কান ও গলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিচালকের কক্ষে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাঁকেও। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী জানান, জায়গা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি স্থানান্তর করা হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানে। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু হানিফকে একাধিক দিন ফোন করে, এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
উত্তরায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে খোলা জায়গায় এবং সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে টিনের চালার নিচে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্স। পরদিন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও টিনের চালার নিচে দেখা যায়। কর্মকর্তারা জানান, এক দিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি এসব অ্যাম্বুলেন্স। মাঝেমধ্যে শুধু ইঞ্জিন চালু করা হয়।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৯ মাসে একবারের জন্যও কাজে লাগানো হয়নি অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান বলেন, ‘চলতি বছর অ্যাম্বুলেন্স গ্রহণ করি। কিন্তু পরিপূর্ণ একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে যেসব ইকুইপমেন্ট দরকার, তার সবকিছু দেওয়া হয়নি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের আগে সেগুলোতে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, তা দেখেনি কেউই। বিভিন্ন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সদুত্তর পায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো এভাবে পড়ে থাকার কথা নয়। আউটসোর্সিং চালকদের মাধ্যমে চালু রাখার কথা। যেকোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখবে।
মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগী বহন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগী বহন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক শেখ দাউদ আদনান কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
অ্যাম্বুলেন্স বুঝে পাওয়ার সময়কার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ভারত যখন অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেয়, ভেতরে ভেন্টিলেশনসহ অন্যান্য সুবিধা আছে কি না, দেখা হয়নি। তাই সাধারণ রোগীর জন্যই এগুলো ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্রপতি এলে ব্যবহার হয়। মাঝেমধ্যে রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করি। তবে তেল খরচ বেশি হওয়ায় অধিকাংশ সময় পড়েই থাকে।’
সব সুবিধা নেই
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্সই পড়ে আছে। শজিমেক হাসপাতালে মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগীদের জন্য বহন করা হয়, আর কেবল ব্যাটারি ঠিক আছে কি না, চেক করতে স্টার্ট দিয়ে দেখা হয়।
উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এসব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা নেই। লাইফ সাপোর্টের অ্যাম্বুলেন্স হলেও অনেক কিছুই ঘাটতি আছে। তাই মাঝেমধ্যে সাধারণ রোগীর জন্য ব্যবহার হলেও অধিকাংশ সময়ই পড়ে থাকে।’
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুমিনুর রহমান বলেন, ‘লাইফ সাপোর্ট বলা হলেও যে ধরনের ফ্যাসিলিটিজ থাকা দরকার, তার কিছুই নেই। বিষয়টি নিয়ে সিএমএসডিকে ছয় মাস আগে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কিছু জানায়নি। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে।’
সিএমএসডির পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারও বলেন, ‘যেকোনো যন্ত্র কেনার আগে তাতে সুযোগ-সুবিধা কি থাকে, সেটি দেখা হয়। কিন্তু উপহারের হওয়ায় এ ক্ষেত্রে আমরা দেখিনি। এ বিষয়ে আগের পরিচালক আরও ভালো বলতে পারবেন।’
তিন জেলায় ব্যবহার
সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে জামালপুরে দেওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বুঝে পাওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় ব্যবহার করছি। কিন্তু অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে তিন গুণ তেল বেশি লাগে।’
জামালপুরে গান্ধী আশ্রমের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিল্লোল সরকার বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সাধারণ রোগী থেকে শুরু করে গুরুতর রোগীদের জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি কেবল ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে। উত্তরা মোটর্স সার্ভিসিং সেন্টার রাজশাহী শাখা থেকে একবার ফ্রি সার্ভিসিং করে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ফ্রি সার্ভিসিংয়ের জন্য উত্তরার বগুড়া শাখায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটিতে নিয়মিত রোগী আনা-নেওয়া হচ্ছে।
যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘এসব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে অভিজ্ঞদের নিয়ে একটা টিম করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে না দিয়ে টারশিয়ারি পর্যায়ে কাজে লাগানো দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের পরিচালনায় একজন কনসালট্যান্ট ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে এগুলো খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’ বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত সরকার অ্যাম্বুলেন্সগুলো দিয়েছে। আর কিছু না হোক তাদের সম্মানার্থেই এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। নতুবা ভারতসহ বহির্বিশ্বে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সাদ্দাম হোসেন (ঠাকুরগাঁও), সাজন আহম্মেদ পাপন (কিশোরগঞ্জ), মেহেরাব্বিন সানভি (চুয়াডাঙ্গা), শাপলা খন্দকার (বগুড়া), মো. আতাউর রহমান (জয়পুরহাট), জাহাঙ্গীর আলম (জামালপুর), মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ (কক্সবাজার) ও মো. শামীম রেজা (রাজবাড়ী)।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে